ভবঘুরেকথা
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি

-মূর্শেদূল মেরাজ

সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই

কি আর করা। চা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে ফিরে আসলাম ব্যাগের কাছে। সুমন তখনো মোবাইলে কথা চালিয়েই যাচ্ছে। আশিকের সাথে যখন বের হয়েছি চা পান করতে। সে কি আর না খেয়ে ছাড়বে। ঠিকঠিকই চা পানের ব্যবস্থা করে ফেললো।

চায়ের দোকান না পাওয়া গেলেও চায়ের ফেরিওয়ালা পাওয়া গেলো। সত্যিই সকালের আলোতে চমৎকার একটা রং চা পান করলাম। ততক্ষণে বাজার-সদাই নিয়ে চলে এসেছে অপর দল। যা যা কেনা হয়েছে সব কিছু সকলের ব্যাগে ভাগ ভাগ করে চালান করে দিয়ে অটোতে উঠে বসলাম।

এবারের গন্তব্য পন্থিছিলা। পন্থিছিলা বাজার ছাড়িয়ে ডান পাশের পথটা ধরে রেললাইন পর্যন্ত অটো গিয়ে থামলো। সেই রেলক্রসিং পেরিয়ে রেললাইনের সমান্তরালে হাঁটতে শুরু করলাম উদ্দেশ্য ঝড়ঝড়ি ঝর্ণা। রাহাত-ফয়েজ জানিয়েছে দ্রুত হাঁটতে পৌনে একঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়।

তবে আমাদের মতো আনাড়িরা তা পারবে না। আমরা থেমে থেমে বিশ্রাম নিতে নিতে যাব। তাই এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ছোট্ট একটা টিলা উঠতে হবে ১০০ মিটারের মতো। তারপরই ঝড়ঝড়ি। প্রত্যেকের কাছেই প্রচুর ব্যাগপত্র। সে সব নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে লাগলাম লাইন ধরে।

খাবার-দাবার সহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই কেনা হয়েছে। সাথে করেও আনা হয়েছে বেশ কিছু জিনিসপত্র। তবে হাড়ি-পাতির কেনা হয়নি। সেগুলো নেয়া হবে এক ভাইয়ের বাসা থেকে। আমাদের প্রথম স্টপিজ সেখানেই। তাই কথা না বাড়িয়ে হাঁটা চলছে।

দুই পাশে বাড়ি ঘর কম। সবজির ক্ষেত আর ক্ষেত। বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, ওলকপি, শিম শীতের বারতা দিয়ে থরে থরে ধরে আছে। সকালের তাজা হাওয়ায় বুক ভরে শ্বাস নিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি। ভালো কথা সুমন এখনো ফোনেই আছে।

তখন তারা উৎসাহ হারিয়ে অন্য রাস্তা ধরলো। আমাদের গাইড হলো- হাশেম কাকার পুত্র ‘রাহাত’। ছোটভাই রাহাতের সাথে যখন প্রথম পরিচয় হয়। তার আগে ওর নাম শুনেছি সিফাতের মুখে। সিফাত বলতো। রাহাত ভাইয়ের বাসায় ছিলাম।

এইখানে আদিবাসী নেই। স্থানীয়রা সকলেই জানতে চায় কোথায় যাচ্ছি। তারাও বেশ ভালো। ঝড়ঝড়ি ঝর্ণার কথা শুনে বলে, যান যান আমরাও পাহাড়ে যাবো একটু পরে বাঁশ কাটতে।

হাঁটতে হাঁটতে চলে আসলাম সেই ভাইয়ের বাড়ির ছোট্ট আঙ্গিনায়। রাহাতের পরিচিত উনি। উনার বাড়ি থেকেই নাকি সব সময় হাড়ি-পাতিল নেয়া হয়। বেশ ভালো মানুষ। বাড়ির সকলে তখনো ঘুমাচ্ছে। আমরা ব্যাগপত্র রেখে জল খেয়ে নিচ্ছি। শীতের কাপড়ও গায়ে জড়িয়ে নিলাম। এখানটায় বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব।

