ভবঘুরেকথা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে

-মূর্শেদূল মেরাজ

সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-তিন

আশিকের এতো গরমেও তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সে এদিন সেদিক ঘুমিয়ে সময় কাটাচ্ছে। আমি আর রানা পাশাপাশি চেয়ার পেতে বসে আছি। এমন সময় হঠাৎ আশিক অনেকটা দূর থেকে জোড়ে ডাকতে শুরু করলো- ভাই আসেন, ভাই আসেন। তাড়াতাড়ি আসেন।

আমরা ভাবলাম কি না কি। যেয়ে শুনি সেচের জন্য পাম্প ছাড়া হয়েছে। অনেকে যাচ্ছে সেই বোরিং-এ গোসল করতে। পাম্প বন্ধের আগে আমাদেরও যাওয়া উচিৎ। আমরাও তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে গেলাম। এই গরমে বোরিং-এর শীতল পানি নির্ঘাৎ আরাম দিবে। তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

হাঁটা দিলাম সেই পথে যে পথে সেচের পানি বইতে শুরু করেছে। আহ্ সত্যি বলছি, আশিকের তেমন চিৎকার করে ডাকা স্বার্থক। দেহ-মন সব শীতল হয়ে উঠলো গোসল করতে করতে। কিন্তু এতটাই গরম পরেছে যে। পানি থেকে উঠলেই দেহের পানি দেহেই শুকিয়ে যাচ্ছে।

দীর্ঘ সময় ধরে গোসল সেরে আখড়ার দিকে রওনা হলাম। ক্ষেতের আইল দিয়ে চলতে চলতেই আবারো গরম লাগতে শুরু করলেও। ভেতরে একটা প্রশান্তি বয়ে চলছিল। গোসলটা আসলেই বেশ আরাম দিচ্ছিল এই ভয়াবহ গরম থেকে।

যথারীতি পুণ্যসেবার পর ব্যাগপত্র গুছিয়ে আমরা অটোতে চেপে বসলাম। আগেই অটোর কথা বলা ছিল। সে এসে দাঁড়িয়ে ছিল অনেকটা সময় ধরেই। পরিচিত অটো। সাঁইজিকে এদিক সেদিক আনা নেয়া করে। এক অটোতে নহির সাঁইজি, এক মা জননী, নিধি, আমি আর রানা বসলাম।

সামনে ড্রাইভারের দুই পাশে বসলো আশিক আর সাগর। অটো চলতে শুরু করলে হঠাৎ রানা নহির সাঁইজিকে বলে বসলো, “সাঁইজি আপনি আশপাশ সম্পর্কে কিছু বলেন। আপনার তো সব মুখস্ত। আমাদের সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দেন। নইলে আমরা চিনবো কেমন করে?”

তাই এমন হয়েছে যে, দেখা যাবে অত্র এলাকার এমন কোনো বাড়িঘর নেই যেখানে আমার যাওয়া হয়নি। কত সূত্র ধরে যে মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে মানুষে মানুষে যোগাযোগের একটা উসিলা লাগে। মানুষরে নিয়ে কাজ করলে তবেই না মানুষের কাছাকাছি যেতে পারবা।

সাঁইজি একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বললো, “এরজন্য তোমাকে তোমার গুরুর সাথে থাকতে হবে। গুরুর সাথে এই সব এলাকা ঘুরলে তবে তুমি বুঝতে পারবা তোমার গুরু এখানে কতটা প্রভাবশালী। প্রাগপুরের প্রতিটা লোক তোমার গুরুকে চিনে।

কোনো না কোনো সূত্রে প্রত্যেকের সাথেই আমার পরিচয় আছে। আলাপ আছে। স্বাধীনতার পর থেকে যখন আমি স্থানীয়দের নিয়ে কাজ করা শুরু করি। তারপর থেকে এই এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে আমি সবসময়ই ছিলাম।

তাই এমন হয়েছে যে, দেখা যাবে অত্র এলাকার এমন কোনো বাড়িঘর নেই যেখানে আমার যাওয়া হয়নি। কত সূত্র ধরে যে মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে মানুষে মানুষে যোগাযোগের একটা উসিলা লাগে। মানুষরে নিয়ে কাজ করলে তবেই না মানুষের কাছাকাছি যেতে পারবা।

