ভবঘুরেকথা
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন

-মূর্শেদূল মেরাজ

নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই

সেই মোতাবেক আশ্রমে সকল কিছুই কেনা হয়েছে। পুরো উৎসব জুড়ে যে লাখ লাখ মানুষ একত্রিত হয় সকলকে সেবা দেয়ার। তাদের থাকতে দেয়ার। বসতে দেয়ার। সাজ-সজ্জা সহ সমস্ত রকম জিনিসই আশ্রমের নিজের আছে।

তাই এখন কেবল গায়ের শ্রম দিলেই উৎসব দাঁড়িয়ে যাবে। ভক্তরা নিজেরাই ভাগ করে নেয়, কে কোন কাজ করবে। সেই মোতাবেক নিজ দায়িত্বে নিজের মতো করে নিজেরা সেই কাজ উঠিয়ে দেয়। এভাবেই হয় নিরার উৎসব।

লোকে বলে, ভক্তরাই সেবার আহার বয়ে নিয়ে আসে। ভক্তরাই সেবা রান্না করে। ভক্তরাই সেবা দেয়। ভক্তরাই সেবা নয়। কে কতটা দিলো। কতটা করলো। সে হিসেব হয় না। হয় কেবল প্রেমের হিসেব। মনে প্রেম আছে তো সকলে সাথে আছে। মনে প্রেম নেই তো একাকী হতে হয়।

গতবার আমরা এসেছিলাম ঘটা করে নিরা গোঁসাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবার জন্য। কিন্তু সেই যাত্রায় তার দেখাই পাই নি আমরা। আশ্রমে প্রবেশ করতেই দেখা হলো নিরা গোসাইয়ের মায়ের সাথে। তিনি নিজের হাতে চাপকল চেপে পানি ভরছিলেন জগে।

তিনি আমাদের সকলকে দেখলেন ভালো করে। প্রায় সকলের চোখে চশমা দেখে বিরস মুখে বললেন, তোমরা কি সব কানা? আরে আমার নব্বাই বয়স পার হইছে তাও তো আমার চোখে চশমা লাগে না। তোমাদের এই বয়সেই চোখে চশমা?

আসলেই তাই বাগেরহাটের এই অঞ্চলটাতে অনেক বয়ষ্ক মানুষের সাক্ষাৎ হয়েছে আমাদের। অনেকেই নব্বই পেরিয়েছেন। কিন্তু শক্ত-পোক্ত আছেন। নিজে নিজেই চলাফেরা করতে পারেন দেদারসে। সম্ভবত এই মাটির গুণ। এই মাটিতে মানুষ কি দীর্ঘায়ু হয়?

যাক সকলে যখন ক্রমশ বাড়তে থাকা মানুষের ভিড়ে মিশে উৎসব প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছিলাম। তখন চারপাশে কেবল হরিধ্বনি। সকলের মুখে ‘হরিধ্বনি’। শুরু হয়েছে মাতম। আসছে দলের পর দল। হরি মন্দিরের সামনে জমছে মাতম। ভক্তকুল প্রেমে মাতোয়ারা। সেখানে আর শীত শীত ভাবটা নেই। সকলেই ঘেমে নেয়ে ডঙ্কা-কাশি বাজিয়ে চলছে।

আর আগে ওড়াকান্দি শ্রীধামে মতুয়া মহাবারুণীসহ কয়েকটি মতুয়া উৎসব দেখবার অভিজ্ঞতা থাকায় আয়োজন সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা ছিল। সাথের অন্যদের বেশিরভাগই মতুয়া শব্দটিও শোনে নি আগে। আমিও যে খুব বেশি জানি তাও তো নয়। যতদূর জানি-

মতুয়া মতাদর্শে বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে, ভক্তিতেই মুক্তি। একশ্বরবাদী মতুয়ারা বৈদিক ক্রিয়া-কর্মে আস্থা রাখে না। তাদের সাধন-ভজন হচ্ছে সংকীর্তন। তাদের মতে, পরমেশ্বরের প্রাপ্তির একমাত্র পথ হলো ‘প্রেম’। পবিত্র দেহ-মনই প্রেম জাগত করত পারে। আর এতেই হরি ভক্তি হৃদয়ে অসীন হন।

