-মূর্শেদূল মেরাজ
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
ফর্সা হাজীর অনুষ্ঠানের রেশ কাটবার পরে আমরা মাথাপিছু দুইখানা করে কম্বল রোল করে সাত জন বেড়িয়ে পরলাম নতুন যাত্রার উদ্দেশ্যে। একটা কথা বলাই হয়নি। অনুষ্ঠানের দিন রাতে আমাদের সাথে যোগ দিতে সুদূর মোংলা থেকে চলে এসেছেন মিঠুন দা।
তাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা চললাম মহর্ষি মনোমোহনের আশ্রমে। প্রথমে যেতে হবে নরসিংদী লঞ্চ ঘাট। সেখান থেকে লঞ্চে করে সলিমপুর ঘাট। সেখান থেকে অটোতে করে মহর্ষি মনোমোহনের আনন্দ আশ্রমে।
প্রত্যেকের সাথেই বিশাল বিশাল ব্যাগপত্র। আর তার সাথে কম্বলের বহর দেখে মানুষজন চোখ সরু করে তাকিয়ে রইলো পুরোটা পথ। তবে আমাদের সে বিষয়ে বিশেষ উত্তাপ নেই। আমরা চলেছি আমাদের ভাবে। মিস হয়ে যায় কিনা এমন ভাবতে ভাবতে লঞ্চঘাটে পৌঁছে দেখি তখন শেষ লঞ্চ ছাড়তে আরো মিনিট বিশেক বাকি।
মেঘনার পানি টলটল হবে ভেবেছিলাম। শুনেছিলাম যমুনার জল কাল। এখন দেখি মেঘনার জলও কালো। যদিও এটি মূল মেঘনা নয়। মূল মেঘনা অনেকটাই দূরে। তারপরও কলকারখানার তরল বর্জ্যে পানি যে দূষিত হয়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই কালো জলেই মাছ ধরছে জেলেরা জাল ফেলে এদিকে সেদিকে। এখন নদীতে জল বেশ কম। তাতে কচুরিপানার সাথে যা ভাসছে তার বেশিভাগই প্লাস্টিকের বোতল। আমরা যেনো ধরেই নিয়েছি। সকল বর্জ্য জলে বিসর্জন দিতে হবে।
যা কিছু আমরা পাই সবই জলে বিসর্জন দিয়ে বীরত্ব দেখাই। কিন্তু কখনো কি ভাবি। এভাবে পরিবেশের যে ক্ষতি আমরা করছি তার প্রতিদান প্রকৃতি একদিন আমাদের ঠিক ঠিকই ফিরিয়ে দেবে। দেবে বলছি কেনো দিচ্ছে বললেও কি ভুল হবে?
অনেকেই গান শুনবার জন্য আশপাশে ভিড় করতে লাগলো। দলের মধ্যে প্রায় সকলেই সুরেলা। আমিই এক মাত্র সুর-লয়-তাল কানা অসুর। তাই সকলে সংগীতে ডুবে গেলেও আমি তার মাঝে আশপাশের মানুষকে মাঝে মধ্যে দেখে নিচ্ছিলাম। দেখছিলাম প্রকৃতি।
এখন এই ষড়ঋতুর দেশের সর্বত্র কি সেই ঋতুর বৈচিত্র দেখতে পাই? এখন মোটা দাগে দুই ঋতু বেশি দৃশ্যমান তা হলো গরম আর শীত। গরমও ক্রমশ ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে চলেছে। আর শীতও শূন্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সময়ে হচ্ছি অতিবৃষ্টি। আবার সময়ে অনাবৃষ্টি।
এই যে প্রকৃতির বিরূপ আচরণ এর জন্য যে আমরাই অনেকাংশে দায়ী। সেই বোধটার যদি খানিকটাও আমাদের উপলব্ধি হতো। তাহলে হয়তো প্রকৃতি এতো ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হতো না। আবার করোনার মতো অতিমারী দরজায় এসে মৃত্যুর বার্তা নিয়ে হাজির হতো না।
আমরা প্রকৃতিকে বুঝলে, প্রকৃতিও হয়তো আমাদের বুঝবার চেষ্টার করতো। কিন্তু আধুনিকতা আর প্রযুক্তির স্রোত গা ভাসাতে গিয়ে আমাদের যাত্রা আজ প্রকৃতি থেকে অনেক অনেক দূরে। আমরা প্রকৃতির মাঝে বাস করলেও প্রকৃতি থেকে অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়েছি প্রযুক্তির উপর।
আমরা ভুলে যাই প্রযুক্তি আমাদের সহায়তা করে বা কিছু কাজ সহজ করে মাত্র। কিন্তু প্রযুক্তি কোনো সমাধান নয়। প্রযুক্তি কেবলই হেল্পিং হ্যান্ড। কিন্তু আমাদের মূর্খামিতে আমরা প্রযু্ক্তি আর প্রকৃতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছি।
অথচ আমরা সকলেই জানি প্রকৃতির মাঝে এসে একটা দীর্ঘ শ্বাস নিতে পারলে প্রশান্তি মন-প্রাণ ভরে উঠে। যাক সেসব কথা। লঞ্চে উঠেই আমরা পেছনের দিকে চলে গেলাম। পেছনের উঁচু ছাদের উপর উঠে কম্বল বিছিয়ে নরম বিছানা পেতে বসে পরলাম। শুরু হলো সঙ্গ। চললো গান বাজনা।
পরন্ত বিকেলের হিমেল হাওয়ায় লঞ্চ যত এগিয়ে চলছে ততই সানগ্লাস খুলে চশমা পরার সময় চলে আসছে। পথে কেনা নরসিংদীর বিখ্যাত মিষ্টি খেয়ে মুখ আরো মিষ্ট হলো কিনা জানি না। মানুষজন আড় চোখে আমাদের দিকে তাকালেও কেউ খুব একটা বিরক্ত হলো না।
অনেকেই গান শুনবার জন্য আশপাশে ভিড় করতে লাগলো। দলের মধ্যে প্রায় সকলেই সুরেলা। আমিই এক মাত্র সুর-লয়-তাল কানা অসুর। তাই সকলে সংগীতে ডুবে গেলেও আমি তার মাঝে আশপাশের মানুষকে মাঝে মধ্যে দেখে নিচ্ছিলাম। দেখছিলাম প্রকৃতি।
ব্যাগপত্র সব অটোর ছাদে বাঁধা হলো। ঘাটের বাজারে সকলে ছড়িয়ে পরলো। ব্যস্ত হয়ে গেলো এটা সেটা কিনতে। ততক্ষণে কিছুটা খিদের ভাবও উদয় হয়েছে। তাই ঘাটের পাশের রেস্টুরেন্টে ঢুকে পরলাম গরম গরম পরটা সবজি খেয়ে নেয়ার জন্য। ছোট্ট হোটেলের সকলেই ভালো মানুষ। আমাদের বেশ যত্নে খাওয়ালো।
বাস-ট্রেন মোট কথা সড়ক পথে ছুটে চলা আর জলপথে চলার একটা ভিন্নতা আছে। সড়ক পথে সবকিছু এতো দ্রুত হারিয়ে যায় আবার ছোট্ট জানালা দিয়ে তাকিয়ে দৃষ্টির একটা সীমা তৈরি হয়। কিন্তু লঞ্চের উন্মুক্ত ছাদে বসে থাকলে এতো বিশাল একটা ভিউ দেখতে পাওয়া যায়।
যার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে যুক্ত হয়ে যেতে হয় তার সাথে। যদিও আক্ষেপের বিষয় হলো এখন দেশের অনেক নদীর তীরের দিকে তাকালেই আর সেই বিশাল বিশাল বৃক্ষের সারি চোখে পরে না। সেখানে দেখা মেলে কারখানার বিশার বিশাল চিমনি। নয়তো ইটভাটার চিমনির সাদা-কালো ধোয়া।
পথে একটা নষ্ট হয়ে যাওয়া লঞ্চকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাধে তুলে নেওয়ায় আমাদের লঞ্চখানা নির্দিষ্ট দেড় ঘণ্টার পরও আরো বেশ কিছুটা সময় নিয়ে সলিমগঞ্জ ঘাটে ভিড়লো। ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমে গেছে। নামতে না নামতেই আমাদের ব্যাগপত্র দেখে অটো চালকরা ঘিড়ে ধরলো।
সকলেই বুঝে ফেলেছে আমরা আনন্দ আশ্রমের যাত্রী। কারণ আজ রাতেই মহর্ষি মনোমোহনের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই পথ দিয়ে প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে এইবার যাত্রী খুবই কম। অনুষ্ঠানের খবরও প্রচার করা হয়নি।
অটোচালকদের ব্যবসায় মন্দা। তারপরও বেশি ভাড়া হাকিয়ে চললো। কথাবার্তার এক পর্যায়ে একজন অটোচালককে যেতে প্রস্তুত করা গেলো। সংখ্যায় আমরা তখন সাত জন। আমি, আশিক আফজাল, সুমন দাস বাউল, মিঠুন দা, ছোটভাই রিয়াদ উল্লাহ ভূইয়া, ফয়েজ আর হাশেত কাকার পুত্র রাহাত।