ধরো এমনো আছে, একজন আসলো আমার কাছে, তারে চিনি না। সে এসে বললো, ছোটবেলায় আপনার দেয়া এক ফোটা ওষুধ আমি খেয়েছিলাম। সেই সূত্র ধরে ধরো পরিচয়। তাই আমার সাথে না ঘুরলে তুমি আমাকে ঠিক মতো বুঝতে পারবা না।”

এসব কথা বলতে বলতে আমরা প্রাগপুরের কাছাকাছি চলে আসলাম। খাইরুল ভাইয়ের বাড়ি থেকে প্রাগপুর খুব একটা দূর না। প্রাগপুরের কাছাকাছি আসতেই নহির সাঁইজি বললো, বাজার করতে হবে। বাজারে অটোটা একটু সাইড করে রাইখো বাপ।

আমাদের কথা না দিলে সুমন সরাসরি যশোর চলে যেত; তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। সুমন বিষয়টাকে কেমন করে নিবে। ও আসতে চাইবে কিনা। নাকি ও কুষ্টিয়া থেকেই যশোরের দিকে রওনা দিবে। ও আসলে আমাদেরও ভালো লাগবে। তাই নানান ফন্দি-ফিকির করতে লাগলাম।

রাস্তার পাশেই খোলা একটা মাঠে খুব সুন্দর একটা হাট বসেছে। বেশি বড় না হাটটা। এই হাটে বাহারি জিনিসপত্র তেমন পাওয়া যায় না। মূলত এটা সবজির হাট। তাজা তাজা চকচকে ঝকঝকে সব সবজি উঠেছে হাটে। আমি ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম।

সাঁইজি ঘুরে ঘুরে বাজার সারলেন। আসলেই বাজারের প্রত্যেক দোকানিই নহির সাঁইজিকে চিনেন। জানেন। তারাও জানেন নহির সাঁইজি দামাদামি করবেন না। তাই তারাও সঠিক দামেই পণ্য দিতে লাগলো বলেই মনে হলো।

নিধি বলে যাচ্ছে কোনটা কোনটা কিনতে হবে, সাইজি দাম দিয়ে যাচ্ছে, দোকানি মেপে মেপে ব্যাগে ভরে দিচ্ছে। এখানে সবচেয়ে ভালো লাগার যে ব্যাপারটা লাগলো সেটা হলো। সাঁইজি কোনো দোকান থেকেই পলিথিনে পণ্য নিলেন না। সাথে আনা ব্যাগেই ভরে নিলেন।

নহির সাঁইজির হেমাশ্রমের দিকে যতটা এগিয়ে যাচ্ছিলাম ততটাই আমরা চিন্তিত হয়ে পরছিলাম সুমনকে নিয়ে। আমরাই বারবার বলেছি আমরা যশোর যাব। সেই জন্যই সে কুষ্টিয়া আসছে। একসাথে যাব বলে। কিন্তু আমরা চলে এসেছি হেমাশ্রমে। তার জন্য একটা অপরাধবোধ কাজ করছিল মনে মনে।

তবে আমরা সে জন্য নতুন করে পরিকল্পনা সাজিয়েছি। আজ সুমনকে যে করে হোক হেমাশ্রমে নিয়ে আসবো। একসাথে আগামীকাল সকালে সকলে মিলে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। সুমনকে অবশ্য কিছুটা আভাস দেয়া হয়েছে আমরা নহির সাঁইজির আশ্রমে যাচ্ছি।

মনে মনে একই সাথে দুইটা অপরাধবোধ নিয়ে চলেছি আমরা। এক হলো সুমনের পরিকল্পনা ঘেঁটে দেয়া। আর দুই হলো রানাকে এক রাতের জন্য জোর করে নিয়ে এসেছিলাম সাথে। কিন্তু এখন তাকে দ্বিতীয় রাত্রির জন্য থেকে যেতে হচ্ছে।

আমাদের কথা না দিলে সুমন সরাসরি যশোর চলে যেত; তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। সুমন বিষয়টাকে কেমন করে নিবে। ও আসতে চাইবে কিনা। নাকি ও কুষ্টিয়া থেকেই যশোরের দিকে রওনা দিবে। ও আসলে আমাদেরও ভালো লাগবে। তাই নানান ফন্দি-ফিকির করতে লাগলাম।