মতুয়া শব্দের অর্থ মেতে থাকা বা মাতোয়ারা হওয়া। হরিনামে যারা মেতে থাকে বা মাতোয়ারা হন সেই মতুয়া। ভিন্ন মতানুসারে, ধর্মে যার মত আছে সেই মতুয়া। এই মতাদর্শের প্রবর্তক গোপালগঞ্জ জেলার ওড়াকান্দির শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর। তার প্রেমভক্তিরূপ সহজ সাধনপদ্ধতি ‘মতুয়াবাদ’ নামে পরিচিত।

মতুয়াদের মধ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভেদ নেই। এই মতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার স্বীকৃত। নারী-পুরুষ সকলেই এই ধর্ম প্রচার করতে পারে। ধর্মপ্রচারককে বলা হয় ‘গোঁসাই’। ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের প্রধান মন্দির অবস্থিত। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে সেখানে মিলনমেলা বসে।

গার্হস্থ্য জীবনের মধ্য দিয়েও মতুয়া ধর্মের চর্চা করা যায়। তাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত। মতুয়াদের বারোটি নিয়ম পালন করতে হয়, যা ‘দ্বাদশ আজ্ঞা’ নামে পরিচিত। ভক্তদের বিশ্বাস, শ্রীচৈতন্যদেবের পরজন্মেই হরিচাঁদ ঠাকুর।

লাল নিশানের মিছিল নিয়ে মতুয়া উৎসবে আসে। প্রতিটা দল ডঙ্কা, কাশি, শিঙ্গা বাজিয়ে ‘হরি ধ্বনি’ করতে করতে এগিয়ে চলে। নারী-পুরুষ-শিশু সকলেই মিছিলে অংশগ্রহণ করে। পুরুষরা সাধরণত সাদা রঙের ধুতি এবং নারীরা শাড়ি পরে মিছিলে অংশ নেয়।

যাক সকলে যখন ক্রমশ বাড়তে থাকা মানুষের ভিড়ে মিশে উৎসব প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছিলাম। তখন চারপাশে কেবল হরিধ্বনি। সকলের মুখে ‘হরিধ্বনি’। শুরু হয়েছে মাতম। আসছে দলের পর দল। হরি মন্দিরের সামনে জমছে মাতম। ভক্তকুল প্রেমে মাতোয়ারা। সেখানে আর শীত শীত ভাবটা নেই। সকলেই ঘেমে নেয়ে ডঙ্কা-কাশি বাজিয়ে চলছে।

মিঠুন দা বললো, এখানে যারা মেলায় দোকান দেয় তাদের কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না। উপরোন্ত প্রতি বেলায় সেবা নেয় এখানে। এমনকি যাওয়ার সময় গোঁসাইয়ের কাছে ভক্তি দিতে গেলে। গোঁসাই তাদের হাতে সাধ্য মতো টাকা পয়সাও দিয়ে দেয়।

মাতোয়ারার মাতমে আমরাও মাতোয়ারা হয়েছি ততক্ষণে। হরিমন্দির সেজেছে সুন্দর করে। গতরাতে আমিও একটু হাত দিয়েছিলাম সাজাবো বলে। অনেকটা পরিকল্পনাও মাথায় ছিল। সুমন দাস বাউল, আকাশ সহ আরো কয়েকজন আগে থেকেই শুরু করেছে।

আমিও ঘণ্টা দুয়েক হাত লাগানোর পর একজন সেবায়েত এসে বললো, এখন একটু সেবা নিয়ে নেন সকলে। রাত তো মেলা হলো। সেবা নিয়ে আবার কাজে হাত দেন। কাজ তো সারা রাতই করতে হবে। সেবাটা আগে নিয়ে নেন।

ততক্ষণে টের পেলাম ক্ষিদেটা বেশ জমিয়েই লেগেছে। তার উপর টকের টান তো আছেই। গোঁসাইয়ের আশ্রমে অবশ্য তেতুলের টক হয় না। হয় টমেটোর টক। আমাদের পরিবারেও টক রান্নার ব্যাপক প্রচলন আছে, টমেটো, জলপাই, চাতলা, তেঁতুল, ধনেপাতা, আমড়া, আমসহ নানা ব্যাঞ্জনার টক রান্না হয় বছর জুড়ে।

