ভবঘুরেকথা
হযরত শাহ্ সোলেমান লেংটা বাবা

হযরত শাহ্ সোলেমান লেংটা বাবা

সোলেমান শাহ্ লেংটা বাবা ১২৩০ বঙ্গাব্দে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার গোবিনাদপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতার নাম আলা বক্স ভূঁইয়া, মাতা গুলজান বিবি আর বোনের নাম ফুলজান বিবি । সোলেমান শাহ্ লেংটা বাবার শৈশব-কৈশোর সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না।

শৈশবেই পিতামাতা উভয়ে মারা গেলে লেংটা বাবার একমাত্র অভিভাবক হয়ে ওঠে তার বোন। একমাত্র আপন জন। জনশ্রুতি আছে, দেখতে খুব ফর্সা ছিলেন বলে গ্রামের লোকেরা দুষ্টামি করে লেংটা বাবাকে ‘ধলা গাই’ বলে ডাকতো।

পিতামাতা মারা যাওয়ার পর লেংটা বাবার বেশির ভাগ সময় বোনের বাড়িতে কাটতো। বোন ভীষণ আদর করলেও ভগ্নিপতি তাকে দিয়ে সংসারের নানান কাজ করাতো। ভগ্নিপতির কথায় অভিমান করে লেংটাবাবা একসময় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। তারপর বহু খোঁজাখুঁজি করেও লেংটা বাবার আর কোনো সন্ধান তার বোন করতে পরেন নি।

এরপর ৩৬ বছর পর হঠাৎ বোনের বাড়ি ফিরলেন। বোন নিয়ত করেছিল ভাই ফিরে এলে তাকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে নিবেন। কথা মতো তাকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে নেন। আজও প্রতি চৈত্র মাসের ২৩ তারিখ কয়েক শত মন দুধ দিয়ে বাবার রওজা গোসল করানো হয়।

এরপর লেংটা বাবা কিছু বছর নৌকার মাঝি ছিলেন সেখান থেকেই খাজা খিজির (আ) এর কাছ থেকে বার্তা পেয়ে লেংটা বাবা প্রায় উলঙ্গ থাকতেন। বোন পোশাক পরার জন্য জোর করলে লেংটা বাবা অস্বীকৃতি জানাতেন। বলতেন পোশাক পড়লে আমার গাঁ জ্বলে যায়।

আবার এমন ঘটনাও প্রচলিত আছে, একবার ভাদ্র মাসের অমাবস্যা রাতে ইমামউদ্দিন মিয়ারা তিন ভাই মিলে নৌকা করে সোনারগাঁয়ে তাদের পীরের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল। আর সেই নৌকার মাঝি ছিলেন সোলেমান শাহ।

গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তখন মাওলানা সাহেবের কাছে নালিশ করে বললেন, ‘হুজুর আমাদের অঞ্চলে এক লোক আছে, সে কাপড় পরে না। আপনি একটু তাকে দেখুন।’ তিনি বললেন, ‘তাকে আমার কাছে নিয়ে আসুন’। মাওলানা সাহেব সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন একথা বলার পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে লেংটা বাবা সুন্দর করে পায়জামা-পাঞ্জাবী পরিধান করে সুগন্ধি লাগিয়ে পানশিতে দেখা করতে যান।

পথিমধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড বৃষ্টি। ইমামউদ্দিনরা তিন ভাই আরাম করে নৌকার ভেতর আশ্রয় নিলেও সোলেমান শাহ ভিজতে ভিজতে নৌকা চালিয়ে এগিয়ে চলে। গন্তব্যে পৌঁছালে এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে পীর সাহেবের ভীষণ রেগে যান।

পীর সাহেব ঘোষণা করেন তিন ভাইকে উলঙ্গ হয়ে সামনে আসতে হবে। এ কথা শুনে তারা দ্বিধান্বিত হয়ে পরে। কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। পীর সাহেব তখন মাঝি সোলেমানকে উদ্দেশ্য করে কাছে আসতে বলেন। সোলেমান শাহ কাছে এলে পীর সাহেব তাকে হা করতে বলেন এবং মুখে ফুঁ দেয়।