একে তাকে দিয়ে ফোন দিয়ে মানাবো ভাবছিলাম। শেষে দেখা গেলো সুমন এমনিতেই রাজি হয়ে গেলো। তবে কথা নিলো আগামীকাল আমরা যশোর যাচ্ছি। আমরা জোর দিয়েই বললাম আমরা যাবো। আসলেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল আমরা যাবো।

বিষয়টা এক লাইনে লিখে দেয়া যায়। দুই একটা দৃশ্যে ভেবেও নেয়া যায়। প্রেম-ভক্তির ধারায় মেনেও নেয়া যায়। কিন্তু বিষয়টা বাস্তবায়ন করা কিন্তু মোটেও সহজ কাজ নয়। স্বজ্ঞানে এই কাজ করা যার তার কর্ম নয়। এর জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট মনোবল। যাকে বলে হিম্মত।

কিন্তু সুমন দাস বাউল সেই কথাটার উপর বেশ ভরসা করতে পারলো না কেনো কে জানে। যাক আমরা জাকিয়ে বসলাম হেমাশ্রমে। কয়েকদিন কেউ ছিল না আশ্রমে তাই ধুলোবালি ঝেড়ে সব ঠিকঠাক করা হলো। আগের বার যখন এসেছিলাম তখন আখড়ায় নতুন করা এই ঘরখানার মেঝে পাকা হয়নি।

এবার অনুষ্ঠানের আগে নাকি অনেকটা কাজ করা হয়েছে। পুরো মেঝে টাইলস লাগানো হয়েছে। তবে নহির সাঁইজির রুচি বেশ নান্দনিক। মেঝেতে চকচকে ঝকঝকে টাইলস দেখলেই আমার মেজাজ গরম হয়ে যায়। কেমন যেন টয়লেট টয়লেট মনে হয়।

নহির সাঁইজি বেশ রুচিশীল ম্যাট টাইলস লাগিয়েছেন পুরো আখড়া কক্ষে। তবে সবয়েচে সুন্দর হয়েছে। উপরের চারপাশ জুড়ে হলুদাভ মরিচা বাতি লাগিয়েছেন। দেখতে অনেকটা প্রদ্বীপের আলোর মতো হয়েছে। মনে হয় অনেকগুলো প্রদ্বীপ জ্বলছে। এই আলোটা আখড়া ঘরকে অন্য একটা মাত্র দিয়েছে।

আখড়া ঘরে গা এলিয়ে দিতে না দিতেই সাঁইজি প্রবেশ করলেন। এসেই বললেন- নিধি একটু চা-বিস্কুট দাও। সেবার চালটা বেশ শক্ত ছিল। আমি সেবা নিতে পারিনি ভালো করে। নিধি বিস্কুট নিয়ে আসলে সাঁইজির সাথে আমরাও আবারো খেতে শুরু করলাম। যদিও কিছুক্ষণ আগে পুণ্যসেবায় আমরা যথেষ্টই সেবা নিয়েছি।

ওহ্ এই ফাঁকে একটা কথা বলে রাখি, ফকির নহির সাঁইজির মুখে একটিও দাঁত নেই। বিষয়টা আমাকে প্রথমে বেশ অবাক করেছিল। এতো শক্তপোক্ত মানুষ তিনি। এতো স্বাস্থ্য সচেতন। উনার মুখে একটাও দাঁত নেই কেনো? পরে জেনেছি, তিনি তার দাঁত নিজেই সব তুলে ফেলেছেন।

হ্যা! ঠিকই শুনছেন। নিজ হাতে সমস্ত দাঁত তুলে ফেলেছেন। খাবারের প্রতি যাতে সংযম আসে। যাতে দেখলেই খাই খাই প্রবণতা না আসে সহ। ওয়াইজ কুরুনি পাগলের সেই নবী প্রেমের ভাব তো আছেই। সব কিছু মিলিয়ে তিনি তার সকল দাঁত তুলে পরম যত্নে রেখে দিয়েছেন।