যে মৌসুমে যে টক ফল বা সবজি পাওয়া যায় সেই মৌসুমে তাই দিয়ে করা হয় টক। তবে টকের সাথে প্রয়োজনবোধে দেয়া হয় সামান্য মিষ্টি। কিন্তু গোঁসাইয়ের আশ্রমে তা হয় না। এক্কেবারে টক। সেই টক টকটক করে খাওয়ার পর মুগ্ধতা ছড়িয়ে পরে সর্বাঙ্গে।

উৎসবের আগের দিনই আশ্রমের দুই পাশে দুইটা বিশাল আনন্দবাজার প্রস্তুত হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে সেবা দেয়া। যত মানুষ আসছে সকলেই চইলে পাচ্ছে সেটা। পদ তিনটা। গরম গরম ধোঁয়া উঠা ভাত, ডাল, তরকারি আর টক। বিরামহীন ভাবে সেবা রান্না হচ্ছে। সেবা দেয়া হচ্ছে। যারা আসছে তারাই পাচ্ছে।

মিঠুন দা বললো, এখানে যারা মেলায় দোকান দেয় তাদের কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না। উপরোন্ত প্রতি বেলায় সেবা নেয় এখানে। এমনকি যাওয়ার সময় গোঁসাইয়ের কাছে ভক্তি দিতে গেলে। গোঁসাই তাদের হাতে সাধ্য মতো টাকা পয়সাও দিয়ে দেয়।

ঘেরে চিংড়ি চাষ করতে গিয়েও মাটিকে লবণাক্ত করা হয়েছে। আর এতে দিন দিনই অনেক নতুন এলাকাও লবণাক্ত হয়ে পরছে। অনেক চাপকলের পানি পানই করা যায় না লবণের করণে। স্থানীয়রা অনেকটা অভ্যস্থ হলেও আমাদের পক্ষে পান করা সহজ নয়।

তাই এই উৎসবে মেলার মাঠে দোকান দেয়ায় কারো আপত্তি নেই। যদিও জায়গাটা বেশি বড় না মেলা আয়োজনের জন্য। মেলাটা হয় আশ্রম থেকে বেশ কিছুটা দূরে। সাইক্লোন সেন্টারের পাশের মাঠে। আশ্রম থেকে প্রায় আধা কিলোমিটারের মতো দূরত্বে মেলা বসে।

চলছে সেবার আয়োজন
চলছে সেবার আয়োজন

আসলে শুধু আশ্রমেই মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয় না। পুরো গ্রাম জুড়েই হয় উৎসব। প্রায় বাড়িতেই বসে দোকান। কেবল ব্যবসার জন্যই নয়। সেবার জন্যও বসে দোকানপাট। পথে যাতায়াতের সময় যাতে মানুষের জল-খাবারে কোনো অসুবিধা না হয়।

গ্রামের সকলেই নিরার প্রেমে মাতোয়ারা। সকলে মিলেই মহোৎসব করে। সেখানে নেই কোনো ধর্মের-মতের প্রভেদ। সকলেই ভালোবাসে নিরা গোঁসাইকে। এক ভক্ত বলেছিল, নিরা হইলো প্রেমের খনি। আমরা আর তার জন্য কি করতে পারি। নিরাই সব করে।

গ্রামের একমাত্র মিঠা পানির উৎস বিশাল দীঘিখানা মেলা ছাড়িয়েও আরো কিছুটা দূরে। সেখান থেকেই আসে রান্নার জল। সেই জলেই রান্না হয়। এতো এতো ভক্তের রান্নার জন্য কি পরিমাণ জল এতো দূর থেকে বয়ে আনতে হয় সেটা চিন্তা করাও মুশিকিল। তারপরও সকলে তা বিনাবাক্যে করে চলেছে।

কালেখারবেড়ের চারপাশ জুড়ে কেবল চিংড়ীর ঘের আর ঘের। আসলো পুরো অঞ্চল জুড়েই ঘের। আর এই ঘেরের আধিক্যের ফলে এখানের পানিতে লবণ দিন দিনই বাড়ছে। শুধু যে সমুদ্রের লোনা জলের জন্য এখানের সব কিছু লবণাক্ত হয়ছে তা নয়।

ঘেরে চিংড়ি চাষ করতে গিয়েও মাটিকে লবণাক্ত করা হয়েছে। আর এতে দিন দিনই অনেক নতুন এলাকাও লবণাক্ত হয়ে পরছে। অনেক চাপকলের পানি পানই করা যায় না লবণের করণে। স্থানীয়রা অনেকটা অভ্যস্থ হলেও আমাদের পক্ষে পান করা সহজ নয়।

আর সেই তৃষ্ণা মেটাতেই প্রকৃতি সুপ্রেয় পানির আধার বিশাল দীঘিও দিয়ে রেখেছেন। স্থানীয়রাও সেই দীঘিকে রেখেছেন পরম যত্নে। একবার এই দীঘি লবণাক্ত হয়ে গেলে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষকেই খাবার পানির জন্য হাহাকার করতে হবে।

যাকে ঘিরে এতো আয়োজন, সেই মানুষটা মানুষের মাঝে লুকিয়ে থাকে। তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ আমরা ঠুনকো পরিচিত পাওয়ার জন্য কত হানাহানি-মারামারি-রেষারেষ করে থাকি। আসলে আমরা কি খুঁজি। আর মহাজনরা কি খোঁজেন?

সেই রাতে সেবা নিয়ে আবার হরিমন্দির সাজানোর কথা ছিল আমার। কিন্তু হঠাৎ মোবাইলটা খুলেই বিপত্তি হয়ে গেলো। জানা গেলো, একটু ঝামেলা হয়ে গেছে একটা মেইল তৎক্ষণাত করতেই হবে। অগত্যা আশ্রমের হরিমন্দিরের বদলে যেতে হলো যেখানে আশ্রয় নিয়েছি।

মিঠুন দা’র বাড়ির পেছনের দিকে যেখানে দুই পাশে ঘের আর এক পাশে পুকুর সেখানে আমরা আস্তানা গেড়েছি। আমাদের সাথে চলে এসেছে আমাদের কম্বল। ত্রিপল-শামিয়ানায় ঘেরা আমাদের ঘরখানা ততদিনে আপন হয়ে গেছে।

ছোটভাই রকিব বলেছিল, ‘ভাই দেখছেন কেমন জানি ঘরটায় আসলেই আপন আপন লাগে। তার উপর ঘরখানা ঘিরে দুই পাশে আমরা ঝুলিয়েছি তিন খানা হ্যামক।

তাতে ঝুলতে ঝুলতেই আমাদের দিন-রাতের বেশিভাগ অসল সময় কাটে। শুধু আমরাই ঝুলছি বলা ভুল হবে। বাড়ির সকলে তো বটেই আশপাশের মানুষজনও এসে ঝুলে যাচ্ছে হ্যামকে। সকলেই মজা পেয়ে গেছে। সময়ে সময়ে আমরাও ভাগে পাই না।

স্বার্থপরের মতো আমরা ছোটদের সুযোগ না দিয়ে বেশিভাগ সময় আমরাই হ্যামক দখলে রেখেছি। যদিও হ্যামকের প্রকৃত মালিক তারাই। তাদের উদারতায় আমরা এই যাত্রায় বেশ দোল খেয়ে নিলাম। দোল খেতে খেতে বহুবার ভেবেছি সেই শুরুর কথাটাই।

যাকে ঘিরে এতো আয়োজন, সেই মানুষটা মানুষের মাঝে লুকিয়ে থাকে। তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ আমরা ঠুনকো পরিচিত পাওয়ার জন্য কত হানাহানি-মারামারি-রেষারেষ করে থাকি। আসলে আমরা কি খুঁজি। আর মহাজনরা কি খোঁজেন?

এই হিসেব মেলানো সহজ নয় আমার পক্ষে। আমি কেবল দোল খেতে খেতে চাঁদের আলোয় ডুবে যেতে যেতে সেই মহতে ভক্তি জানাতে পারি। জয়গুরু।।

(চলবে…)

<<নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক ।। সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক>>

………………………..
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!