ভবঘুরেকথা

Search Results for : শ্রীকৃষ্ণ

    নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেই বড়

    -স্বামী বিবেকানন্দ সাংখ্যদর্শনমতে প্রকৃতি তিনটি উপাদানে গঠিত-সংস্কৃত ভাষায় ঐ উপাদান-ত্রয়ের নাম সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ। বাহ্যজগতে ইহাদের প্রকাশকে আমরা সমতা, ক্রিয়াশীলতা ও জড়তা বলিতে পারি। তমোগুণের লক্ষণ অন্ধকার বা কর্মশূন্যতা; রজঃ-কর্মশীলতা, আকর্ষণ ও বিকর্ষণরূপে প্রকাশিত; আর সত্ত্ব-ঐ দুই গুণের সাম্যাবস্থা। প্রত্যেক ব্যক্তির ভিতরেই এই শক্তিত্রয় রহিয়াছে। কখন তমঃ প্রবল হইয়া উঠে- আমরা আলস্যপরায়ণ হই, আমরা […]

    হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টোত্তর শতনাম

    পূর্ণব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টোত্তর শতনাম- ১. রামকান্ত রাখে নাম ‘বাসুদেবেশ্বর’। ২. ‘পূর্ণ হরিচাঁদ’ নাম ধরাতে প্রচার। ৩. ‘হরিদাস’ বলে ডাকে পিতা যশোমন্ত। ৪. মাতা অন্নপূর্ণা ডাকে ‘হরি প্রাণবন্ত’। ৫. গোলক রাখিল নাম ‘জয় গৌর হরি’। ৬. দশরথ রাখে নাম ‘পর ব্যাথা ধারী’। ৭. ‘শ্রীনন্দ দুলাল’ বলে ব্রজ মহামতি। ৮. রাখাল বালক ডাকে ‘রাখালের […]

    হিন্দুধর্ম

    হিন্দুধর্ম -ভগিনী নিবেদিতা স্বামীজী সর্বদাই হিন্দুধর্মকে এক অখণ্ডরূপে চিন্তা করায় মগ্ন থাকিতেন, এবং বৈষ্ণবধর্ম প্রসঙ্গেই এ বিষয়টির বার বার অভিব্যক্তিদেখা যাইত। সন্ন্যাসী হিসাবে সম্ভবতঃ শৈবধর্মের ভাবসমূহের দ্বারা তাহার কল্পনা সমধিক প্রভাবিত ছিল, কিন্তু বৈষ্ণবধর্ম ও উহার বিশ্লেষণেও তাঁহার অনুরাগ ছিল চিরকাল। অবশ্য ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাসহায়ে যে বিষয়টি তাহার অধিগত ছিল, তাহা হইল অদ্বৈতবাদের সত্যতা। যে দুটি […]

    স্বামীজী বুদ্ধকে কি চক্ষে দেখিতেন : দ্বিতীয় কিস্তি

    স্বামীজী বুদ্ধকে কি চক্ষে দেখিতেন : দ্বিতীয় কিস্তি -ভগিনী নিবেদিতা এক সময়ে সেটা ছিল, কিন্তু এখন গত। হে মানব, জেনো যে, তুমি সাগরস্বরূপ!” তিনি আরও বলিলেন, “মহর্ষি কপিলও এই দর্শনই প্রচার করেন; কিন্তু তার মহানুভব শিষ্যের (বুদ্ধের) অদ্ভুত হৃদয় সেই দর্শনকে জীবন্ত করে তোলে।” তারপর সেই পুরুষশ্রেষ্ঠের কথাগুলি অন্তরে ধ্বনিত হওয়ায় তিনি ক্ষণকালের জন্য নীরব […]

    পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব বারো

    -মূর্শেদূল মেরাজ শ্রীগদাধরতত্ত্ব (ভক্তশক্তি) শ্রী গদাধর পণ্ডিত গোস্বামী হইলেন পঞ্চতত্ত্বের শক্তিতত্ত্ব। ব্রজলীলায় ছিলেন শ্যামসুন্দরবল্লভা বৃন্দাবনলক্ষ্মী (শ্রীরাধিকা), ললিতাও তাঁহাতে সন্নিবিষ্টা। গদাধরে রুক্মিণীদেবীরও প্রভাব পরিলক্ষিত। গদাধর আদি প্রভুর শক্তি অবতার। অন্তরঙ্গ ভক্ত করি গমণ যাঁহার।। যাঁহা সভা লৈয়া প্রভুর নিত্য বিহার। যাহা সভা লৈয়া প্রভুর কীর্তন প্রচার।। যাঁহা সভা লৈয়া করেন প্রেম আস্বাদন। যাঁহা সভা লৈয়া দান […]

    পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব এগারো

    পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব এগারো -মূর্শেদূল মেরাজ পঞ্চভূতের মনুষ্যরূপ – শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু, শ্রী অদ্বৈত্ব আচার্য, শ্রীবাস পণ্ডিত এবং গদাধর পণ্ডিত এই পাঁচজনের বিগ্রহের সমষ্ঠিই পঞ্চতত্ত্ব নামে পরিচিত। পঞ্চতত্ত্বের পরিচয়- ধ্যান ও মন্ত্র। পঞ্চতত্ত্বাত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপস্বরূপকম্। ভক্তিবতারং ভক্তাখ্যং নমামি ভক্তশক্তিকম্।। গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতে, পঞ্চদশ শতকে পৃথিবীতে ভগবান স্বয়ং (কৃষ্ণ) পাঁচটি অবতারে প্রকাশ হয়েছিলেন তাই […]

    সূফীবাদের গোড়ার কথা: তিন

    ভগবানস্বরূপ চৈতন্য তার ভজনায় নিজেকে বিলীন করে দেওয়াতেই তো ভক্তের সার্থকতা। তাই বৈষ্ণব নিজের ভক্তি, বাৎসল্য, সখ্য, দাস্য, মধুর ইত্যাদি নানারসে সিক্ত করে অভিব্যক্ত করতে চায়। কৃষ্ণ চরম মিলনে সুখ একমাত্র মধুর বা প্রেম রসেই। এতেই জীবের স্ফূর্তি।

    রূপের রহস্য: চতুর্থ পর্ব

    অর্জুন সেই বিশ্বরূপে অনেক মুখ, অনেক নেত্র ও অনেক অদ্ভুত দর্শনীয় বস্তু দেখলেন। সেই রূপ অসংখ্য দিব্য অলঙ্কারে সজ্জিত ছিল এবং অনেক উদ্যত দিব্য অস্ত্র ধারণ করেছিল। সেই বিশ্বরূপ দিব্য মালা ও দিব্য বস্ত্রে ভূষিত ছিল এবং তাঁর শরীর দিব্য গন্ধ দ্বারা অনুলিপ্ত ছিল। সবই ছিল অত্যন্ত আশ্চর্যজনক, জ্যোতির্ময়, অনন্ত ও সর্বব্যাপী।

    চুরাশির ফেরে: দশ: জাতিস্মর

    জাতিস্মরের বাস্তবতা নিয়ে মতভেদ থাকলেও সাহিত্যে এর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অনেক সাহিত্যিক এ বিষয় নিয়ে লিখলেও উপমহাদেশের অন্যতম চলচ্চিত্র পরিচালক ও লেখক সত্যজিৎ রায় সোনার কেল্লায় ফেলুদার মতো বিচক্ষণ গোয়েন্দা গল্পে যখন ‘জাতিস্মর’ চরিত্রকে কেন্দ্র করে কাহিনী বুনেন; তখন বাঙালী পাঠকের কাছে নতুন করে জাতিস্মর বিষয়টি নাড়া দেয়।

    বেদ

    অনেক হিন্দুরই বিশ্বাস আছে যে, বেদের ভিতর মনুষ্যের বুদ্ধির অগম্য অতি দুরূহ কথা আছে; বুঝিবার চেষ্টা করা কর্ত্তব্য, কণ্ঠস্থ করাই ভাল-তাও দ্বিজাতির পক্ষে। এজন্য আমরা ঋগ্বেদ-সংহিতার প্রথম সূক্তের অনুবাদ পাঠককে উপহার দিলাম।

error: Content is protected !!