ঝড়ঝড়িতে
ঝড়ঝড়িতে সেই নাম ভুলে যাওয়া ভাইয়ের বাড়ির উঠানে

ভাইয়ের নাম ধরে ডাকাডাকির পর দরজা খুললো এক যুবক। জানালো সেই ভাই নাকি কিছুদিন আগেই মারা গেছে। শুনে সকলের মনটা খারাপ হয়ে গেলো। যাক ভাইয়ের ছেলে আমাদের যা যা লাগবে সবই দিলো। জল এনে দিলো।

আমরা শান্তির জল পান করলাম। তৃপ্ত হলাম। ভাবলাম। কেউ কেউ চলে গেলেও উপকার ঠিক ঠিকই করে যায়। উপকারের ধারা রেখে যায়। সকলে এমন হয় না। আমরা তো বেঁচে থেকেও কারো কোনো উপকার করতে পারলাম না। কেবল নিয়েই গেলাম।

কিন্তু সেই ভাই চলে যাওয়ার পরও তার উপকার আমরা নিচ্ছি। এই সব ভাবতে ভাবতে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের পাশাপশি হাঁটা দিয়েছি। তারা বারবার জানতে চাইছে, গাইড লাগবে কিনা। কিন্তু আমরা যখন জানিয়ে দিলাম, আমাদের গাইড সাথেই আছে।

তখন তারা উৎসাহ হারিয়ে অন্য রাস্তা ধরলো। আমাদের গাইড হলো- হাশেম কাকার পুত্র ‘রাহাত’। ছোটভাই রাহাতের সাথে যখন প্রথম পরিচয় হয়। তার আগে ওর নাম শুনেছি সিফাতের মুখে। সিফাত বলতো। রাহাত ভাইয়ের বাসায় ছিলাম।

আরেকটু এগিয়েই ঝিরিপথ পেয়ে গেলাম। পানি বরফের মতো ঠাণ্ডা। রোদ নেই। তাই পানি বেশ ঠাণ্ডা এখনো। বেশিক্ষণ পানিতে পা রাখা যায় না। অল্প একটু পাহাড়ে উঠতেই মনে হলো দম ফুরিয়ে শেষ। হাসফাস করতে করতে ছোট্ট পাহাড় খানায় উঠতে লাগলাম।

ও খালি পাহাড়ে থাকে। এরপর কখন কিভাবে রাহাতের সাথে পরিচয় হয়েছে। কাছের ছোটভাই হয়ে উঠেছে সে বিশাল ইতিহাস। তবে এই যাত্রায় আমাদের গাইড হলো রাহাত। আর ম্যানেজার হলো ফয়েজ। রাহাতের বাবা রেলে চাকরি করে।

সেই সুবাদে আমরা রেলের রিজার্ভেশন পেয়েছি। কামরা নিয়ে যাওয়া আসা যাবে। তাই হাশেম কাকার প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা বার বার জানিয়েছি রাহাতকে। এর আগে কখনো রেলের কোনো সেবা রাহাত আমাদের দিতে পারে নাই। তাই অনেক কথা তাকে শুনতে হয়েছে।

এই যাত্রায় তার বুক টানটান। হালকা পাতলা গড়নের রাহাত তার ওজনের বেশি একটা ট্রাভেলিং ব্যাগ নিয়েছে পিঠে। হাতেও নিয়েছে অনেক কিছু। আমরা যাতে আরামে যেতে পারি তাই ছোটদের নানা আয়োজন। অনেকভাবে চেষ্টা করছে আমাদের কষ্ট যাতে কম হয়।

আমাদের বোঝাও তারা বইছে হাসি মুখে। ট্রেনে উঠার পর থেকেই রাহাত তার সংলাপ দিতে শুরু করেছে। তা হলো, ‘কোনো সমস্যা নাই’। রাহাতকে যাই বলা হোক না কেনো সে বলে, ‘কোনো সমস্যা নাই’। আমরা বিষয়টা ধরে ফেলেছি।

