ভবঘুরেকথা
মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজি

-জহির আহমেদ

[পূর্বে প্রকাশের পর]

তারাই পৃথিবীতে ধর্মীয় উগ্রতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে মানব সমাজকে অহংকার, হিংসা, বিদ্বেষে বিষাক্ত করে তুলছে। মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজি তার গানে এসব অন্ধ মানুষকে পথ দেখাতে চেয়ছেন। তাই ফকির লালন সাঁইজি বলেছেন-

জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা,
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবি দেখি তা না-না-না।।

আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।।

ব্রাহ্মণ চণ্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাকেও ছাড়বে না।।

গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়।,
লালন বলে জাত কারে কয়
এ ভ্রম তো গেল না।।

বাউলদের দেহকেন্দ্রিক সাধনার উদ্দেশ্য হলো কাম থেকে প্রেমে উত্তীর্ণ হওয়া। মানুষের ভেতরে অতি গোপনে যে অপরূপ জগত সাঁই, তাকেই লালন ‘মনের মানুষ’, ‘অধর মানুষ’, ‘অচিন পাখি’, ‘আরশি নগরের পড়শি’, এসব নামে ডেকেছেন। এই অধর মানুষকে নিজের মধ্যে উপলব্ধি করতেই বাউলদের যত দেহতত্বিক সাধনা।

মানবদেহের সারবস্তু হলো রক্তনির্যাস বা রতি। রতিক্ষয় মানুষের দেহমনে অস্থিরতা ও চিত্তচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। তাই অপ্রয়োজনীয় রতিপাত রোধ করে বাউলরা শান্ত বা স্থিরাবস্থায় পৌঁছাতে চায়। তাদের রতিক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্যও তাই।

চরম মুহূর্তেও ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে তারা আত্মশক্তি অর্জন করে বীর্যকে ঊর্ধ্বগামী করে তোলে। রেচক-পূরক-কুম্ভক বা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে তারা সাধনা করেন। রতিস্তম্ভনের মাধ্যমে তারা রতিক্ষয় নিবারণের চেষ্টা চালায়। দেহতত্ত্বে এই সাধনার নাম প্রাণায়াম।

দেহের সারবস্তু ঊর্ধ্বগামী হলে, মনটিও ধীরস্থির উন্নত হয়। আয়নার মতো অচঞ্চল স্বচ্ছ জলে যেমন প্রতিবিম্ব দেখা যায়, অচঞ্চল মনের আয়নাতেও তেমনি আত্মরূপ দর্শন করা যায়। প্রাণায়ামের মাধ্যমে সাধকেরা ‘ঊর্ধ্বরতি শান্তমতি’ অর্জন করে। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন ত্যাগের সাধনায় সফল হলে ‘মুউতু কাবলান্তা মউত’ বা মরার আগে মরার ভাব অর্জন করে। মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজির দেহতত্ত্বের একটি গান-

কি সন্ধানে যাই সেখানে
মনের মানুষ যেখানে,
আঁধার ঘরে জ্বলছে বাতি
দিবা রাতি নাই সেখানে।।

যেতে পথে কাম নদীতে
পাড়ি দিতে ত্রিবিণে,
কতো ধনীর ভারা যাচ্ছে মারা
পরে নদীর তোড় তুফানে।।

রসিক যারা চতুর তারা
তারাই নদীর ধারা চেনে,
উজান তরী যাচ্ছে বেয়ে
তারাই স্বরূপ সাধন জানে।।

লালন বলে ম’লাম জ্বলে
দিবানিশি জলে স্থলে,
আমি মণি হারা ফণির মত
হারা হইলাম পিতৃধনে।।

বাউল-ফকিররা সাম্প্রদায়িক মুসলমান নয়, হিন্দু নয়, বৌদ্ধ নয়, খ্রিষ্টান নয়, তারা বিশ্বমানব- ‘ইনসান’। তারা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষকে ভালোবাসে। জাতিসংঘও বাউলদেরকে শান্তিপ্রিয় মানব সম্প্রদায় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত করেছে।

বাউলরা বিশ্বাস করে, মানুষের মাঝে গোপনে বিরাজ করেন এক অধরা মানুষ। সেই মানুষই তার মনের মানুষ, আত্মার আত্মীয়। সেই অপরূপ মনের মানুষের ভেতরেই আছেন তার পরমেশ্বর। মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজির সেই অচিন পাখি তার সাথে কথা কয়, দেখা দেয় না! কখনো ইশারা দেয়, আবার লুকিয়ে থাকে।

