ভবঘুরেকথা
একাদশী প্রদ্বীপ আলো মুক্তি নির্বাণ ভক্তি প্রার্থনা

-সত্যানন্দ মহারাজ

রাম নাম, কৃষ্ণ নাম, শিব নাম, লক্ষ্মী, কালী, দূর্গা, সরস্বতী, নারায়ণ প্রভৃতি যে নামেই তুমি ভগবানকে ডাকো না কেন- তুমি শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত, নিত্য-অবিনাশী যে সত্তা সদা-সর্বদা বিরাজমান তার স্বাদ তুমি পাবে।

একথা প্রতিটি মুনি-ঋষি বলে গেছেন। প্রথমে সাকার, তারপরে নিরাকার। আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা রূপ ধরেই ভগবানের সাক্ষাৎ কার ভালবাসি। এটা হল ভাব।

তারপরে মহাভাব- যা শ্রীমতি রাধার জীবনে প্রকাশ পেয়েছিল। তখন মেঘ দেখে কৃষ্ণের স্ফুরণ ঘটেছিল। ক’ বললেই কৃষ্ণের স্মরণ হত।

তখন রূপ থেকে অরূপে পৌঁছে যাওয়া। কিন্তু সেই মহাভাব- একটু একটু করে ভালবাসতে বাসতে কৃষ্ণময় হয়ে যাওয়া। তখন সেই রাধা, সেই কৃষ্ণ।

রাধা কোন নারী নয়, তিনি প্রকৃতির স্বরূপ। প্রকৃতি ও পুরুষ। কৃষ্ণ হলেন সেই পুরুষ। আর বাকী জীব-জগৎ, পশু-পাখি, নর-নারী সবই প্রকৃতি।

জীব স্বভাব মাত্রই প্রকৃতি। আমরা মানুষের মধ্যে যাঁরা নর-শরীর পেয়েছি তাঁরা কিন্তু পুরুষ নন্্ কারণ আমরা জীব স্বভাবে স্থিত‌। তাই আমরাও প্রকৃতি।

শুধুমাত্র নারী শরীর হিসাবে আমরা যাঁকে চিহ্নিত করেছি তারাও শুধু প্রকৃতি নন্।

আমরা যদি জীব স্বভাবে থেকে ভগবানকে ভালোবেসে ভগবানের নাম নিতে নিতে শিব স্বভাবে বা কৃষ্ণময় সত্তায় হাজির হতে পারি তাহলে আমাদের এই প্রকৃতি সত্তা ও পুরুষ সত্তার মিলনে তা একই ভূত হতে পারে।

যাঁকে যোগশাস্ত্রে কুল-কুণ্ডলীনির জাগরণ ও মস্তক স্থিত পুরুষ সত্তা শিব বা পরমপুরুষ কৃষ্ণের মিলন- যা সেই পরমানন্দময় স্থিতি বলেছেন মহাত্মারা।

তাহাই শিব দূর্গা বা রাধা কৃষ্ণ বা লক্ষী নারায়ণ বা জীবাত্মা-পরমাত্মার মিলন। বোধিজ্ঞান।

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রিতাপ জ্বালা

সদগুরু সঙ্গ
এটা মহাপুরুষের দেশ
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
ভগবান কোথায় থাকেন?

সংসার ধর্ম
কি ভাবে সংসার করবো?

ভগবানের সর্বব্যাপীত
ভগবানকে কেন ডাকি?
পরশ পাথর
খারাপ দিন
রথ ও রথের মেলা
জীবনধারা
আমরা সাধারণ মানুষ
সব থেকে বড় হৃদয়
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!