ভবঘুরেকথা

শূদ্র কারা?

শুধ্যেদ বিপ্রাে দশাহেন, দ্বাদশাহেন ভূমিপঃ।
বৈশ্যঃ পঞ্চদশাহেন, শূদ্রো মাসেন শুধ্যতি।।
(মনুসংহিতা- ৫ম অধ্যায়, ৮৩ শ্রোক)

তাৎপর্য্য- একজন মানুষ মৃত্যুবরণ করলে বংশগত জাতিভেদ প্রথা বা ব্রাহ্মণ্যবাদের বিধান অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির পুত্র-কন্যা ও নিকট আত্মীয় স্বজনেরা অশৌচ হয়ে যায়। এজন্য জাতিভেদের নিয়ম অনুসারে ১০-১২-১৫-৩০ দিন অশৌচ পালন শেষে বংশগত, ব্রাহ্মণ দ্বারা মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে তারপর পবিত্র হতে হয়।

যারা ১০দিন অশৌচ পালন শেষে ১১দিনে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে তারা ব্রাহ্মণ, যারা ১২দিন অশৌচ পালন শেষে ১৩ দিনে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে তারা ক্ষত্রিয়, যারা ১৫দিন অশৌচ পালন শেষে ১৬দিনে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে তারা বৈশ্য, আর যারা ৩০ দিন অশৌচ পালন শেষে ৩১ দিনে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে তারা-ই শূদ্র, এই হল শাস্ত্রের বিধান।

এখন প্রশ্ন হল- এক ঈশ্বরের সৃষ্টি, এক ধর্মালম্বী, এক-ই নিয়মে পিতা-মাতার মাধ্যমে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে এত জাতিগত বৈষম্য কেন?

তৎকালীন সময়ে সরকারী ভাবে বিদ্যাশিক্ষা ব্যবস্থা (বিদ্যালয়) না থাকায় এবং সামাজিক ভাবে নিষপেষিত হওয়ার কারণে এদের ছিল না বিদ্যা শিক্ষা, ছিল না ধর্ম শিক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য করার সুযােগ থেকে এরা ছিল বঞ্চিত, অশিক্ষিতের কারণে এদের কোন জাতীয়তা বােধ ছিল না।

ব্রাহ্মণ সমাজপতিদের শােষন-শাসন এতটাই কঠোর ছিল যে, অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষেরা প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না। তাই এক-ই ঈশ্বরের সৃষ্ট মানুষ হয়েও এরা ছিল সামাজিক বৈষম্যের শিকার।

তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় প্রাচীন শাস্ত্রগ্রন্থের প্রভাব-

বিপ্রের জীবিকা হয় সঙ্গেতে সঙ্গেতে।
বেদ অধ্যয়নাদি বিদিত জগতে,
পদদ্বয় হতে হয় শূদ্রের জনম।
তাহাদের বৃত্তি হয় দ্বিজাতি সেবন।

শ্রীমদ্ভাগবত, তয় স্কন্ধ, ৮৭পাতা
বে. মা. শীল প্রকাশিত

তাৎপর্য্য- ব্রাহ্মণ জাতি শ্রীহরির বদন (মুখ) থেকে জন্মেছে তাই ব্রাহ্মণ সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, এরা বেদপাঠ করবে এবং বেদমন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে যাগ যজ্ঞ, পূজা অর্চণার পৌরহিত্য করবে, আর শূদ্রজাতি পা থেকে জন্মেছে এরা হীনজাতি, শূদ্রের কাজ ব্রাহ্মণদের সেবা করা।

রজকাদি অস্পৃশ্য জাতিগণে স্পর্শ করে।
স্ববস্ত্রে করিবে স্নান তিনি হে সত্বরে
আর যদি অজ্ঞানেতে জাতি ঐ সকল।
স্পর্শিয়া গৃহতে আসি ভক্ষে অন্নজল

তাহাতে ত্রিরাত্র উপবাস যে করিয়া।
খাইবেক পঞ্চগব্য বিধি বিশেষিয়া।
তবেই তার পাপ হইবে খণ্ডন।
নিশ্চয় জানিবে এই পুরাণ বচন।

(শ্রীমদ্ভাগবত, ১২ স্কন্ধ, ১০৪৬ পৃষ্ঠা)

