ভবঘুরেকথা
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে

-মূর্শেদূল মেরাজ

লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন

এতো লোককে সেবা দিবে কি করে? এতো সেবা কি রান্না হয়েছে? আকুল হয়ে মহারাজের স্মরণাপন্ন হলে। মহারাজ অভয় দিয়ে বললেন, ঠাকুরকে যে প্রসাদ নিবেদন করা হয়েছে। তা সেবায় মিশিয়ে দিয়ে সকলকে সেবা দিতে থাকো।

ভক্তরা কলাপাতা কেটে, নিজের নিজের বাসা-বাড়ি থেকে বালতি-হাড়ি এনে লোকদের সেবা দেয়া শুরু করলো। এবং অবাক হয়ে দেখলো সেবা আর শেষ হয় না। তখন তারা মহারাজের মহিমা বুঝতে শুরু করলো। তারপর থেকে ভক্তের সংখ্যাও দিন দিন বাড়তে লাগলো। হিন্দু-মুসলমানের ভেদাভেদ রইলো না। সকলেই মহরাজের ভক্ত।

এসবই আশ্রমের বর্তমান অধ্যক্ষ ও সভাপতি ব্রহ্মচারী জয়রাম মহারাজ শুনেছেন বাপ-দাদাদের কাছ থেকে। তিনি ছোট্ট বেলায় মহিনীকান্তি মহারাজকে চাক্ষুস দেখেছেন বটে। কিন্তু তা খুবই ছোটবেলায়। পরবর্তীতে তিনি ১৩৮২ বঙ্গাব্দে আশ্রমে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন।

তার হাত ধরেই আশ্রমের অবকাঠামো সহ প্রায় সকল উন্নয়ন কার্যক্রম হয়ে চলেছে। তাই সকলেই তাকে ভালোবাসে। বছরে আশ্রমে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি, দুর্গাপূজা ছাড়াও ছোটবড় নানা অনুষ্ঠান জাকজমকের সাথে পালিত হয়।

উৎসব ছাড়াও সকল সময়ই ভক্তদের সেবা দেয়া হয় আশ্রমের তরফ থেকে। ভক্তদের পৃষ্ঠপোষকাতায় আশ্রম পরিচালনা হয়।

এরই মাঝে অবশ্য ফোনে কথা হলো মহারাজের সাথে। বললাম, আমরা সাত জন আসছি। দুপুরের সেবা নিবো। মহারাজ আগ্রহ নিয়ে বললেন, আসেন বাবা। চলে আসেন। সবাইকে নিয়ে চলে আসেন।

আমরাও কথামতো রওনা দিলাম। দুপুর গড়িয়ে অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর গোপালদী বাজারে প্রবেশ করলো আমাদের সিএনজি। সিএনজি চালক জানালো সে আশ্রমটা চিনে। সেখানে নিয়ে যাবে। কিন্তু বাজারের সর্পিল গলিপথ ঘুরে গিয়ে প্রবেশ করে সে খেই হারিয়ে ফেললো।

বার কয়েক দোকানীদের কাছে জেনে তবে তাকে এগুতে হলো। প্রায় শত বছর পুরানো গোপালদী বাজার। বিশাল এলাকা নিয়ে এই বাজার। এখনো বাজার তার আদি ভাব ধরে রেখেছে অনেকাংশেই। মুগ্ধ হয় সিএনজির ফাঁকা দিয়ে দেখতে লাগলাম।

আমাদের সম্মুখভাগে মূল মন্দির। রামকৃষ্ণঠাকুর আসন নিয়েছেন সেখানে। ডান পাশে মহারাজের গুরুজীর স্মরণে একটা মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু ঘরবাড়ি। তবে এই সময়টায় সবই বন্ধ। রোদটা কমলে সম্ভবত আবার সব খুলবে।

আগেই বলেছি হাট-বাজার দেখতে আমার দারুণ লাগে। আর পুরানো-ঐতিহ্যবাহী বাজার হলে তো কথাই নেই। ইচ্ছে করছিল নেমে পড়ি এখানেই। বাজার ঘুরে দেখে তারপর মহারাজের আশ্রমে যাই। আমি বুঝতে পারছিলাম আমার সহযাত্রী আশিক, সুমন ওদেরও মনের কথাও তাই।