চলে আশেক-মাশুক বা প্রেমিক-প্রেমাস্পদের খেলা! ভক্তের সাথে তিনি প্রেমের লুকোচুরি খেলেন। মাশুককে পাওয়ার জন্য আশেক তখন দেওয়ানা হয়ে যায়। এই রূপের নেশায় বাউলেরা জাত-কুল-মান ও লোকলজ্জাকে বিসর্জন দিয়ে দেয়। মনের মানুষের সাথে বিচ্ছেদহীন মিলনের আশায় লালন সাঁইজি বলেন-

মিলন হবে কত দিনে।
আমার মনের মানুষের সনে।।…

ঐ রূপ যখন স্মরণ হয়
থাকে না লোকলজ্জার ভয়,
লালন ফকির ভেবে বলে সদাই
ও প্রেম যে করে সেই জানে।।

পবিত্র কোরান আছে, ‘আমি মানুষকে আমার প্রতিরূপে সৃষ্টি করেছি।’ কোরানে আরো আছে, ‘তোমরা আল্লাহকে মান, আল্লাহর রাসুলকে মান ও তোমাদের মধ্যে যারা নেত্রিত্বস্থানীয় তাদেরকে মান।’ আর লালন সাঁইজি বলেছেন-

যেহি মুর্শিদ সেহি রাছুলুল্লাহ
সাবুদ কোরান কালুল্লাহ,
যেজন আশেকে বলেছে আল্লাহ
তাও হয় সে।।

বাউলরা জীবতত্ত্ব ও পরমতত্ত্বের ভাবনায় নিমগ্ন হয়ে সত্যকে খুঁজে বেড়ায়। তারা বিশ্বাস করে, খণ্ড আত্মা সাধনার মাধ্যমে প্রকাণ্ড রূপ লাভ করতে পারে। মানবাত্মা স্থূল-প্রবর্তক-সাধক-সিদ্ধি এ চার মোকাম অতিক্রম করে নির্বাণ বা মুক্তি লাভ করে অখণ্ড পরমাত্মায় মিলিত হয়। বাউলের গানের সুর ও বাণীর কারুকাজে ভাবুকের আত্মা স্পন্দিত হয়-প্রাণের খোরাক জোগায়।

এক জীবনে মানুষের আশা পূর্ণ হয় না। সংসারের জেলখানায় বন্দি হয়ে হাঁসফাস করা প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, ‘তিনি কে? আর আমিই বা কে? আমি কোথায় ছিলাম? কোথায় এসেছি?’ যারা আসে, তারা সবাই চলে যায়। আমাকেও একদিন চলে যেতে হবে। তাই জগত-সংসারে বন্দি লালন সাঁইজি গেয়ে উঠেন-

আশা পূর্ণ হলো না
আমার মনের বাসনা।।

বিধাতা সংসারের রাজা
আমায় করে রাখলেন প্রজা,
কর না দিলে দেয় গো সাজা
কারো দোহাই মানেনা।।

হাদিসে কুদশিতে আছে, ‘মান আরাফা নাফছাহু, ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু’। যে নিজেকে চিনতে পেরেছে, সে তার প্রভুকে চিনতে পেরেছে। তবে ‘আমি’কে চিনার জন্য একজন ‘তুমি’র প্রয়োজন। যার কাছে সব কিছু সমর্পণ করে দেয়া যায়। তিনিই প্রকৃত আপন। বাউলেরা নিজেকে চিনার রাস্তা সহজ করতে একজন গুরু বা সত্যপীরের কাছে নিজের সকল অহংকারকে সঁপে দিয়ে তাঁর অনুসরণ করে।

আত্মজ্ঞানীই সত্যপীর বা সদগুরু। তাই একজন আত্মজ্ঞানীকে ভালোবাসলেই- তাঁকে অনুসরণ করলেই আত্মজ্ঞান লাভ করা সম্ভব। লালন সিরাজ সাঁইয়ের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে আত্মতত্ত্ব জেনে প্রভুকে চেনার পথ খুঁজে নিয়েছিলেন।

দয়ালু, হৃদয়বান ও মানবতাবাদী মানুষ আল্লাহর প্রিয়। এ ধরণের মানুষের অন্তরে আল্লাহ বাস করেন। যে আল্লাহর প্রিয় বান্দাকে ভালোবাসেন আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।