তাৎপর্য- অস্পৃশ্য ছােট জাতের স্পর্শ হলে, তখনি পরিধেয় বস্ত্রসহ স্নান করতে হবে। আর যদি ঐ সব অস্পৃশ্য ছােট জাতের সাথে অজান্তেও স্পর্শ হয়ে যায় এবং ঐ অবস্থায় যদি স্নান না করে ভাত জল খায় তাহলে মহাপাপ হবে, আর সেই মহাপাপ হতে মুক্তি পেতে হলে, শ্রীমদ্ভাগবতের বিধান মতে পঞ্চগব্য খেতে হবে।

গরুর-গােবর-গরুর চোনা (মূত্র) ইত্যাদি একেই বলে পঞ্চগব্য। এতে বােঝা যায় ব্রাহ্মণদের কাছে ছােট জাতের মানুষেরা গরুর গােবর চোনা অপেক্ষাও নিকৃষ্ট। তৎকালীন সময়ে হিন্দু সমাজে নারীর অবস্থা- আগেকার দিনে নারীর প্রতি অমানবিক বর্বোরােচিত আচরণ করা হত।

প্রাচীন শাস্ত্রের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে, (যা ছিল ব্রাহ্মণ সমাজপতিদের দ্বারা রচিত), মৃত স্বামীর সাথে জীবন্ত স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা হত, একে-ই বলে সতীদাহ।
সতীদাহ সমর্থনে প্রাচীন শাস্ত্রের উক্তি-

সতী সহমৃতা হবে শাস্ত্রের বিধান।
সহমৃতা পত্নীপায় গােলকেতে স্থান।

পবিত্র অন্তরে পতি সহমৃতা হও।
ভবের যাতনা নাশি মুক্তি পদ পাও।
পতি যদি কভু হয় অতি পাপাচার।
সহগামী সতী তারে করিবে উদ্ধার।

সহমৃতা যেই নারী পতিসহ হয়।
গােলক ভূবনে বাস জানিবে নিশ্চয়।
তাহার সুখ্যাতি রটে জগৎ মাঝারে।
শাস্ত্রের লিখন এই কহিনু তােমারে

ব্রহ্মবৈবর্ত পূরাণ, গণপতি খণ্ড।
(নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় বিরচিত) ২৮৫ পৃষ্ঠা।

তাৎপর্য- এখানে মৃত স্বামীর সাথে জীবন্ত স্ত্রীর পূড়িয়ে মারার বিধান পাকাপােক্ত করা হয়েছে, কারণ- যে নারী স্বামীর সাথে সহমৃতা হবে সে নিশ্চিত ভাবে স্বর্গে বসত করবে, ইহজগতে তার সুখ্যাতি হবে, আর পরজগতে মহাশান্তিতে থাকবে, এটাই হচ্ছে শাস্ত্রের বিধান।

সতীদাহ সমর্থনে শ্রীমদ্ভাগবত-

নারীগণ পতি পুত্রে করি আলিঙ্গণ।
প্রজ্বলিত চিতানলে করে আরােহণ।
বলরাম পত্নী রামদেহ আলঙ্গিয়া।
অগ্নিতে প্রবেশ করে পতিকে লইয়া।

বাসুদেব (শ্রীকৃষ্ণ) পত্নীগণ পতির সহিত।
চিতায় প্রবেশ করে হয়ে আনন্দিত।
শ্রীহরির পুত্রবধু মিলিয়া সকলে।
নিজ নিজ পতিসহ প্রবেশে অনলে।

শ্রীমদ্ভাগবত, ১১স্কন্ধ, যদুকুল বিনাশ,
(বে. মা. শীল, প্রকাশিত ৯৩৬ পৃষ্ঠা)

তাৎপর্য্য- ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন দেহত্যাগ করেন, তখন শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রী রুক্মিনী, সত্যভামা, জাম্বরতী, কালিন্দী, লক্ষ্ণা, মিত্রবিন্দা, নাগ্নজিতী, সুমিত্রা ৮জন শ্রীকৃষ্ণের সহিত আগুনে পুড়ে সহমৃতা হয়েছিল। বলরামের জীবন্ত স্ত্রী বলরামের সাথে সহমৃতা হয়েছিল। শ্রী কৃষ্ণের জীবিত পুত্রবধুগণ শ্রী কৃষ্ণের মৃত পুত্রদের সাথে সহমৃতা হয়েছিল।