কিন্তু ঐ যে ঢাকায় ফিরতে হবে। তাই আর সেই রিক্সটা নিলাম না। আসলে কেউ কাউকে কথাটা মুখ ফুটে বললামই না। কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকলাম বাজারে আদি মোকামগুলো। অনেক অনেক বাঁক ঘুরে শেষে বাজার ছেড়ে নদীর পাড়ের রাস্তায় উঠলো সিএনজি।

শুনেছিলাম নদীর পারে আশ্রম। সেই নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। তবে এই শীতের শুষ্ক মৌসুমে নদীর জল শুকিয়ে গিয়ে একটা রেখায় পরিণত হয়েছে। চারপাশের কারখানার বর্জ্যে নদীর জল এখন কালো বর্ণে রূপ নিয়েছে। তাকে আর নদী বলা যায় না। ময়লার ভাগাড় বলাই ভালো।

বিশাল প্রবেশদ্বার দিয়ে যখন আমাদের সিএনজি প্রবেশ করলো। তখন প্রায় বিকেল। আজ রোদের তীব্রতা বেশ। দর্শনার্থী এই সময়টায় বেশ কম। আমরা আমাদের অপর সিএনজির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। দুই সিএনজি এক সাথে হওয়ার পর।

ব্যাগপত্র পিঠে চাপিয়ে আশ্রমের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলাম। ছিমছাম পরিবেশ আর গাছপালার ছায়ায় ছায়ায় আমরা আশ্রমের বিভিন্ন স্থাপনা পারি দিয়ে মূল উঠানে চলে আসলাম। আয়তাকার খোলা প্রান্তরের চারপাশ দিয়ে ছড়িয়ে আছে মনোমুগ্ধকর সব স্থাপনা।

আমাদের সম্মুখভাগে মূল মন্দির। রামকৃষ্ণঠাকুর আসন নিয়েছেন সেখানে। ডান পাশে মহারাজের গুরুজীর স্মরণে একটা মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু ঘরবাড়ি। তবে এই সময়টায় সবই বন্ধ। রোদটা কমলে সম্ভবত আবার সব খুলবে।

আমাদের মধ্যে বুদ্ধিমান শ্রেণীরা অবশ্য সেখানেই জলকেলি করেছে। যাক সেসব ভাববার সময় নেই। ঢুকে পরলাম ভোজনালয়ে। পাকা চকচকে ভোজনালয়ে বসবার ও সেবা নেয়ার জন্য স্থায়ী সারি সারি লম্বা করে পাকা টেবিল ব্যাঞ্চ বানানো আছে। আমরা অনেকটা ছড়িয়ে সকলে বসে পরলাম।

গোটা কয়েক দর্শনার্থী এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছে। একপাশে একটা দোকান। তাতে থরে থরে নানা উপকরণ সাজানো। একপাশে বইয়ের থাক। চোখ সেখানে চলে গেলো। কিন্তু তার আগে মহারাজকে খুঁজে বের করতে হবে।

ক্ষিদেটা পেট পেরিয়ে মাথায় উঠেছে। তাই খাওয়ার পাঠও চুকিয়ে নিতে হবে। ঐদিকে আবার ঢাকায় ফেরার তাড়াও আছে। আশ্রমের মূল উঠানের বিশাল প্রান্তর পেরিয়ে বা পাশের রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে যেতে জানতে চাইলাম- মহারাজ কোথায়?

সকলেই হাত দিয়ে কেবল সামনের দিকে দেখিয়ে দেয়। আমরাও এগিয়ে যাই। যেতে যেতে শেষে এক জায়গায় তাকে পাওয়া গেলো। শ্রমিকরা কাজ করছেন। তিনি তাদের সাথে হাত লাগাচ্ছেন। শক্ত পাকানো দেহের ছোটখাটো মানুষ মহারাজ।

তাকে ভক্তি দিতেই তিনি সবার আগে বললেন- আগে সেবা নিয়ে নেন বাবা। এতো দেরি করে আসছেন। আগে সেবা নিয়ে নেন।