সেখান থেকেই সোলেমান লেংটা হয়ে বাড়ি ফিরে। পরবর্তী জীবনে তিনি আর তেমন কোনো কাপড় পরিধান করতেন না। পরনে কাপড় বলতে কখনো থাকতো কোমরে একটি লাল গামছা মাত্র। যা তাঁর অনুসারীরা আজো পরিধান করে থাকে। এভাবেই তিনি লোকমুখে লেংটা ফকির হিসেবে প্রচারিত হন। ভক্তদের কাছে তিনি লেংটা বাবা।

তৎকালীন সময়ে ভারতের জৌনপুর থেকে পীর সাহেবেরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আসতেন ভক্তদের সাক্ষাৎ করতে। নতুন মুরিদ করতে। এরকমই একবার মাওলানা আব্দুর রব জৌনপুরী সিদ্দিকী (রহ) এসেছিলেন চাঁদপুরের বেলতলি এলাকায়।

গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তখন মাওলানা সাহেবের কাছে নালিশ করে বললেন, ‘হুজুর আমাদের অঞ্চলে এক লোক আছে, সে কাপড় পরে না। আপনি একটু তাকে দেখুন।’ তিনি বললেন, ‘তাকে আমার কাছে নিয়ে আসুন’। মাওলানা সাহেব সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন একথা বলার পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে লেংটা বাবা সুন্দর করে পায়জামা-পাঞ্জাবী পরিধান করে সুগন্ধি লাগিয়ে পানশিতে দেখা করতে যান।

লেংটা বাবার একটা অদ্ভুত স্বভাব ছিল। তিনি মিষ্টি ও দই বানিয়ে ঘরের ছাদে/কারে লুকিয়ে রাখতেন। ভক্তদের প্রতি বার্তা ছিল সেই দই-মিষ্টি চুরি করে কেউ যাতে না খায়। তিনি বলতেন, ‘এগুলো বিশেষ কাজের জন্য রেখেছি। যে এখান থেকে মিষ্টি বা দই চুরি করে খাবে তাঁর বংশে কিয়ামত পর্যন্ত সবাই পাগল হবে।’

মাওলানা সাহেবের সাথে লেংটা বাবা একান্তে অনেকটা সময় আলাপ করেন। পরে পোশাক পরিধান নিয়ে সকলে জানতে চাইলে লেংটা বাবা বলেন, ‘তোমরা তো কেউ মানুষ না। তোমাদের সামনে কিসের কাপড় পরবো? উনি মানুষ, তাই উনার সামনে কাপড় পরে গিয়েছি।’

লোকে সোলেমান শাহ বাবাকে প্রায়শই প্রশ্ন করতেন- আপনি নামাজ পড়েন না কেন? তিনি কেবল মুচকি হাসতেন, তেমন কোনো উত্তর দিতে না। একদিন গ্রামের মোল্লারা খুব জ্বালাতন করলে সোলেমান শাহ তাদেরকে বললেন “এই দেখ নামাজ পড়ি কিনা”।

এই কথা বলার সাথে সাথেই মোল্লারা তাকিয়ে দেখল বাবার কাছেই কাবা ঘর, তিনি সেখানে জমজমের পানি দিয়ে অজু করছেন। এই দৃশ্য দেখে সকলে হতবাক হয়ে যান।

অন্য একদিন আবার নামাজ পড়ার জন্য পীড়াপীড়ি করলে বাবা ইমামের পিছনে নামাজ পড়তে দাঁড়ান। হঠাৎ তিনি চিৎকার করে ইমামের উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন- “আহা নামাজে বইসা বার বার গাভী বাচ্চা দিছে কিনা চিন্তা করলে তোর নামাজ পইড়া কি লাভ হইবো? যা ভণ্ডামির নামাজ ছাইড়া বাড়ি গিয়া দেখ তোর গাভি বাচ্চা দিছে।”