এজন্য সমাজে বহুল পরিমাণে বাল্য বিবাহের প্রচলন ছিল কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পরেও যদি স্বামী মারা যায় তাহলেও তাকে আজীবন বৈধব্যের জ্বালা ভােগ করতে হত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তার নিজের অবিবাহিত ছেলের সাথে বিধবা মেয়ের বিবাহ দিয়ে সমাজে বিধবা বিবাহের প্রচলন করেন। আর পুরুষদের বেলায় কোন বিধি-নিষেধ ছিল না, একজন পুরুষের একাধিক বিয়ে করার অধিকার ছিল, এই ছিল তৎকালীন সময়ের সমাজে নারীর অবস্থা।

ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পূরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবতের এই উক্তিতে বুঝা যায় আগেকার দিনে সতীদাহ প্রথা বলবৎ ছিল। সতীদাহ প্রথা দ্বারা সাধারণ মানুষকে নির্যাতিত, নিষ্পেষিত করা হত, কিন্তু ব্রাহ্মণ সমাজপতিদের এতটাই দৌরাত্ম ছিল যে, নিম্নবর্ণের হিন্দুরা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে সাহস পেত না। অবশেষে রাজা রামমােহন রায়ের অক্লান্ত চেষ্টায় ইংরেজ শাসনামলে (১৮২৯ সালে লর্ড বেন্টিক এর সময়) রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন পাশ করে সতীদাহ প্রথা চিরতরে বন্ধ করা হয়।

নারীর প্রতি বৈষম্য- ঋতুবতী, গর্ভবতী, সদ্যপ্রসুতি ও দুগ্ধ পােষ্য নাবালক সন্তানের জননী সতীদাহ প্রথা হতে নিস্তার পেত, কিন্তু শাস্ত্র বিধান অনুযায়ী এরা সতীদাহ প্রথার হাত থেকে রক্ষা পেলেও বিধবা হয়ে জীবন যাপন করাও ছিল কঠিন দুর্বিসহ।

সমাজে বিধবাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হত, বিধবা নারীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে দেওয়া হত না। বিধবা হওয়ার পর থেকে আজীবন ব্রহ্মচারী হয়ে থাকতে হত এবং সর্বদা মাথা মুণ্ডন (টাক) করে রাখার বিধান ছিল, কারণ-

বিধবা রমনীর মাখায় লম্বাচুল থাকলে তা পরলােকগত স্বামীর জন্য বন্ধনের কারণ হয়, তাই বিধবাদের মাথা টাক- অথবা চুল ছােট রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। ভাবতেও অবাক লাগে যে কন্যা সন্তানের বিয়ের জন্য ৯ বছর, ৩ মাস পর্যন্ত উপযুক্ত প্রশস্ত সময় নির্দ্ধারণ করা ছিল।

(মনু সংহিতা ৯ম অধ্যায় ৯৪ শ্লোক)

এজন্য সমাজে বহুল পরিমাণে বাল্য বিবাহের প্রচলন ছিল কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পরেও যদি স্বামী মারা যায় তাহলেও তাকে আজীবন বৈধব্যের জ্বালা ভােগ করতে হত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তার নিজের অবিবাহিত ছেলের সাথে বিধবা মেয়ের বিবাহ দিয়ে সমাজে বিধবা বিবাহের প্রচলন করেন। আর পুরুষদের বেলায় কোন বিধি-নিষেধ ছিল না, একজন পুরুষের একাধিক বিয়ে করার অধিকার ছিল, এই ছিল তৎকালীন সময়ের সমাজে নারীর অবস্থা।

শিক্ষা ব্যবস্থা

আধুনিক কালের মত সবার জন্য শিক্ষা এ ধরনের কোন নীতি আদর্শ আগেরকার দিনে ছিল না এবং সরকারী ভাবে পরিচালিত কোন বিদ্যালয় ছিল না। রাজা জমিদারদের ব্যক্তিগত উদ্দোগে বিদ্যালয় তৈরী করা হত, সেই বিদ্যালয়ে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের কোন প্রকার প্রবেশ অধিকার ছিল না।

তাই সমাজের বৃহৎ অংশ নিম্নবর্ণের মানুষ ছিল বিদ্যাহীন, মূর্খ, অতএব নিম্নবর্ণের হিন্দুরা ছিল শােষিত, বঞ্চিত, অবহেলিত এক বিরাট জনগােষ্ঠী। বিদ্যাহীন থাকার কারণে ধর্মীয় শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরী কোন কিছুতেই এরা সুযােগ পেত না, এই ছিল তৎকালীন সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা।