মহান আল্লাহ সর্বশক্তিমান, সর্বত্র বিরাজমান। স্রষ্টা সরাসরি দৃশ্যমান না হলেও সৃষ্টির মধ্যেই তাঁর মাহাত্ম প্রকাশিত হয়। তাই আল্লাহর গুণে গুণান্বিত মানুষের প্রতি যে বিশ্বাস-ভক্তি-ভালোবাসা, তা আল্লাহই পেয়ে থাকেন। তাই পীর বা গুরুর প্রতি বাউল-ফকিরদের থাকে অটল বিশ্বাস, ভক্তি ও ভালোবাসা। গুরু সিরাজ সাঁইর আনুগত্য করে, ফকির লালন সে প্রমাণ রেখে গেছেন।

কথায় বলে ভক্তের অধীন ভগবান। কিন্তু মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজির আরাধ্য চিরকালই কি অধরা থেকে যাবে? এ খেদ তাকে আরো ব্যাকুল করে তুলে।

চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি।
ভেদ-পরিচয় দেয় না আমার
ওই খেদে ঝুরে আঁখি।।

পাখি বুলি বলে শুনতে পাই
রূপ কেমন দেখি নে ভাই
বিষম ঘোর দেখি;
চিনাল পেলে চিনে নিতাম
যেত মনের ধুকধুকি।।

পোষা পাখি চিনলাম না
এ লজ্জা তো যাবে না
উপায় করি কী;
পাখি কখন যেন যাবে উড়ে
ধুলো দিয়ে দুই চোখি।।

আছে নয় দরজা খাঁচাতে
যায় আসে পাখি কোন পথে
চোখে দিয়ে রে ভেল্কি;
সিরাজ সাঁই কয় লালন বয়
ফাঁদ পেতে ওই সিঁদমুখী।।

পরমকে পাওয়ার এই আকুলতা থেকে মুর্শিদের বরযখ ধ্যানে ফকির লালনের একদিন শুরু হয়েছিল সাধন-ভজন। জাগতিক সব আকর্ষণ ত্যাগ করে গানে গানে আকুল সুরে প্রভুর আরাধনায় মগ্ন হলেন লালন। একদিন আল্লাহর রহমতের সাগরে ঢেউ জাগলো। লালন স্বীকৃত হলেন ধর্মগুরু মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজি হিসেবে। মানব সমাজে তিনি পৌঁছে গেলেন অতুলনীয় এক উচ্চতায়।

আধুনিক বিশ্ব চরমভাবে ভক্তিহীন। বস্তু আকর্ষণের অর্বাচীন মোহে আধুনিক মানুষ নিমজ্জিত। তারা কেবল শারীরিক ও পার্থিব সুখ খুঁজে বেড়ায়। মানুষের আত্মা আজ যন্ত্রের কাছে পরাজিত। সে যন্ত্র শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান মানুষের দেহকে সুখের সাগরে ভাসাচ্ছে, কিন্তু আত্মাকে উদাসীন করে রাখছে।

স্বর্গের লোভ ও নরকের ভয়ে সীমাবদ্ধ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানেও মানুষ শান্তি পায় না। কেউ বাকির লোভে বিভ্রান্ত হয়ে আছে, আবার কেউ আত্মিক শান্তিকে বাদ দিয়ে পার্থিব মুক্তির পিছনে পাগলের মতো ঘুরছে। মানব ইতিহাসে এ এক চরম বিভ্রান্তি। ভক্তি ছাড়া আত্মার মুক্তি নেই; এই সত্য বুঝে ফকির লালন লীলাময় জগত সাঁইয়ের দেয়া জাগতিক মুক্তিপদে লালায়িত না হয়ে, তার ভক্তিপদের আকাঙ্ক্ষী হলেন।

জগৎ মুক্তিতে ভোলালেন সাঁই।
ভক্তি দাও হে যাতে চরণ পাই।।

ভক্তিপদ বঞ্চিত করে
মুক্তিপদ দিচ্ছো সবারে,
যাতে জীব ব্রহ্মাণ্ডে ঘোরে
কাণ্ড তোমার দেখি তাই।।

রাঙ্গা চরণ দেখবো বলে
বাঞ্ছা সদাই হৃৎকমলে,
তোমার নামের মিঠায় মন মজেছে
রূপ কেমন তাই দেখতে চাই।।

চরণের যোগ্য মন নয়
তথাপি মন ঐ চরণ চায়,
ফকির লালন বলে হে দয়াময়
দয়া করো আজ আমায়।।

গুরু সিরাজ সাঁইয়ের নিকট লালন সবসময়ই দাস, হীন, অধীন, অবোধ, অধম, ইতর, বেলেল্লা, ভেঁড়ো ইত্যাদি অভিধায় নিজেকে প্রকাশ করেছেন। লালনের ভক্তিবাদী গানগুলোতে তার বিনয়, নম্রতা ও আকুতি অকল্পনীয়। প্রভুর বিচ্ছেদ বেদনা থেকেই মানুষ এমন আহাজারি প্রকাশ করতে পারে।

আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই।
নইলে মোর দশা কি এমন হয়।।

ভাব জানিনে প্রেম জানিনে
দাসী হতে চাই চরণে,
ভাব দিয়ে ভাব নিলে মনে
সেই সে রাঙ্গা চরণ পায়।।

নিজগুণে পদারবিন্দ
দেন যদি সাঁই দীনবন্ধু,
তবে তরি ভবসিন্ধু
নইলে না দেখি উপায়।।

মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজির ভক্তিমূলক আরো একটি গানের অংশ-

দাসের যোগ্য নই চরণে ।
নইলে দশা ঘটতো না আর
মোর জীবনে।।

পদে যদি দাসী হতাম
চরণে রাখতেন গুনধাম,
ঘটতো না আর অসত্য কাম
দূরে যেত ভয় শমনে।।

বিনয়ী হয়ে, ভক্ত হয়ে, নিরহঙ্কার হয়েই বড় হয়েছেন লালন, হয়েছেন মহান। আজ ফকির লালন সাঁইজি কোটি মানুষের সাঁইজি-গুরু, আত্মার রাজ্যে রাজাধিরাজ, প্রভুর নৈকট্যপ্রাপ্ত একজন কামেল মানুষ।

মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘বান্দা আমার ব্যাপারে যেমন ধারণা করবে, তেমনি আমাকে পাবে। আমাকে যখন সে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গে থাকি। সে যদি আমাকে তার অন্তরে স্মরণ করে, আমিও তাকে আমার অন্তরে স্মরণ করি। আর যদি সে আমাকে কোনো জনগোষ্ঠির নিকট স্মরণ করে, আমি তাকে তাদের চেয়ে উত্তম জনগোষ্ঠির নিকটে স্মরণ করি।’

মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজি সাধনে-ভজনে স্রষ্টাকে স্মরণ করেছেন তার অন্তরে। গানে আর চলনে-বলনে মানবকূলে তারই গুণগান করেছেন। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরো বৃহৎ, আরো উত্তম মানব সমাজে আজ লালনের নাম-গুণ-মান-যশ স্মরণ করা হচ্ছে।

(সমাপ্ত)

…………………………………..
চিত্র:
ফকির লালন সাঁইজির প্রকৃত কোনো ছবি নেই। লেখাতে ব্যবহৃত ছবিটি লালন ফকিরের কাল্পনিক একটি ছবি মাত্র। বহুল ব্যবহৃত হলেও এই ছবির সাথে লালন সাঁইজির আদৌ কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় না।

………………………..
আরো পড়ুন:
মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজি: এক
মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজি: দুই
মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজি: তিন

লালন ফকিরের নববিধান: এক
লালন ফকিরের নববিধান: দুই
লালন ফকিরের নববিধান: তিন

লালন সাঁইজির খোঁজে: এক
লালন সাঁইজির খোঁজে: দুই

লালন সাধনায় গুরু : এক
লালন সাধনায় গুরু : দুই
লালন সাধনায় গুরু : তিন

লালন-গীতির দর্শন ও আধ্যাত্মিকতা: এক
লালন-গীতির দর্শন ও আধ্যাত্মিকতা: দুই

ফকির লালন সাঁই
ফকির লালনের ফকিরি
ফকির লালন সাঁইজি
চাতক বাঁচে কেমনে
কে বলে রে আমি আমি
বিশ্ববাঙালি লালন শাহ্ফকির লালন সাঁইজির শ্রীরূপ
গুরুপূর্ণিমা ও ফকির লালন
বিকৃত হচ্ছে লালনের বাণী?
লালন ফকিরের আজব কারখানা
মহাত্মা লালন সাঁইজির দোলপূর্ণিমা
লালন ফকির ও একটি আক্ষেপের আখ্যান
লালন আখড়ায় মেলা নয় হোক সাধুসঙ্গ
লালন অক্ষ কিংবা দ্রাঘিমা বিচ্ছিন্ন এক নক্ষত্র!
লালনের গান কেন শুনতে হবে? কেন শোনাতে হবে?
লালন গানের ‘বাজার বেড়েছে গুরুবাদ গুরুত্ব পায়নি’
‘গুরু দোহাই তোমার মনকে আমার লওগো সুপথে’
মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজির স্মরণে বিশ্ব লালন দিবস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!