এখন ও বলার আগেই আমরা বলে দেই কোনো সমস্যা নাই। কোনো সমস্যা নাই করতে করতে আমরা এগিয়ে চলছি। থামছি। বসছি। আড্ডা দিচ্ছি। এটা সেটা খাচ্ছি। আবার এগুচ্ছি। এভাবে ধীরেসুস্থে এগোতে এগোতে পয়তালিশ মিটিনের রাস্তা দুই ঘণ্টা লাগিয়ে দিলাম।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের মাঝে হাঁটতে হাঁটতে পাহাড়ে যাওয়ার সেই আগের কথা মনে পরে গেলো। একটা সময় ছিল যখন খুব পাহাড়ে যেতাম। বহুদিন হয় আর যাওয়া হয় না। সঙ্গের সকলের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা সেই জন্য।

আরেকটু এগিয়েই ঝিরিপথ পেয়ে গেলাম। পানি বরফের মতো ঠাণ্ডা। রোদ নেই। তাই পানি বেশ ঠাণ্ডা এখনো। বেশিক্ষণ পানিতে পা রাখা যায় না। অল্প একটু পাহাড়ে উঠতেই মনে হলো দম ফুরিয়ে শেষ। হাসফাস করতে করতে ছোট্ট পাহাড় খানায় উঠতে লাগলাম।

তারপর ধীরে ধীরে আমরাও উপরে উঠে আসলাম। এসে মুগ্ধতা আরো আলো নিয়ে জ্বলে উঠলো। আহ্। আসলেই অপূর্ব এক জায়গা। জায়গাটা বেশ খুঁজে বের করেছে বাচ্চালোক অর্থাৎ পোলাপান। তা স্বীকার করতেই হবে। এই জন্যই তারা সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসে।

ওহ্ ভালো কথা। আমার ভাইয়ের অর্থাৎ সুমন দাস বাউলের ফোনে কথা বলা রাস্তাতেই সমাপ্ত হয়েছে। এখন তিনি ভিডিও ব্লগ তৈরিতে ব্যস্ত। কোথায় কেমন করে যাচ্ছি তার বর্ণনা দিয়ে ভিডিও করতে করতে উঠে যাচ্ছে। বিষয়টা বেশ মজার।

একটা ভালো মোবাইল কিনতে হবে। তারপর এরকম কিছু ভিডিও তৈরি করার ইচ্ছেটা জাগলো। ঘটনার সাথে সাথে বলে গেলে ভাবনাটাকে ধরা যায়। নাকি স্রেফ উপরি উপরি কথাতেই সারা সেটা করে দেখতে হবে। বিষয়টা মন্দ না।

ঝিরিপথ শেষে ঝর্ণার গোড়ায় গিয়ে যখন পৌঁছালাম ততক্ষণে আমরা সকলেই মুগ্ধ। প্রকৃতির অপার মহিমায় আমাদের কথা ফুরিয়ে গেছে। দামী মোবাইলের অধিকারীরা ছবি তোলায় ব্যস্ত। আমি একটা পাথরে বসে বসে দেখছি। ভাবছি। সেই কোথায় শহরের যনজালে বসে থাকি।

অথচ কয়েক ঘণ্টার পথ এগুলেই প্রকৃতির কি অপরূপ সৃষ্টিতে ডুব দেয়া যায়। আসি আসি করে আসাই আর হয় না। তারপরও যে আসা হয়েছে তাতেই কৃতজ্ঞ। জয় হোক। জয়গুরু।।

রাহাত-ফয়েজ ব্যাগ-পত্র নিয়ে আরো খানিকটা উপরে উঠে গেছে। সেখানে তাবু করা হবে। সেই আয়োজনে তারা ব্যস্ত। এখানে বসে ওদের আর দেখা যাচ্ছে না। আমি ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম অনেকটা সময় ধরে। আর সুমন, আউলিয়া, সৌম্যর ছবি তোলা দেখছি। তারা বিভিন্ন ভঙ্গি করে নিজেদের ছবি তুলে চলেছে।

