১৫১
প্রত্যেক মানুষই জীবনের অবসানের সাক্ষাৎ লাভ করবে তা সুমিষ্টই হোক আর তিক্তই হোক।
১৫২
প্রত্যেক আগন্তুককে ফিরে যেতে হবে এবং ফিরে যাবার পর মনে হবে যেন সে কখনো ছিল না।
১৫৩
ধৈর্যশীলরা কখনো অকৃতকার্য হয় না; হতে পারে তাতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
১৫৪
কেউ যদি কোন দলের কর্মকাণ্ডে সম্মতি জানায় তবে সে যেন ওই দলের সাথে যোগদান করলো এবং যে কেউ অন্যায়ে যোগদান করে সে দুটি পাপ করে; একটি হলো- নিজের পাপ। আর অপরটি হলো- অন্যের পাপে সম্মতি জ্ঞাপন।
১৫৫
চুক্তি মেনে চলো এবং দৃঢ় প্রত্যয় সম্পন্ন লোকের মতো তা পরিপূরণ করতে যত্নবান হয়ো।
১৫৬
যাদের প্রতি তোমরা অজ্ঞতার ওজর দেখাতে পারবে না। তাদের অনুগত থাকার দায় দায়িত্ব তোমাদের ওপর বার্তাবে।
১৫৭
নিশ্চয়ই, তোমরা দেখতে পাবে যদি তোমরা দেখার জন্য যত্নবান হও। নিশ্চয়ই, তোমরা সৎপথের সন্ধান পাবে যদি তোমরা হেদায়েত গ্রহণ কর। নিশ্চয়ই, তোমরা শুনতে পাবে যদি তোমাদের কানাকে শোনার জন্য আগ্রাহান্বিত কর।
১৫৮
তোমার সদাচরণ দিয়ে তোমার সাথীদের সতর্ক কর এবং তাদের প্রতি আনুকূল্য দেখিয়ে তাদের মন্দ দূরীভূত কর।
১৫৯
যে ব্যক্তি নিজকে বদনামপূর্ণ অবস্থায় রাখে তার সম্পর্কে মানুষের মন্দ ধারণা হলে সেজন্য কাউকে দায়ী করা যায় না।
১৬০
যে কর্তৃত্বের অধিকারী হয়। সেই সাধারণত পক্ষপাতিত্ব করে।
১৬১
যে ব্যক্তি শুধুমাত্র নিজের মতামতের উপর নির্ভর করে কাজ করে সে সহজেই ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং যে অন্যদের সাথে পরামর্শ করে সে অন্যদের বুদ্ধি-বিবেচনার সুফল প্রাপ্ত হয়।
১৬২
যে নিজের গুপ্ত বিষয় রক্ষা করে সে নিজের হাতেই নিয়ন্ত্রণ সংরক্ষণ করে।
১৬৩
নিঃসঙ্গতা হলো বড় মৃত্যু।
১৬৪
যে ব্যক্তি নিজের অধিকার পরিপূর্ণ করে না অথচ অন্য লোকের অধিকার পরিপূরণ করে সে যেন তার পূজা করলো।
১৬৫
যে আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধে চলে তাকে মান্য করার কোন কারণ থাকতে পারে না।
১৬৬
নিজের অধিকার আদায়ে বিলম্বের জন্য কাউকে দোষারোপ করা যায় না। কিন্তু যা সে প্রাপ্য নয় তা গ্রহণ করলে দোষারোপ করা যায়।
১৬৭
আত্মশ্লাঘা প্রগতির পথ রোধক।
১৬৮
শেষ বিচারের দিন সন্নিকটে এবং আমাদের পারস্পরিক সাহচর্য অত্যল্প সময়ের জন্য।
১৬৯
চক্ষুষ্মানরা দেখতে পায় প্রভাত হয়ে গেছে।
১৭০
পাপ করে তওবা করার চেয়ে পাপ হতে বিরত থাকা সহজতর।
১৭১
অধিক ভোজন বিভিন্ন ভোজন বিনষ্ট করে। (আরবী প্রবাদ)
১৭২
মানুষ সে বিষয়ের শত্রু যা সে জানে না।
১৭৩
যে ব্যক্তি বিভিন্ন লোকের মতামত গ্রহণ করে সে চোরা-গর্তের ফাঁদ বুঝতে পারে।
১৭৪
যে ব্যক্তি আল্লাহর খাতিরে ক্রোধের দাঁতে ধার দেয় সে অন্যায়ের পলোয়ানকেও হত্যা করার শক্তি অর্জন করে।
১৭৫
যখন কোন কিছুতে ভয় পাবে সোজা তার গভীরে প্রবেশ করবে। কারণ তুমি যতটুকু ভয় পাও তার অনেক বেশি হলো তা থেকে দূরে থাকার প্রবণতা।
(চলবে…)
…………………………….
সূত্র: নাহজ আল-বালাঘা
…………………………….
আরো পড়ুন:
মাওলা আলীর বাণী: ১
মাওলা আলীর বাণী: ২
মাওলা আলীর বাণী: ৩
মাওলা আলীর বাণী: ৪
মাওলা আলীর বাণী: ৫
মাওলা আলীর বাণী: ৬
মাওলা আলীর বাণী: ৭
মাওলা আলীর বাণী: ৮
মাওলা আলীর বাণী: ৯
মাওলা আলীর বাণী: ১০
মাওলা আলীর বাণী: ১১
মাওলা আলীর বাণী: ১২
মাওলা আলীর বাণী: ১৩
মাওলা আলীর বাণী: ১৪
মাওলা আলীর বাণী: ১৫
মাওলা আলীর বাণী: ১৬
মাওলা আলীর বাণী: ১৭
মাওলা আলীর বাণী: ১৮
মাওলা আলীর বাণী: ১৯
মাওলা আলীর বাণী: ২০