ভবঘুরেকথা

-দ্বীনোদাস

আমার জানা মতে, সাধনকর্ম বা পথ ৩ প্রকার-

১. জ্ঞানপথ।
২. যোগপথ।
৩. ভক্তিপথ।

যোগপথ ও জ্ঞানপথ সাধনা করার জন্য সাধক খুব কম জন্মায়, আর খুব কমই দেখা যায় এই পথের সাধকদের। এই দুই পথ সাধারণের জন্য নয়। এ পথে চাই অনেক অনেক ধার্য আর ব্রহ্মচর্য (পবিত্র জীবনযাপন) করা হল এ পথের মূল। এ পথের সাধক খুব কম পাওয়া যায়।

এবার বাকী থাকলো ‘ভক্তিপথ’। এ পথ খানিকটা সোজা। বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে অবতার পুরুষরা দুনিয়াতে এসে ভক্তিপথ দেখিয়ে দিচ্ছেন। এ পথে শুধু অন্তরস্থল থেকে করা চাই; একনিষ্ঠ বিশ্বাস।

যে পথই অবলম্বন করা হোক না কেন তাতে চাই জ্ঞান, কর্ম ও ভক্তি। আর জ্ঞান না থাকলে আমরা সাধারণেরা বুঝতে ভুল করবো।

স্বগুণের সাধনা হয়, নির্গুনের সাধনা হয় না। স্বগুণের সাধনা হলেই নির্গুনের প্রাপ্তি ঘটে বা লাভ করা যায়। তারপর সাধক যার যার মতো করে সুখ ও তার অবগাহন উপলব্ধি করে। জ্ঞান পথ দিয়ে যেমন ইশ্বরের সাধনা করা যায় না। তেমনি ভক্তিপথ দিয়ে ব্রহ্মার (নির্গুণ পরমাত্মা) সাধন চলে না। এরূপ সাধনায় কেবল গোলমাল সৃষ্টি হয়।

নিয়মনীতি পালন করলে পবিত্র জীবনযাপন (ব্রহ্মচর্য্য) করলে একদিন সত্যিকার ধর্মবোধ তার জাগবেই। আর তখন সে দুনিয়াকে ভাল কিছু দিতে পারবে। সে ব্যক্তি যে ধর্মেরই হোক না কেন। আমরা যদি সাত্মিক গুণের অধিকারি হই তাহলে সমগ্র জগৎ আমাদের পিছনে ছুটবে। নিয়মনীতি পালনে একদিন আমাদের জ্ঞান জাগবেই।

জ্ঞানপথে (প্রত্যক্ষ দর্শন) বিশ্বাসের প্রয়োজন নাই। আর ভক্তিপথে কঠোর সংযমের দরকার নাই। অবশ্যই যে পথেই সাধনা করা হোক না কেন- জ্ঞান, কর্ম, ভক্তি সবখানেই চাই। তা না হলে মানুষ একে অপরকে কি ভাবে চিনবে? কাছে আসবে? ভলোবাসবে নিগূঢ় ভাবে?

সত্য বলা, ব্রহ্মচর্য পালন (পবিত্র জীবনযাপন) এটা মানা বা পালন করলেই ধর্মের পথে চলা যায়। আর একটা বিষয় অতীব জরুরী সেটা হল- জননেন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে সন্মানের চোখে দেখে, তার অপব্যবহার করলে কি রূপ কুফল হয় তা গভীর ভাবে ভাবতে হবে।

যদি কেউ ভোগ আর ঐশ্বর্য চায় তবে তাকে রজগুণে আশ্রয় নিতে হবে। আর যদি কেউ সাধুগুণের ভাব নিয়ে চলতে চায় তাহলে তাকে সাত্মিক গুণে চলতে হবে। আর তমগুণের কথা সেতো পশুবৃত্তি। আজ সব জায়গায় দেখছি তমসাচ্ছন্ন তমগুণের প্রভাব।

নিয়মনীতি পালন করলে পবিত্র জীবনযাপন (ব্রহ্মচর্য্য) করলে একদিন সত্যিকার ধর্মবোধ তার জাগবেই। আর তখন সে দুনিয়াকে ভাল কিছু দিতে পারবে। সে ব্যক্তি যে ধর্মেরই হোক না কেন। আমরা যদি সাত্মিক গুণের অধিকারি হই তাহলে সমগ্র জগৎ আমাদের পিছনে ছুটবে। নিয়মনীতি পালনে একদিন আমাদের জ্ঞান জাগবেই।

………..
বি.দ্র.
আমার এই লেখা কিছু ইতিহাস থেকে নেওয়া কিছু সংগৃহীত, কিছু সৎসঙ্গ করে সাধুগুরুদের কাছ থেকে নেওয়া ও আমার মুর্শিদ কেবলা ফকির দুর্লভ সাঁইজি হতে জ্ঞান প্রাপ্ত। কিছু নিজের ছোট ছোট ভাব থেকে লেখা। লেখায় অনেক ভুল ত্রুটি থাকতে পারে তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।। আলেক সাঁই। জয়গুরু।।

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

…………….
আরো পড়ুন:
অবশ জ্ঞান চৈতন্য বা লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া
ঈশ্বর প্রেমিক ও ধৈর্যশীল ভিখারী
সুখ দুঃখের ভব সংসার
কর্ম, কর্মফল তার ভোগ ও মায়া
প্রলয়-পূনঃউত্থান-দ্বীনের বিচার

ভক্তি-সংসার-কর্ম
সাধনকর্ম

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!