বিষয়টা এক লাইনে লিখে দেয়া যায়। দুই একটা দৃশ্যে ভেবেও নেয়া যায়। প্রেম-ভক্তির ধারায় মেনেও নেয়া যায়। কিন্তু বিষয়টা বাস্তবায়ন করা কিন্তু মোটেও সহজ কাজ নয়। স্বজ্ঞানে এই কাজ করা যার তার কর্ম নয়। এর জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট মনোবল। যাকে বলে হিম্মত।

আলাপ শুনতে শুনতে মনের মাঝে কিছু প্রশ্নের উদয় তো হয়ই। সেগুলো একটু চেপে রাখতে হয় আলাপের সময়। বিজ্ঞ সাধুগুরু হলে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাবেন। ফাঁকি থাকবে না। কিন্তু তার জন্য করতে হবে অপেক্ষা। আলাপ থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করাটা অনেকক্ষেত্রেই বিরক্তিকর ও যথেষ্ট পরিমাণে বোকামিপূর্ণ তো বটেই।

এটা সেটা খাওয়া আর গড়াগড়ি করে রাত নামিয়ে আনলাম আমরা। ঐ দিকে অনেকটা রাত করে সুমন এসে পৌঁছালো। তার সাথে এসেছে আরেক ছোট ভাই রাসেল। সাত্তার বাজানের ভক্ত ছেলে রাসেল। ও রওনা হয়েছিল পাবনা যাবে বলে। সুমনকে পেয়ে তার সাথে চলে এসেছে। বেশ মিষ্টি গলায় গান করে রাসেল।

নহির সাঁইজির ধামে এখন আমরা অনেকজন হয়েছি। আমি, আশিক, রানা, সুমন, রাসেল, ফয়সাল, টুটুল ভাই, সাগর, নিধি আর নহির সাঁইজি। সাথে দুই একজন আসা-যাওয়ার মধ্যে আছে। এরপরের সময়গুলো কাটতে লাগলো নানান বৈচিত্র্যে।

আড্ডা, গান, বাজনা, ঘোরাঘুরি, সেবা, ঘুম এই সবই মূলত কাজ। মাঝেমধ্যে নহির সাঁইজির ভাব আসলে নানান বিষয় নিয়ে-তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা। নহির সাঁইজি প্রতিটি বিষয়ের খুঁটিনাটি আলোচনা করেন। মুগ্ধ হয়ে শুনতে হয়। তার একটা বিশাল গুণ হলো তিনি এমনভাবে কথা বলেন যে সেখানে প্রশ্ন রাখা মুশকিল।

তাই চুপচাপ শুনে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তাতে নিজের হিসেবে অনেক কিছু না মিললেও। অনেক কিছু যে জানা যায় তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সাধুগুরুদের সাথে কথা বলতে গেলে, যদি কোনো তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা উঠে তাহলে শুনে যাওয়াটাই রীতি।

আলাপ শুনতে শুনতে মনের মাঝে কিছু প্রশ্নের উদয় তো হয়ই। সেগুলো একটু চেপে রাখতে হয় আলাপের সময়। বিজ্ঞ সাধুগুরু হলে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাবেন। ফাঁকি থাকবে না। কিন্তু তার জন্য করতে হবে অপেক্ষা। আলাপ থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করাটা অনেকক্ষেত্রেই বিরক্তিকর ও যথেষ্ট পরিমাণে বোকামিপূর্ণ তো বটেই।

এতে আলাপে যেমন বাঁধা পরে। তেমনি মূল আলোচনা থেকে সড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আরো অনেক বেশি। সাধুগুরুরা বিরক্ত হয়তো হন না। সাধুগুরুরা আগত সকলকে সকলের মতো করেই গ্রহণ করেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চান। যতটা জানানো সম্ভব।

কিন্তু উদ্ভট সব প্রশ্ন করলে উপস্থিত অন্যদের জন্য সেটা বিশাল ক্ষতি হয়ে যায়। প্রশ্নদাতারা অনেক সময়ই তা খেয়াল করেন না। একটা সুন্দর আলোচনা, একটা সুন্দর বিষয়ের মোড় ঘুড়িয়ে দিয়ে প্রশ্নদাতা হয়তো মনে মনে প্রীত হয়। এতে করে তারা অনেক সময় নিজের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায় বটে।

(চলবে…)

<<সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-দুই ।। সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-চার>>

………………………..
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!