১
গোলোযোগের সময় দু’ বছরের বাচ্চা উটের মতোহয়ে থাকো। যার পিঠ এমন নয় যাতে উপরে উঠে বসা যায় আবার তার স্তনও এমন নয় যা দোহন করা যায়।
২
যে লোভে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে সে নিজকে অবমূল্যায়ন করে। যে নিজের অভাব অনটনের কথা প্রকাশ করে সে নিজকে অপমানিত করে। সেই জিহ্বা আত্মাকে পরাভূত করে আত্মা দুষিত করে তোলে।
৩
কৃপণতা লজ্জা, কাপুরুষতা ত্রুটি। দারিদ্র একজন বুদ্ধিমান লোককেও তার নিজের বেলায় যুক্তি প্রদর্শনে ব্যর্থ করে এবং দুঃস্থ ব্যক্তি তার নিজের শহরেও আগন্তুক।
৪
অক্ষমতা, বিপদ-আপদ, ধৈর্য, সাহসিকতা, মিতাচার, ধন-সম্পদ, আত্মপ্রত্যয়, বর্মের চেয়েও সর্বোত্তম সাথী হলো আল্লাহর ইচ্ছায় সম্পৃক্ত হওয়া।
৫
জ্ঞানই হলো প্রকৃত সম্পত্তি, সদাচরণ হলো নতুন পোষাক আর চিন্তা হলো স্বচ্ছ আয়না।
৬
জ্ঞানীদের হৃদয় তার গূঢ়তত্ত্বের ভাণ্ডার। প্রফুল্লতাই বন্ধুত্বের বন্ধন। ধৈর্যই সকল দোষক্রটির সমাধি।
৭
দানশীলতাই যথাযথ প্রতিকার; হইকালের কর্মই পরকালে দেখতে পাবে।
৮
মানুষ বড়ই আশ্চর্যজনক- সে চর্বি আর এক টুকরা মাংস দ্বারা কথা বলে, একটা হাড় দ্বারা শুনে এবং একটা ছিদ্র দ্বারা শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।
৯
ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে পৃথিবী অনুকূলে থাকলে অন্যের সুকীর্তিও নিজের হয়ে যায়; আর পৃথিবী প্রতিকূলে গেলে নিজের ভালো কাজের সুনাম থেকেও বঞ্চিত হতে হয়।
১০
মানুষের সঙ্গে এমন আচরণ কর যেন তোমার মৃত্যুতে তারা কাঁদে আর জীবদ্দশায় তোমার সাথে সঙ্গী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।
১১
প্রতিপক্ষের ওপর জয়ী হলে তাকে ক্ষমা করো।
১২
সব চাইতে অসহায় সেই ব্যক্তি যার কিছু ভাই-সুলভ বন্ধু নেই; কিন্তু আরো অসহায় সেই ব্যক্তি যে এরূপ বন্ধু থাকতেও হারায়।
১৩
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কার্পণ্যের কারণে আল্লাহর কৃপা লাভের পথ অব্যাহত রাখা ব্যাহত করো না।
১৪
কাছের মানুষ যাকে পরিত্যাগ করে, দূরের মানুষের কাছে সে প্রিয় হয়ে উঠে।
১৫
কেউ পরীক্ষার সম্মুখীন হলে তাকে তিরস্কার করা উচিত নয়।
১৬
সকল বিষয় অদৃষ্টের এতটা নিয়ন্ত্রণাধীন যে, কখনো কখনো চেষ্টার ফলে মৃত্যু হয়।
১৭
‘বৃদ্ধ বয়স ঢেকে ফেলে এবং ইহুদীদের অনুকরণ করো না’ নবীজীর এ উক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলা আলী বলেন, রাসূল (সা) যখন একথা বলেছিলেন তখন মুষ্টিমেয় কজন দ্বীনের অনুসারী ছিল, এখন এর বিস্তৃতি বেড়েছে এবং প্রত্যেকে তার ইচ্ছামত স্বাধীনভাবে চলতে পারে।
১৮
ন্যায়কে ত্যাগ করলেও অন্যায়ের সমর্থন করো না।
১৯
যে ব্যক্তি লাগাম কষে ধরে ঘোড়া দৌড়ায় সে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়।
২০
বিবেচক লোকের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করো, কারণ তারা ভ্রমে নিপতিত হলে আল্লাহ তাদের তুলে আনেন।
২১
ভয়ের ফলাফল হলো হতাশা এবং কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা হলো নৈরাশ্য। সুযোগ মেঘের মতো বয়ে যায়। কাজেই উত্তম সুযোগের সদ্ব্যবহার করো।
২২
আমাদের অধিকার আছে যদি তা দেয়া হয়, তবে গ্রহণ করব- অন্যথায় আমরা উটের পিছনে আরোহণ করব যদিও রাতের ভ্রমণ দীর্ঘ হোক।
২৩
যার কর্ম তৎপরতা নিম্নমানের তার বংশ মর্যাদার জন্য তাকে উচ্চ মর্যাদা দেয়া যায় না।
২৪
শোকাহতের শোক উপশম করা ও দুঃখ-দুর্দশা বিমোচন করা মানেই পাপ স্খলন।
২৫
হে আদম সন্তান! যখন দেখবে তোমার মহাপবিত্র প্রতিপালক, তাঁর অনুগ্রহ ও নিয়ামতকে অবিরতভাবে তোমাকে দিচ্ছেন অথচ তুমি তার নির্দেশকে অমান্য করছ তখন তাঁকে ভয় কর।
…………………………….
সূত্র: নাহজ আল-বালাঘা
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
…………………………….
আরো পড়ুন:
মাওলা আলীর বাণী: ১
মাওলা আলীর বাণী: ২
মাওলা আলীর বাণী: ৩
মাওলা আলীর বাণী: ৪
মাওলা আলীর বাণী: ৫
মাওলা আলীর বাণী: ৬
মাওলা আলীর বাণী: ৭
মাওলা আলীর বাণী: ৮
মাওলা আলীর বাণী: ৯
মাওলা আলীর বাণী: ১০
মাওলা আলীর বাণী: ১১
মাওলা আলীর বাণী: ১২
মাওলা আলীর বাণী: ১৩
মাওলা আলীর বাণী: ১৪
মাওলা আলীর বাণী: ১৫
মাওলা আলীর বাণী: ১৬
মাওলা আলীর বাণী: ১৭
মাওলা আলীর বাণী: ১৮
মাওলা আলীর বাণী: ১৯
মাওলা আলীর বাণী: ২০