ব্যাগপত্র সব অটোর ছাদে বাঁধা হলো। ঘাটের বাজারে সকলে ছড়িয়ে পরলো। ব্যস্ত হয়ে গেলো এটা সেটা কিনতে। ততক্ষণে কিছুটা খিদের ভাবও উদয় হয়েছে। তাই ঘাটের পাশের রেস্টুরেন্টে ঢুকে পরলাম গরম গরম পরটা সবজি খেয়ে নেয়ার জন্য। ছোট্ট হোটেলের সকলেই ভালো মানুষ। আমাদের বেশ যত্নে খাওয়ালো।
শীতের বাহারি সবজির ভাজি তার উপর কুচি কুচি করে কাটা কাঁচা পেয়াজ। যারা ডিম খাবে তাদের জন্য ডিম পোচ বা ভাজা। সবশেষে দুধ-চিনি ছাড়া চা। এসব খেয়ে ভরপেটে তৃপ্তীর ঢেকুর তুলে বিল মিটেয়ে অটোতে উঠে বসলাম। উদ্দেশ্যে সাতমোড়া মনোমোহনের আনন্দ আশ্রম।
লোকে লোকারণ্য মেলা প্রাঙ্গণ পেরিয়ে ব্যাগপত্র নিয়ে হাঁটা দিলাম আশ্রমের দিকে। প্রথমে একটা আশ্রয় নির্দিষ্ট করতে হবে। যেখানে ব্যাগপত্র রেখে একটু গা এলিয়ে দিতে পারবো। পরিচিত অনেকেই এসেছে। তাদের কারো কারো সাথে কথাও হয়েছে। বসবার সমস্ত জায়গা দখল হয়ে যাওয়ার আগে যাতে একটু জায়গা আমরাও পাই।
সরু রাস্তা ধরে অটো যতই এগুতে লাগলো পথ ততই দুর্গম হতে লাগলো। অনেকেই আজ বিভিন্ন সাইজের গাড়ি নিয়ে ছুটছে দয়াময়ের দরবারে। অনেকটা চলার পর একসময় গিয়ে জ্যামের মধ্যে পরলাম। শুধু জ্যাম হলেও ততটা সমস্যা ছিল না।
কিন্তু রাতের অন্ধকারে ঢালাই রাস্তা শেষে দুই পাশেই যেখানে এক চিলতে মাটি নেই। সোজা নেমে গেছে অনেকটা নিচ পর্যন্ত। সেখানে যখন জ্যামে পরলো তখন বিপদে উপর মাথায় বাড়ি। এমন একটা অবস্থা, চাইলেই অটো থেকে নেমেও দাঁড়ানোর উপায় নেই কোথাও কোথাও।
সামনে কি হচ্ছে। এগুনো যাবে কিনা। বা কোনো গাড়িকে আগে পিছে করে রাস্তাটাও জ্যাম ফ্রি করা যাচ্ছে না। অটোচালক অবশ্য আমাদেরকে নামতে দিলো না অনেকটা পথ পর্যন্ত। আমাদের নিয়েই চালিয়ে চললেন আঁকাবাকা সরু পথ ধরে।
পথের অনেকেই অবশ্য নেমে হাঁটা দিয়েছে। আমাদের সাথে যে পরিমাণ ব্যাগ-পত্র, তা নিয়ে হাঁটা দেয়ার কোনো মানেই নেই। তার উপর এখন থেকে কতটা দূরে কে জানে। আমাদের তেমন কোনো তাড়াও নেই। আমরা অটোতে বসেই রইলাম।
অটো আগায় আবার আগায় না। এমন করতে করতে একটা সময় সেই দুর্গম সরু পথ ছেড়ে এগিয়ে যেতে পারলাম। অবশ্য অন্যান্য গাড়ির যাত্রীদের অঘাৎ সহযোগীতা ছিল তাতে। যথাযথ সময়ের অনেকটা পরে গিয়ে পৌঁছালাম দয়াময়ের আশ্রমে।
লোকে লোকারণ্য মেলা প্রাঙ্গণ পেরিয়ে ব্যাগপত্র নিয়ে হাঁটা দিলাম আশ্রমের দিকে। প্রথমে একটা আশ্রয় নির্দিষ্ট করতে হবে। যেখানে ব্যাগপত্র রেখে একটু গা এলিয়ে দিতে পারবো। পরিচিত অনেকেই এসেছে। তাদের কারো কারো সাথে কথাও হয়েছে। বসবার সমস্ত জায়গা দখল হয়ে যাওয়ার আগে যাতে একটু জায়গা আমরাও পাই।
এ কথায় সকলেই একতম। আমি আর সুমন দাস বাউল হাঁটা দিলাম মেলার দিকে। বিছানোর জন্য পলিথিন জাতিয় কিছু পাওয়া যায় কিনা তার খোঁজে। যদিও প্লাস্টিক-পলিথিনে আমার ব্যাপক অরুচি। কিন্তু এখনো এর বিকল্প কিছুই বের করতে করা যায় নি। যা সামর্থের মধ্যে ক্রয় বা বহন করা যায়।