মনের কথা হুবুহু বলে দেয়ায় ইমাম সাহেব হতবাক হয়ে যান। বাড়ি গিয়ে দেখলেন ঠিকই তার গাভীর বাচ্চা হয়েছে। সে সব কথা চারদিকে ছড়িয়ে পরতে সময় লাগে না। এইসব ঘটনা চাক্ষুস করার পর মোল্লারা আর তাকে বিশেষ ঘাটাতেন না।

সোলেমান শাহ্ লেংটা বাবার এরকম নানান সব কারামতে কথা ছড়িয়ে পরতে শুরু করে। এই সব প্রত্যক্ষ করে প্রচুর মানুষ বাবার ভক্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। অনেকে এই সব কারামত দেখার জন্য বাবার কাছে আসতে শুরু করেন। জানা যায়-

লেংটা বাবার একটা অদ্ভুত স্বভাব ছিল। তিনি মিষ্টি ও দই বানিয়ে ঘরের ছাদে/কারে লুকিয়ে রাখতেন। ভক্তদের প্রতি বার্তা ছিল সেই দই-মিষ্টি চুরি করে কেউ যাতে না খায়। তিনি বলতেন, ‘এগুলো বিশেষ কাজের জন্য রেখেছি। যে এখান থেকে মিষ্টি বা দই চুরি করে খাবে তাঁর বংশে কিয়ামত পর্যন্ত সবাই পাগল হবে।’

ভক্তদের একজন মনে করলেন, এটা বাবার কথার কথা। ভয় দেখানোর জন্য একথা বলা। এরকম ভেবে তিনি বাবাকে না জানিয়ে একটু দই খেয়ে ফেলেন। এরপর থেকে তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে শুরু করে।

একবার লেংটা বাবার পা লেগে পানির কলস কাত হয়ে পানি পড়ে যায়। গ্রামের মহিলারা তখন ধান শুকানোর জন্য গোবর দিয়ে উঠোন লেপছিল। এক মহিলা বলে উঠলো, ‘আরে লেংটা, এতো কষ্ট করে পুকুর থেকে পানি আনলাম, আর তুই পানিটা ফেলে দিলি?’

তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো- তার বংশে যত সন্তান জন্ম হয়, সবাই ছোটবেলা থেকে সুস্থ থাকলেও বয়সের একটা পর্যায়ে গিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। সেই বংশের অনেক উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চপদস্থ লোকজনও জীবনের শেষ পর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার ইতিহাস রয়েছে। একটা পর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াতেও দেয়া যায়।

এমনো শোনা যায়, হজ্বে যাওয়ার সময় অনেকেই লেংটা বাবাকে বদরপুর দেখে গেলেও। হজ্ব পালন করার সময় অনেকেই তাকে কাবা শরীফে দেখেছেন নামাজ আদায় করতে। যদিও তৎকালে মানুষ হজ্ব করতে যেতে জাহাজে কিংবা পায়ে হেঁটে। সময় লাগতো অনেক দিন।

কথিত আছে, মজ্জুব অবস্থায় সোলেমান শাহ্ বাবা কারো ফসলী জমি মাড়িয়ে গেলে সে জমিতে অধিক ফসল ফলত। এ কারণে সকলেই চাইতো বাবা তাদের ক্ষেত মাড়িয়ে যাক। বাবাকে সকলেই বেশ ভালোবাসতো।

একবার লেংটা বাবার পা লেগে পানির কলস কাত হয়ে পানি পড়ে যায়। গ্রামের মহিলারা তখন ধান শুকানোর জন্য গোবর দিয়ে উঠোন লেপছিল। এক মহিলা বলে উঠলো, ‘আরে লেংটা, এতো কষ্ট করে পুকুর থেকে পানি আনলাম, আর তুই পানিটা ফেলে দিলি?’

বাবা সেই মহিলাকে চোখ বন্ধ করতে বললেন। কিছু সময়পর মহিলা চোখ খুলে দেখেন পুরো উঠোন জলে ভাসছে। বাবা বলেন, ‘নে তোর পানি, কত লাগবে?’

