হিন্দুধর্ম্ম
সেটুকু ছাড়া আর যাহা থাকে-শাস্ত্রে থাকুক, অশাস্ত্রে থাকুক বা লোকচারে থাকুক-তাহা অধর্ম্ম। যাহা ধর্ম্ম তাহা সত্য, যাহা অসত্য, তাহা অধর্ম্ম। যদি অসত্য মনুতে থাকে, মহাভারতে থাকে বা বেদে থাকে, তবু অসত্য, অধর্ম্ম বলিয়া পরিহার্য্য।
সেটুকু ছাড়া আর যাহা থাকে-শাস্ত্রে থাকুক, অশাস্ত্রে থাকুক বা লোকচারে থাকুক-তাহা অধর্ম্ম। যাহা ধর্ম্ম তাহা সত্য, যাহা অসত্য, তাহা অধর্ম্ম। যদি অসত্য মনুতে থাকে, মহাভারতে থাকে বা বেদে থাকে, তবু অসত্য, অধর্ম্ম বলিয়া পরিহার্য্য।
সর্বদা শ্রীহরির পাদপদ্মে মতি ছিল ব্যাপ্ত। প্রহ্লাদের এ হেন আচরণ দেখে দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হলেন। তিনি পুত্রকে তার আদর্শ মেনে চলার আদেশ দিলেন। কিন্তু কোনো ফল হল না দেখে হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে পাঠিয়ে দিলেন শুক্রাচার্যের এই দুই পুত্র ষণ্ড ও অর্ঘকের কাছে।
ইন্দ্রের দ্বারা পরাজিত ও ভ্রষ্টত্রী হলে মহাত্মা বলিকে শুক্রাচার্য আবার জীবিত করে তুললেন। গুরু তাকে বিশ্বাজিত যজ্ঞ করার আদেশ দিলেন। সেই যজ্ঞের আগুন থেকে একটি রথ উঠে এল। তাতে সিংহ চিহ্নিত ধ্বজা রয়েছে মহামূল্যবান মণি খচিত।
দেবকী সপ্তমবারের জন্য গর্ভবতী হল। ভগবানের ইচ্ছায় দেবী যোগমায়া দেবকীর সেই গর্ভ আকর্ষণ করে বসুদেবের অন্য পত্নী রোহিণীর গর্ভে প্রবিষ্ট করালেন। রোহিণী সেই পুত্রের জন্ম দিলেন। গর্গাচার্য তার নাম রাখলেন, বলরাম। রোহিণী তখন কংসের ভয়ে গোপরাজ নন্দের ঘরে বসবাস করছিলেন।
দেহক্ষেত্র-ই ধর্মক্ষেত্র না জেনে অর্জুনের বিষাদ
জ্ঞান দিয়ে অর্জুনের দূর করলেন অবসাদ,
বিষাদ যোগ থেকে জ্ঞানের শুরু করলেন ভগবান
লৌকিক অলৌকিক তিনি করলেন জ্ঞান দান।।
ভগবানের অমৃত বাণী গুঢ় রহস্য অতি ঘোর
গীতার সামান্য জ্ঞান নিয়ে বলি, সাধ্য নাই মোর,
পার্থের বোধ জাগাতে বলেন স্বয়ং কৃষ্ণ নারায়ণ
দ্বৈতজ্ঞানে হয় ভ্রম, অদ্বৈত জ্ঞানে খুলে ত্রিনয়ন।।
রাধ্ ধাতু হইতে রাধা শব্দটি উৎপত্তি। রাধ্ ধাতুর অর্থ সাধনা, পূজা বা তুষ্ট করা। যিনি সাধনার মাধ্যমে, পূজা করার মধ্য দিয়ে বা প্রেম, অনুরাগ, ভালবাসার মধ্য দিয়ে ভগবানকে তুষ্ট করেন, -তিনিই রাধা।
যারা ডাকে না তাদের কাছে আমি ঘুমিয়ে থাকি। যারা অনুক্ষণ কেবল স্মরণ করে তাদের নিকট আমি সদা জাগ্রত হয়ে গান গেয়ে তাদের কর্মক্ষয় ও বাসনা-নাশ করে দিয়ে বুকে তুলে নিই, তারা গান শুনতে শুনতে আমার বুকে ঘুমিয়ে পড়ে।
ছোট্ট গোপাল মাটি খাচ্ছে। মা যশোদা দৌড়ে এসে গোপালের মুখ থেকে মাটি বের করার জন্য যখন গোপালকে মুখটা হাঁ করতে বললেন। তখন গোপাল মুখটা হাঁ করতেই মা যশোদা সেই ছোট্ট মুখের মধ্যে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এমন কি নিজেকেও দর্শন করে অজ্ঞান হয়েছিলেন।
এমন কি যার গুরু নেই, সেও এই মন্ত্র জপের অধিকারী। এ মন্ত্র জীবের অন্তরে স্বতস্ফূর্ত, এ মন্ত্র জীবের কর্ণে স্বতশ্রুত, এ মন্ত্র জীবের মনে স্বগতোচ্চারিত। কারণ ওঙ্কার হচ্ছে নাদের উপাসনা। যে নাদ আপনা আপনি স্ফুরিত হয়ে অশ্রুত ধ্বনিতে বিশ্বনিখিল ব্রহ্মাণ্ডকে স্পন্দিত ও আচ্ছন্ন করে রেখেছে, ওঙ্কার হচ্ছে সেই পরম নাদ।