-সত্যানন্দ মহারাজ
কথায় বলে ‘সংসার ধর্ম’। এই সংসার ধর্ম একটি মহান ধর্ম। কারণ সংসার হল এমন স্থান যেখানে- ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ পুরোটাই যুক্ত হয়ে আছে।
তাই আগেকার দিনে ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস মানব জীবনের এই চারটি পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিটি মানুষকে নিতে হত গুরুকূলে গিয়ে, গুরুর কাছ থেকে।
এবং সেই গুরুরা প্রায়শই হতেন ব্রহ্মজ্ঞ বা বেদজ্ঞ সাধু-সন্ন্যাসী বা কূল-পুরোহিত, আচার্য্য। তাই দেখা যায়- রাজ-দরবারেও একজন রাজ গুরু থাকতেন। যিনি বা যাঁর কাছ থেকে রাজা সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ভাবে রাজ্য শাসনের জ্ঞান নিতেন বা সেই গুরু সৎ পরোপকারী ও জগৎ-কল্যাণকারী বুদ্ধি রাজাকে প্রদান করতেন।
সাধারণ সংসারীরা সেই জ্ঞান নিতেন, পরিবারের কূল গুরুর কাছ থেকে। আজও সেই প্রথা পুরোপুরি না হলেও আংশিকভাবেও দেশের মন্ত্রীগণ বা সাধারণ সংসারী মানুষেরা দেশ বা পরিবার পরিচালনা করে থাকেন।
উপযুক্ত গুরুজ্ঞানে সেই দেশ বা পরিবার আর পাঁচটা দেশ বা পরিবারের তুলনায় অনেক বেশি মানবিক উৎকর্ষতার সহিত উন্নতি লাভ করে ও একই সাথে জগতের কল্যাণও সাধিত করে।
কিন্তু বর্তমানে সেই শিক্ষার অমর্যাদা ও অবলুপ্তির কারণে আজ আমরা পরমুখাপেক্ষী হতে বাধ্য হয়েছি বা হচ্ছি। যার ফল সকল ভোগ-ঐশ্বর্য্যের মধ্যেও অশান্তি ও অমানবিকতার প্রাচুর্য্যের প্রভাবে- দেবসুলভ আচরণের অভাবে ভুগছি।
আগেকার দিনে গার্হস্থ্য জীবন যাপনের ধর্মীয় চিন্তা-ভাবনার ওপর জোর দেওয়া হত। তার ফল স্বরূপ অসংখ্য সংসারী বাবা-মায়ের কোল জুড়ে আবির্ভূত হতেন অনেক সাধু-মহাত্মা, মহাপুরুষ এমনকি স্বয়ং ভগবান রাম, কৃষ্ণ ইত্যাদি।
কারণ আদর্শ পিতা-মাতাই আদর্শ সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। যার ফল সমাজ, সংসার, দেশ এমনকি সারা পৃথিবী উপকৃত হত বা হতে পারে। তাই সংসার ধর্ম-মহান ধর্ম।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রিতাপ জ্বালা
সদগুরু সঙ্গ
এটা মহাপুরুষের দেশ
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
ভগবান কোথায় থাকেন?
সংসার ধর্ম
কি ভাবে সংসার করবো?
ভগবানের সর্বব্যাপীত
ভগবানকে কেন ডাকি?
পরশ পাথর
খারাপ দিন
রথ ও রথের মেলা
জীবনধারা
আমরা সাধারণ মানুষ
সব থেকে বড় হৃদয়
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও