ভবঘুরেকথা

৫১
যে পর্যন্ত তোমার পদমর্যাদা উচ্চ থাকবে সে পর্যন্ত তোমার ত্রুটি-বিচূতি ঢাকা থাকবে।

৫২
যে শাস্তি প্রদানে ক্ষমতাবান, সেই ক্ষমা করতে সমর্থ।

৫৩
আপনা থেকে প্রদান করাকেই উদারতা বলে, কারণ যাচনা করলে প্রদান করা মানে হলো হয় আত্ম-সম্মান বৃদ্ধি, না হয় বদনাম ঘুচানো।

৫৪
প্রজ্ঞার মতো সম্পদ নেই, অজ্ঞতার মতো দুরাবস্থা নেই, বিশোধনের মতো উত্তরাধিকারত্ব নেই এবং আলোচনার মতো খুটি নেই।

৫৫
ধৈর্য দু’ ধরনের। যা তুমি অপছন্দ কর সে বিষয়ে ধৈর্য এবং যা তুমি পছন্দ কর সে বিষয়ে ধৈর্য।

৫৬
সম্পদ থাকলে বিদেশও স্বদেশ বলে মনে হয়, আর দুর্দশাগ্রস্থ হলে স্বদেশও বিদেশ বলে মনে হয়।

৫৭
তৃপ্তি এমন সম্পদ যা কখনো কমে না।

৫৮
সম্পদ কামনা-বাসনার ঝর্ণাধারা।

৫৯
যে তোমাকে সতর্ক করে সে ওই ব্যক্তির মতো যে তোমাকে সুসংবাদ দেয়।

৬০
জিহবা হিংস্র পশুর ন্যায়। যদি তাকে ছেড়ে দাও দংশন করবে।

৬১
নারী কাঁকড়ার মতো, যার আঁকড়ে ধরা মধুর।

৬২
যদি তুমি অভিবাদন পাও তবে বিনিময়ে আরো বেশী অভিবাদন দিয়ো। যদি তোমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায় তবে বিনিময়ে আরো ভালো আনুকূল্য দিয়ো, যদিও যে প্রথম সম্ভাষণ করবে কৃতিত্ব তারই থাকবে।

৬৩
মধ্যস্থতাকারী অনুসন্ধানীর পাখা।

৬৪
পৃথিবীর বাসিন্দা সেসব ভ্রমনণকারীদের মতো যাদের ঘুমন্ত অবস্থায় বহন করা হয়।

৬৫
যার বন্ধুর অভাব, তাকে আগন্তুক মনে হয়।

৬৬
অপাত্রে কোন কিছু চাওয়া অপক্ষো প্রয়োজন পূরণ না হওয়া সহজতর।

৬৭
সামান্য হলেও দান করতে লজ্জাবোধ করো না। কারণ, আদৌ কিছু না দেয়া তার থেকেও স্বল্প।

৬৮
দান দুস্থতার অলঙ্কার আর কৃতজ্ঞতা সম্পদের অলঙ্কার।

৬৯
যা সংঘটিত হবার কথা ভেবেছে তা না ঘটলে উদ্বিগ্ন হয়ো না।

৭০
চরমভাবে অবজ্ঞা, অথবা অতিরঞ্জিত করা ছাড়া কোন অজ্ঞ লোক দেখবে না।

৭১
জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা যত বাড়বে কথাও তত কমবে।

৭২
সময় আমাদের দেহ পরিধান করে, আকাঙ্খাকে নবায়ণ করে, মৃত্যুকে নিকটবর্তী করে এবং সকল ব্যাকুল বাসনা কেড়ে নিয়ে যায়। এতে যে কৃতকার্য হয় সে শোকের মোকাবেলা করে এবং যে এর আনুকূল্য হারায় সে দুর্দশাগ্রস্ত হয়।

৭৩
যে নিজকে মানুষের নেতা বলে দাবী করে তার উচিত অপরকে শিক্ষা দেয়ার পূর্বে নিজে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং মুখের বদলে সে যেন নিজের আচরণ দিয়ে অন্যকে শিক্ষা দেয়। যে ব্যক্তি নিজকে শিক্ষা দেয় সে অন্যকে শিক্ষাদানকারী অপেক্ষা অধিক সুনামের দাবীদার।

৭৪
মানুষের প্রতিটি নিশ্বাস মৃত্যুর দিকে পদক্ষেপ মাত্র।

৭৫
প্রত্যেক হিসাবযোগ্য বস্তুকে চলে যেতে হবে এবং প্রত্যেক প্রত্যাশিত বিষয় ঘটবে।

…………………………….
সূত্র: নাহজ আল-বালাঘা

…………………………….
আরো পড়ুন:
মাওলা আলীর বাণী: ১
মাওলা আলীর বাণী: ২

মাওলা আলীর বাণী: ৩
মাওলা আলীর বাণী: ৪
মাওলা আলীর বাণী: ৫
মাওলা আলীর বাণী: ৬
মাওলা আলীর বাণী: ৭
মাওলা আলীর বাণী: ৮
মাওলা আলীর বাণী: ৯
মাওলা আলীর বাণী: ১০
মাওলা আলীর বাণী: ১১

মাওলা আলীর বাণী: ১২
মাওলা আলীর বাণী: ১৩
মাওলা আলীর বাণী: ১৪
মাওলা আলীর বাণী: ১৫

মাওলা আলীর বাণী: ১৬
মাওলা আলীর বাণী: ১৭
মাওলা আলীর বাণী: ১৮
মাওলা আলীর বাণী: ১৯
মাওলা আলীর বাণী: ২০

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!