তারপর ধীরে ধীরে আমরাও উপরে উঠে আসলাম। এসে মুগ্ধতা আরো আলো নিয়ে জ্বলে উঠলো। আহ্। আসলেই অপূর্ব এক জায়গা। জায়গাটা বেশ খুঁজে বের করেছে বাচ্চালোক অর্থাৎ পোলাপান। তা স্বীকার করতেই হবে। এই জন্যই তারা সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসে।

প্রথম দৃষ্টিতেই প্রেমে পরে গেলাম ঝড়ঝড়ির। আহ্ আহ্ আহ্। কি সেই সৌন্দর্য। এমন অপরূপ ভূখণ্ডে ডুব দেয়াই যায়। জায়গাটা অনেকটা ডিম্বাকার। মাঝ দিয়ে ঝর্ণা নেমে গেছে। ঝর্ণার পাথুড়ে জায়গাটা ছেড়ে পাশে সবুজ জায়গা নিয়েছে।

ব্যাগপত্র রেখে আমরা মুগ্ধতা নিয়ে দেখছি প্রকৃতি। দেখছি না বলে, গিলে খাচ্ছি বলা যায়। ইশ্ কতদিন পর এমন নিখাদ প্রকৃতির মাঝে আসলাম। সেই শেষ যে বার পাহাড়ে এসেছি তাও কম করে হলে বছর তিনেক তো হবেই। সেইবারের সঙ্গটা তেমন মনে রাখবার মতো ছিল না।

যেহেতু উপরের অংশটা অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায়। তাই সে পাশটা একটু সরু। আর নিচের অংশটার দিকটায় ঝর্ণাটা একটা বিশাল বাক নেয়ায় জায়গাটা গোল হয়ে গেছে। তাই জায়গাটার আকারটা অনেকটাই ডিম্বাকার হয়েছে।

শীত মৌসুম হওয়ায় জলের ধারা কম। ঝর্ণার একটানা শব্দটা বারবার প্রকৃতির দিকে মনোযোগ ফিরিয়ে নিয়ে যায়। একটা নির্মল শব্দ কি করে কেন্দ্রে পৌঁছায় তাই না? আবার একটা যান্ত্রিক শব্দ কি পরিমাণ বিরক্ত করে আমাদের তাই না??

দুই পাশেই অনেকটা পাহাড় উঠে গেছে। খুব উঁচু না। তাই আকাশটা অনেকটাই দেখা যায়। আর যে পথ দিয়ে পাথর বেয়ে ঝর্ণার জল নেমে আসছে সেটা ক্রমশ উঠতে উঠতে মিশে গেছে। আর যে দিকটা দিয়ে আমরা উঠে এসেছি সেই দিকটাতেও গাছে প্রায় ঘেরা।

ঝর্ণার জমে থাকা জলের বা পাশের অনেকটা জায়গা জুড়ে সমতল। সেখানেই পর পর তিনটা তাবু খাটানোর কাজ চলছে। ক্যাম্পিং-এর জন্য বেশ আদর্শ জায়গা বলা যায়। অনেকটা পাহাড়ের খাজের মতো জায়গায় আমরা চলে এসেছি। প্রকৃতির শব্দ ভিন্ন আর কোনো আওয়াজ নেই।

ব্যাগপত্র রেখে আমরা মুগ্ধতা নিয়ে দেখছি প্রকৃতি। দেখছি না বলে, গিলে খাচ্ছি বলা যায়। ইশ্ কতদিন পর এমন নিখাদ প্রকৃতির মাঝে আসলাম। সেই শেষ যে বার পাহাড়ে এসেছি তাও কম করে হলে বছর তিনেক তো হবেই। সেইবারের সঙ্গটা তেমন মনে রাখবার মতো ছিল না।

আমার কাছে যাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঙ্গী ও সঙ্গ। সঙ্গী ও সঙ্গ ঠিকঠাক মতো না হলে যাত্রাটাই গতি পাল্টে বিরক্তির পর্যায়ে চলে যায়। শেষ বার পাহাড়ি পথে এসেছিলাম মিরেরসরাইয়ের বাইস্যা-বরিস্যা আর খৈয়াছড়ায়।

(চলবে…)

<<সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক ।। সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন>>

………………………..
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!