আমরাও তাই চাইছিলাম মনে মনে। মহারাজের হাতের ইশারায় দেখিয়ে দেয়া রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতেই বিশাল ভোজনালয় চোখে পরলো। উপস্থিত মায়েদের কাছে গিয়ে বললাম। সেবা নিবো। মায়েরা আন্তরিক ভাবে বললো, যান বাবা আগে চোখে মুখে জল দিয়ে আসেন।

আমরাও ব্যাগপত্র রেখে যে যার মতো জলের সন্ধানে চললাম। কাছেপিঠেই জলের সুন্দর আয়োজন। তবে আমরা ক্ষিদের চোখে সেসব না দেখে অনেকটা দূরে গিয়ে মুখ হাত ধুয়ে ফিরে এসে দেখি। জলের কলের সমাহার ভোজানালয় ঘিরেই আছে।

আমাদের মধ্যে বুদ্ধিমান শ্রেণীরা অবশ্য সেখানেই জলকেলি করেছে। যাক সেসব ভাববার সময় নেই। ঢুকে পরলাম ভোজনালয়ে। পাকা চকচকে ভোজনালয়ে বসবার ও সেবা নেয়ার জন্য স্থায়ী সারি সারি লম্বা করে পাকা টেবিল ব্যাঞ্চ বানানো আছে। আমরা অনেকটা ছড়িয়ে সকলে বসে পরলাম।

মায়েরা সেবা দেয়া শুরু করলো। মহারাজের আশ্রমে মাছ সেবা হয়। কয়েক পদের মাছ থাকে প্রতি বেলায়। মায়েরা আফসোস করে বলতে লাগলো। ইস্ একটু আগে আসলে বাবা আরো মাছের পদ পেতেন। এখন কেবল এক পদ মাছ আছে।

একটু গড়াগড়ি দেয়া গেলে মন্দ হয় না। চাইলে আশ্রমে সেই সুযোগও আছে। কিন্তু গড়াগড়ি দিলে আর আজ ফেরা হবে কিনা সন্দেহ। তাই প্রবল ইচ্ছে থাকলেও তা প্রকাশ করা ঠিক হবে না বলে সকলেই তা নিজের মধ্যেই রাখছে আপাতত।

পরে জেনেছি, মহারাজ একসময় মাছের ব্যবসা করতেন। পরে এই পথে আসার পর সেসব ছেড়ে দিয়েছেন। গুরুর সেবাতেই নিবেদন করেছেন জীবন। সেই ধারায় এখন ভক্ত সেবায় মন দিয়েছেন। গুরুর ছোট্ট আশ্রমকে পরম যত্নে সাজিয়ে তুলেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদের ধারা হলেও তারা রামকৃষ্ণ মিশনের শাখা নয়।

মাছের ব্যবসা করতেন বলেই কি এখন ভক্তদের মাছ খাইয়ে আনন্দ পান? নাকি মাছ না কিনলে তার ভালো লাগে না? নাকি গুরুর আদেশে এই সেবার আয়োজন হয় তা জানা যায় নি এই যাত্রায়। ফের আবার গেলে জমিয়ে তার কাছ থেকে এসব তথ্য জেনে নেয়া যাবে ক্ষণ।

ইলিশ মাছের সঙ্গে আছে সবজি আর ডাল। আমরা সেই অমৃত স্বাদের আহার গোগ্রাসে গিলতে শুরু করে দিলাম। খাবার সময় সুমন দাস বাউল কথা বলে না। আর ফয়েজ সম্প্রতি অল্পাহারি হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও সেই স্বল্পাহার কেবল ভাতের পরিমাণে।

অন্য সকল কিছুই আর পরিমাণ মানে না। ডিম-মিষ্টি-মাছ-মাস সবজির মতোই অধিক হারেই নেয়। এভাবে কি ডায়েট প্ল্যান সে করছে সেই ভালো জানে। যাক অন্যদের অন্যদিকে তাকাবার সময় নেই মোটেও। যে যার প্লেটের দিকে তাকিয়ে সেবা নিয়ে যাচ্ছে।

ক্ষিদের পেটে শেষ বিকেলে সেবা নিলে শরীরে অলসতা চলে আসে। শরীর ছেড়ে দেয়। তার উপর স্বাদের কারণে খাবারের পরিমাণ নির্দিষ্ট গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। সুমন দাস বাউল দীর্ঘ দিন ধরে খাওয়ার সময় কথা বলে না। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে ইশারায় বলে।