দুই পাশের মেলার দোকানপাট পেছনে ফেলে প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করলাম। আহ্ কি শান্তি। মহতের এই এক গুন। তাদের আওতায় চলে আসলে মন শান্ত হয়ে যায়। চারপাশে মানুষ আর মানুষ। তাদের মাঝ দিয়েই হন হন করে মঞ্চের দিকে রওনা দিলাম।
সকলকে প্রধানফটকের পাশের নিরাকার ব্রহ্মা মন্দিরের একপাশে দাঁড়াতে বলে আমি আর আশিক এগিয়েছি। সেখানে এক ছোটভাই অপেক্ষা করছে। লালন রুমন আর মনা ভাই গতরাতে এসেছে। তাদের সাথে কথা হয়েছে ফোনে। একটু এগুতেই তাদের দেখা পাওয়া গেলো।
হাসি মুখে স্বাগত জানালো। বসবার জায়গা দেখিয়ে দিলো। কিন্তু আমি আর আশিক তখন একটু হতাশ। তারা যে জায়গা রেখেছে আমাদের জন্য। তাতে বেশি হলে তাদের সাথে দুই থেকে তিন জন বসতে পারবে।
কিন্তু আমরা সংখ্যায় যেমন সাত; ব্যাগপত্রে সতের। মোটামুটি ভালোই জায়গা লাগবে। তারপর একটু আবদ্ধ জায়গা হলে ভালো হতো ব্যাগপত্রের জন্য। তারপরও কাঁধের ব্যাগ নামিয়ে একটু হালকা হলাম। আশপাশের সব জায়গাতেই মানুষ আর মানুষ।
মানুষ যে হারে আসছে তাতে বসবার জায়গা আর অবশিষ্ট নেই। কি করি বুঝতে পারছি না। পরিচিত অন্যরা কোথায় আছে মনে মনে খুঁজছি। এমন সময় আশিক বললো, আমাদের সাথে তো কম্বল আছেই। বিছানোর জন্য কিছু কিনে আনা হলে একটা জায়গা করে নেয়া যাবে।
এ কথায় সকলেই একতম। আমি আর সুমন দাস বাউল হাঁটা দিলাম মেলার দিকে। বিছানোর জন্য পলিথিন জাতিয় কিছু পাওয়া যায় কিনা তার খোঁজে। যদিও প্লাস্টিক-পলিথিনে আমার ব্যাপক অরুচি। কিন্তু এখনো এর বিকল্প কিছুই বের করতে করা যায় নি। যা সামর্থের মধ্যে ক্রয় বা বহন করা যায়।
মনে মনে পলিথিন না কিনে মাদুর কেনা যায় কিনা ভাবছি। অবশ্য মাদুর কিনলে ফেলে যেতে হবে। দামেও হবে বেশি। বহনও করা যাবে না। আচ্ছা আমরা চাইলে কি পলিথিনের বিকল্প চিন্তা করতে পারি না? অন্তত সাধুসঙ্গগুলো কি পলিথিন-প্লাস্টিক মুক্ত করতে পারি না??
(চলবে…)
<<ফর্সা হাজী স্মরণে লালন সাঁইজির গান-দুই ।। মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি>>
………………………..
আরো পড়ুন-
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব নয়
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দশ
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এগারো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব বারো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব তেরো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব চোদ্দ
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব পনেরো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব ষোল
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব সতেরো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব আঠারো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব উনিশ
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব বিশ