-সত্যানন্দ মহারাজ
আমরা সবাই বুদ্ধিমান হতে চাই। আমি যে সবার থেকে বেশি বুদ্ধিমান তা প্রমাণ করার জন্য সদা-সর্বদা প্রমাণ করার জন্য ছটফট করি, তা যে কোন মূল্যেই হোক না কেন।
কিন্তু পরক্ষণেই আবার দু:খ পাই। কারণ যখন দেখি যে আমার বুদ্ধি কোন একটা জায়গায় গিয়ে ধাক্কা খেয়ে যাচ্ছে, নচেৎ কোন জায়গায় গিয়ে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তখন দেখতে পাই আমার জ্ঞান সীমিত।
পরক্ষণেই শুরু হয় উত্তোরণের চেষ্টা নতুবা হতাশা আর ক্লান্তিতে-মনের মধ্যে বাসা বাঁধে অবসন্নতা। শুরু হয় অধ:পতন।
ভালবাসার ক্ষেত্রেও দেখি সেই এক রূপ। যাঁকে মনে হল ভালবেসেছি, পরক্ষণেই দেখতে পাই সে আমার নয়।
কোথায় কেন জানি না-মনের মধ্যে আঘাত পাই। গুমরে ওঠে মন, চোখে আসে জল ভরে। তাহলে কি?…
তখনই একটা গান মনে আসে রামপ্রসাদের- ‘এ পৃথিবীর কেউ ভালো তো বাসে না, এ পৃথিবী ভালবাসিতে জানে না।’
তাহলে আমরা যাকে ভালবাসা বলি, তা কি?
সাধু-মহাত্মারা বলেন- ‘তা হল আসক্তি এবং মোহ। আমরা সত্যিকারের ভালবাসা কি, জানি না। ভালবাসা হল- বন্ধনহীন এক প্রেম, যা আসে আসক্তিহীন, নি:স্বার্থপর ও নিহংকারী ভাবনা থেকে।’
আর বুদ্ধির কথায় একটি কথা মনে আসে- ‘যে জনা কৃষ্ণ ভজে, সে বড় চতুর।’
কারণ আমরা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ্ ও মাৎসর্য্যের দাস। তাই আমাদের বুদ্ধি দাসত্ব-বুদ্ধি এবং জ্ঞানও তাই সীমাবদ্ধ- কারণ এই জ্ঞান আমাদের মায়া থেকে মুক্ত করতে পারে না।
তাই চাই সদগুরু সঙ্গ।
তাঁর কৃপা ও শিক্ষায় আমরা জ্ঞানীও প্রেমিক হব।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রিতাপ জ্বালা
সদগুরু সঙ্গ
এটা মহাপুরুষের দেশ
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
ভগবান কোথায় থাকেন?
সংসার ধর্ম
কি ভাবে সংসার করবো?
ভগবানের সর্বব্যাপীত
ভগবানকে কেন ডাকি?
পরশ পাথর
খারাপ দিন
রথ ও রথের মেলা
জীবনধারা
আমরা সাধারণ মানুষ
সব থেকে বড় হৃদয়
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও
……………………………….
আরো পড়ুন:
গুরুপূর্ণিমায় গুরু-শিষ্য পরম্পরা: এক
গুরুপূর্ণিমায় গুরু-শিষ্য পরম্পরা: দুই
গুরুপূর্ণিমায় গুরু-শিষ্য পরম্পরা: তিন
গুরুপূর্ণিমায় গুরু-শিষ্য পরম্পরা: চার
গুরুপূর্ণিমায় গুরু-শিষ্য পরম্পরা: পাঁচ
গুরুপূর্ণিমায় গুরু-শিষ্য পরম্পরা: ছয়
গুরুপূর্ণিমা
গুরুপূর্ণিমা ও ফকির লালন