আর এই সময়টাতেই তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-পর্যালোচনা করা যায় মন খুলে। কারণ চাইলেও সে উত্তর দিতে পারবে না। তাই আমিও এই সুযোগটা বরাবরই নেই। এই সময়ই বা তা ছাড়বো কেনো? আমাদের খুনসুটি চলতে চলতে একসময় সেবা শেষ হলো।

একটু গড়াগড়ি দেয়া গেলে মন্দ হয় না। চাইলে আশ্রমে সেই সুযোগও আছে। কিন্তু গড়াগড়ি দিলে আর আজ ফেরা হবে কিনা সন্দেহ। তাই প্রবল ইচ্ছে থাকলেও তা প্রকাশ করা ঠিক হবে না বলে সকলেই তা নিজের মধ্যেই রাখছে আপাতত।

যাকে জড়িয়ে ধরা যায় তাকেই তো ভালোবাসা যায়। মহারাজের ভালোবাসা অন্তরে নিয়ে ভক্তি দিয়ে ফেরার পথ ধরলাম। সেই দোকানখানায় ঢুকে অনেকগুলো বইই কিনবার স্বাদ হলো। কিন্তু টাকা ক্রমশ ফুরিয়ে আশায় খুব একটা সাহস করলাম না।

কারণ যে প্রথমে এ কথা প্রকাশ করবে, আজ না যাওয়া হলে দোষ তার ঘাড়ে পরার সম্ভাবনাই বেশি। মন চাইলেও আজ ফিরতে হবে বলে কেউ আর গাঁইগুঁই করলো না। পুকুর পাড়ে কিছুটা সময় একটু বিশ্রাম নিয়ে মহারাজের দর্শনে গেলাম বিদায় নেয়ার জন্য।

মহারাজ তখনো কাজের তদারকি করেই চলেছেন। এই পাশটায় দুইতলা একটা কাঠের ঘর নির্মিত হচ্ছে। বিশাল সেই ঘর তৈরি হচ্ছে অনেকটা দূর্গের মতো করে। জানা গেলো, গোপালদীসহ আশপাশের বাজারের শত বছর পুরানো দোকানপাট যা বিক্রি হয়।

তা মহারাজ কিনে আনেন। সেই সময়কার মজবুত সব বিশাল বিশাল কাঠ দিয়ে নির্মাণ করে চলেছেন আশ্রমের আবাসিক সব ভবন। ভক্তরা এসে থাকবে সেই জন্যই এই আয়োজন। ঘর দেখায় আমাদের উৎসাহ দেখে মহারাজ বললেন, যান বাবা উপরে উঠে দেখেন কেমন হচ্ছে।

পাটাতন বেয়ে উপরে উঠে আমরা আরো মুগ্ধ হলাম। আসলেই দূর্গ হচ্ছে। এই ঘরে একরাত না থাকতে পারলে শান্তি পাওয়া যাবে না। কথাটা শুনে মহারাজ বললো, অবশ্যই। আপনাদের জন্যই তো এসব হচ্ছে। ঐ পাশটায় দেখেন সবজি লাগানো হয়েছে।

বিদায় নিতে গেলে মহারাজ জড়িয়ে ধরে বললো, বাবা আপনার আসবেন। এসে থাকবেন। শক্ত সমর্থ মানুষটার কণ্ঠ ভেজা। আসলেই প্রেমের মানুষ এমনই হয়। প্রেমের পরশে ক্ষণিকেই ভিজে কাঁদা হয়ে যায়। এই সহজ কথা বলছে। এই কাঁদছে। এই হাসছে।

যাকে জড়িয়ে ধরা যায় তাকেই তো ভালোবাসা যায়। মহারাজের ভালোবাসা অন্তরে নিয়ে ভক্তি দিয়ে ফেরার পথ ধরলাম। সেই দোকানখানায় ঢুকে অনেকগুলো বইই কিনবার স্বাদ হলো। কিন্তু টাকা ক্রমশ ফুরিয়ে আশায় খুব একটা সাহস করলাম না।

গোটা দুয়েক বই কিনে হাঁটা দিলাম সকলের পিছু পিছু। মন পরে থাকলো না কেনা বইগুলোর প্রতি।

(চলবে…)

<<লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই ।। সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক>>

ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!