টিকেট না থাকার কারণে একবার টিকেট মাষ্টার লেংটা বাবার তীরস্কার করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। বাবা এতে অসন্তুষ্ট হয়ে ট্রেন এর দিকে নিজের শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেই চলন্ত ট্রেন হঠাৎ স্থির হয়ে যায়।

এরূপ অগনিত কারামত প্রচলিত আছে সোলেমান শাহ লেংটা বাবাকে ঘিরে। অবিশ্বাসীদের কাছে এসবই গালগল্প। আর ভক্তদের কাছে তা বাবার কারাতম। মৌজেজা। তারা এসব ঘটনা বলতে বলতে বা শুনতে শুনতে আকূল হয়ে উঠে। অঝোরে কেঁদে উঠে। বাবাকে অনুভব করার চেষ্টায় চলে পাগলে হয়ে পাগল বেশে।

আরেকবার নদী পার করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে মাঝি সোলেমান শাহ বাবাকে খুব অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে; তাঁকে না নিয়েই নৌকা ছেড়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সকলকে অবাক করে দিয়ে বাবা পানির ওপর দিয়ে হেঁটে নৌকার আগে আগে চলতে শুরু করে। যাত্রীরা পারে দিয়ে দেখেন বাবা সেখানে বসে ফল খাচ্ছেন।

বাবার আদেশে একবার এক ভক্ত বাজার থেকে মিষ্টি আনতে গিয়ে দেখেন দোকানে মিষ্টি শেষ। শূন্য হাতে ফিরে এসে বাবাকে সে কথা জানলে। বাবা সেই ভক্তকে নদীর ঘাঁটে নিয়ে গিয়ে বললেন- “এবার তুই চোখ বন্ধ কর”। খানিক পরে চোখ খুললে সেই ভক্ত দেখে তারা কুমিল্লা থেকে চোখের পলকে ঢাকার সদরঘাট পৌঁছে গেছে। তখন সে সদরঘাট থেকে মিষ্টি কিনে আবার চোখ বন্ধ করে কুমিল্লায় চলে যান।

কথিত আছে, বাবা যেখানে যেতেন চরণদাসী রউফজান বিবি একটা টুকরি মাথায় করে নিয়ে বাবার সাথে সাথে চলতেন। বাবা সেই টুকরির মধ্যে তার সাধনার প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতেন। বাবার প্রতি এই সার্বক্ষণিক আনুগত্যের জন্য রউফজান বিবিও আউলিয়ার মর্যাদা পান। তার মাজারও বাবার রওজার কাছেই অবস্থিত। প্রতি বছর ১৫ ভাদ্র সেখানে রউফজান বিবির বিশাল ওরশ পালিত হয়।

এরূপ অগনিত কারামত প্রচলিত আছে সোলেমান শাহ লেংটা বাবাকে ঘিরে। অবিশ্বাসীদের কাছে এসবই গালগল্প। আর ভক্তদের কাছে তা বাবার কারাতম। মৌজেজা। তারা এসব ঘটনা বলতে বলতে বা শুনতে শুনতে আকূল হয়ে উঠে। অঝোরে কেঁদে উঠে। বাবাকে অনুভব করার চেষ্টায় চলে পাগলে হয়ে পাগল বেশে।

সোলেমান শাহ লেংটা বাবা তার বোনের বাড়ি বদরপুর গ্রামে দেহত্যাগ করেন। সেখানেই তাকে সমাহিত করে মাজার স্থাপন করা হয়। প্রতি বছর তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী ওরশ অনুষ্ঠিত হয় এবং মেলা বসে। সেসময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক লক্ষ ভক্ত, আশেকান ও সাধারণ জনতা জমায়াত হয়।

কথিত আছে, সোলেমান শাহ বাবার ভক্তরা একদিন জিজ্ঞাস করলো- “বাবা তুমি তো কোথাও বেশিদিন স্থির থাকো না, তাহলে তুমি মারা গেলে আমরা কি ভাবে বুঝবো যে তুমি আর দুনিয়ায় নেই।”