তৎকালীন সময়ে ধর্মীয় অবস্থা

কথিত হীনজাতি শূদ্র হিসেবে নিষপেষিত হওয়া ও বিদ্যাশিক্ষা না থাকার কারণে- বিভিন্ন শিক্ষা দীক্ষায় এরা ছিল একেবারেই অজ্ঞ, তা ছাড়া কোন প্রকার কষ্ট সাধ্য করে লেখাপড়া শিখলেও শূদ্রদের বেদ পাঠে ছিল নিযেধাজ্ঞা। শূদ্রদের বেদ-পূরাণসহ কোন ধর্মগ্রন্থ স্পর্শ করতে দেওয়া হত না এবং বেদের মূল মন্ত্র ওঁ শব্দ উচ্চারণ করাও নিষেধ ছিল।

খড়-মাটি, দ্বারা তৈরী দেব-দেবীর মূর্তি শূদ্ররা স্পর্শ করলে অপবিত্র হয়ে যাবে তাই ঐ সব দেবমূর্তি, এমন কি পূঁজার মন্দির পর্যন্ত নিম্নবর্ণদের স্পর্শ করতে দেওয়া হত না, এই ছিল তৎকালীন সময়ে ধর্মীয় অবস্থা।

ঠাকুর আউলচাঁদের আবির্ভাবের সময় বাংলার অবস্থা ছিল এক অন্ধকারময় যুগ, বৈষম্যমূলক বর্ণবাদ বা বংশগত জাতিভেদের ব্রাহ্মণ্যবাদী সমাজ ব্যবস্থায় কথিত কিছু উচ্চবর্ণের মানুষের নির্যাতন, নিপীড়ন, অমানবিক আচরণে কথিত নিম্নবর্ণের অগণিত মানুষ ছিল দিশেহারা।

এই অবস্থা থেকে মুক্তির পথ দেখাতে ঠাকুর আউলচাঁদের আবির্ভাব ও কর্তাভজা ধর্মের প্রবর্তন, কর্তাভজা সম্প্রদায়ভুক্ত ভক্তদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে- বৈষম্যমূলক বর্ণবাদ, বংশগত জাতিভেদ ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার বিপরীতে কর্তাভজা ধর্মের অবস্থান, নিজগৃহে বংশগত ব্রাহ্মণের স্বার্থের অনুকূলে পুঁজা-অর্চণা করে আর ব্রাহ্মণ্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা লালন পালন করে ‘কর্তাভজা ধর্মের অনুসারী বা সতীমায়ের ভক্ত হওয়া যায় না।

ঘোষপাড়ার ডালিম তলা ও হিমসাগরের মাহাত্ম্য>>

……………..
‘সতীমা ও সত্যদর্শন’ বই থেকে সংগৃহীত

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………..
আরও পড়ুন-
কর্তাভজা ধর্মের ইতিহাস
ঠাকুর আউলচাঁদের আবির্ভাব
গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ভুক্ত ভক্তদের বিশ্বাস
রামশরণ ও সতীমার দীক্ষা গ্রহণ
কর্তাভজা সম্প্রদায়ের দশ আজ্ঞা
সতীমা কে?
শূদ্র কারা?
ঘোষপাড়ার ডালিম তলা ও হিমসাগরের মাহাত্ম্য
কর্তাভজার বাইশ ফকির
আউলচাঁদের তিরােধান
দুলালচাঁদ
সতীমায়ের উপদেশ বাণী
ঘোষপাড়ার রথযাত্রা উৎসব
সতীমার তিরােধান
কর্তাভজা ধর্মের মূলস্তম্ভ

ত্রিশ ধারা

Related Articles

1 Comment

Avarage Rating:
  • 0 / 10
  • cifr , বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর ২০২২ @ ৭:৫৬ অপরাহ্ণ

    লেখক জিজ্ঞাসা করছেন, “এখন প্রশ্ন হল- এক ঈশ্বরের সৃষ্টি, এক ধর্মালম্বী, এক-ই নিয়মে পিতা-মাতার মাধ্যমে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে এত জাতিগত বৈষম্য কেন?”

    মানুষ যে একই ঈশ্বরের সৃষ্টি এই ধারণা লেখক কোথা থেকে পেলেন ?
    বাইবেল থেকে না কোরান থেকে ?

    এক ধর্মালম্বী বলতে লেখক কি বোঝাতে চান ? উনি কি ক্ষত্রিয়ধর্মের বা জাতিধর্মের উল্লেখ কোথাও শোনেননি ? “ধৰ্ম” শব্দটার মানে উনি আদৌ জানেন ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!