বাবা তখন বলেন- “যেদিন আমি মারা যাবো সেদিন বাংলাদেশের সমগ্র নদ-নদী-সাগরের জোয়ারভাটা একটানা ৩দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নদীর পানি স্থির হয়ে থাকবে, পানিতে কোন প্রবাহ থাকবে না। সেদিন গাভীর দুধের বানে এক ফোটাও দুধ থাকবে না। যেদিন এই লক্ষণগুলো দেখবি সেদিন ভাববি আমি আর এই দুনিয়ায় নেই।”

সোলেমান শাহ বাবা ভক্তদের নয়ন জলে ভাসিয়ে ১৭ চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দে দেহত্যাগ করেন। আর বাবার বলা সেই সব কথা দৃশ্যমান হতে শুরু হয়। ভক্তরা বুঝতে পারে বাবা আর দেহে নেই। তিনি পর্দা নিয়েছেন। তার দিকবিদিক ছুটতে থাকে। বাবা কোথায় সেই খবর নিতে।

তখন চৈত্র মাস। দেশে চলছিল প্রচণ্ড খরা। মাঠ-ঘাট-ফসলি জমি ফেটে চৌচির। আকাশে নেই এক খণ্ড মেঘের চিহ্ন। কিন্তু তার মাঝেও বাবার মৃত্যুর পরই টানা দুই দিন প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। যা আজও চলমান আছে। এখনো প্রতিবছর চৈত্রের দাবদাহ-খরার মধ্যে ১৭ চৈত্র বাবার ওরশের দিন বৃষ্টি প্রবল বৃষ্টির বর্ষণ হতে দেখা যায়।

সোলেমান শাহ লেংটা বাবা তার বোনের বাড়ি বদরপুর গ্রামে দেহত্যাগ করেন। সেখানেই তাকে সমাহিত করে মাজার স্থাপন করা হয়। প্রতি বছর তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী ওরশ অনুষ্ঠিত হয় এবং মেলা বসে। সেসময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক লক্ষ ভক্ত, আশেকান ও সাধারণ জনতা জমায়াত হয়।

সংগ্রহ ও সংকলন- মূর্শেদূল মেরাজ

জব্বার ভান্ডারীর কণ্ঠে সোলেমান লেংটাকে নিবেদিত গান-

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………………….
আরও পড়ুন-
স্বামী অড়গড়ানন্দজী
ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব
শিরডি সাই বাবা
পণ্ডিত মিশ্রীলাল মিশ্র
নীলাচলে মহাপ্রভুর অন্ত্যলীলার অন্যতম পার্ষদ ছিলেন রায় রামানন্দ
ভক্তজ্ঞানী ধর্মপ্রচারক দার্শনিক রামানুজ
সাধক ভোলানন্দ গিরি
ভক্ত লালাবাবু
লাটু মহারাজ শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সৃষ্টি
কমলাকান্ত ভট্টাচার্য
ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্র সেন
পরিব্রাজকাচার্য্যবর শ্রীশ্রীমৎ দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেব
আর্যভট্ট কাহিনী – এক অজানা কথা
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
কঠিয়াবাবা রামদাস
সাধু নাগ মহাশয়
লঘিমাসিদ্ধ সাধু’র কথা
ঋষি অরবিন্দ’র কথা
অরবিন্দ ঘোষ
মহাত্মাজির পুণ্যব্রত
দুই দেহধারী সাধু
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর
বাচস্পতি অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা থেকে
মুসলমানে রহিম বলে হিন্দু পড়ে রামনাম
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব : প্রথম খণ্ড
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব: দ্বিতীয় খণ্ড
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব : অন্তিম খণ্ড
মহামহোপাধ্যায় কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ
শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর
শ্রীশ্রী ঠাকুর সত্যানন্দদেব
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: এক
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: দুই
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: তিন
সাধক তুকারাম
সাধক তুলসীদাস: এক
সাধক তুলসীদাস: দুই
সাধক তুলসীদাস: তিন
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: এক
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: দুই
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: তিন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!