-মূর্শেদূল মেরাজ
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
ভাঙ্গা মেলায় দুপুরের কাছাকাছি সময় সকালের নাস্তা সেরে আবারো আমরা সাত জন ব্যাগ-পত্র গুছিয়ে রওনা হয়েছি দয়ারের দরবারের পথে। দয়াময় থেকে দয়ালের পথে যেতে মোটামুটি ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় লাগবে। শুনেছিলাম রাহাত আলী শাহ্ এর দরবারও মনোমোহনের আনন্দ আশ্রমের কাছে পিঠে কোথাও।
তাই মনে একটা কিঞ্চিৎ আশা ছিল যদি তার দরবারে এক ঝলক যাওয়া যায়। এই আশায় আমিই অটো ঠিক করায় মনোযোগী হয়েছিলাম প্রথমটায়। কিন্তু কথা বলে জানলাম। যারা তথ্য দিয়েছে তারা সঠিক তথ্য দেয়নি। রাহাত আলী শাহ্ বাবার দরবার অনেকটাই দূরে।
মনের কোণে একটু মেঘ জমলো। ইশ্ এবারও কি তার দরবারে যাওয়া হবে না? গতবারও ভেবেছিলাম যাবো। কিন্তু হয় নি। কি আর করা, আজ রাতে দয়াল বাবা গণি শাহ্ বাবার দরবারে থাকবো। সেটা আগে থেকেই ভেবে রেখেছি। সেখানে যেতেই হবে।
দয়ালের সাথে একটা প্রেম হয়ে গেছে। সেখানে গেলে মনে একটা শান্তি পাই। সেই শান্তির জন্যই তো এই যাত্রা। এই পথ চলা। অশান্ত মনকে একটু শান্ত করার চেষ্টা। নিজগুণে তো আর সে বশে আসে না। যদি সাধুগুরুদের সংস্পর্শে এসে একটু বশ আসে। এই আর কি।
শীতের দিন, দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সন্ধ্যা নেমে আসে। দয়াময়ের আশ্রম থেকে দয়ালের আশ্রমে যাওয়ার রাস্তাটা এতোটাই খারাপ অবস্থা যে, অটোতে চড়েও ঘোড়ায় উঠার অভিজ্ঞতা নেওয়া হয়ে গেলো। ঝাঁকি খেতে খেতে দেহ-মন যখন বিপর্যস্ত। তখন আমরা দয়ালের দরবারের কাছাকাছি।
দুপুরের মিষ্টিরোদে আমরা পৌঁছালাম দয়াল বাবা গণি শাহ্’র দরবারে। দয়াল আসলেই দয়াল। দরবারে প্রবেশ করলেই মনটা প্রশান্তিতে ভরে উঠে। তার উপর অটো থেকে নামতেই এক অভাবনীয় ঘটনার মুখোমুখি হতে হলো। সে কথায় পরে আসছি।
গতবার আমরা গণি শাহ্ বাবার দরবারে এসে বাবার ভক্ত শান্তা পাগলার দরবারে ছিলাম এক রাত। সে কি ভাবের মানুষজন সেখানে। সকলেই পরিচয় দেন- ‘খেজমতে শান্তা পাগলা’। মানুষকে খেজমত বা সেবা করাই তাদের ধর্ম। সেবা দেয়াই ইবাদত। সেই মানুষগুলোর সর্বাঙ্গে যে প্রেম তা ভোলার না।
অন্য এক জেলা থেকে শান্তা বাবা এসেছিল নরসিংদী জেলায়। সেখান থেকে আসেন দয়াল বাবা গণি শাহ্ বাবার দরবারে। এসেই তিনি পাগল হন দয়ালের। দয়ালের প্রেমে পাগল হয়ে তিনি হন শান্তা পাগলা। অল্প বয়সে শান্তা পাগলাও দেহ রেখেছেন।
তার মাজার হয়েছে দয়ালের দরবার চত্বরেই; নদীর কিনারায়। গড়ে উঠেছে আখড়া। সেই আখড়াতেই আমরা ছিলাম গতবার। পরিচয় হয়েছিল প্রেমের মানুষ রহমতুল্লাহ ভাইয়ের সাথে। শান্তা পাগলার ভক্ত রহমতুল্লাহ ভাই পরম যত্নে আমাদের আপ্যায়ণ করেছিল।
তাই অটো থেকে নেমে প্রথমেই শান্তা পাগলার দরবারের দিকে রওনা হলাম আমরা। উদ্দেশ্য সঙ্গে থাকা বিশাল বিশাল ব্যাগগুলো আগে রাখা। ফোনে তাদের কাউকেই ধরা যাচ্ছে না। কয়েকদিন আগেই দয়ালের দরবারে ওরশ হয়ে গেছে।
সেই তৌহিদের পাঠশালায় একবার আশুরার অনুষ্ঠানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। রাতের সেবায় দেয়া হলো খিচুড়ি। সেই খিচুড়ি মুখে দিয়ে আমি, সুমন দাস বাউল আর জয় তিনজন তিনজনের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এতো স্বাদ হতে পারে খিচুড়ি ঠিক যেন মিলাতে পারছিলাম না। আহ্ সে কি স্বাদ।
যতদূর জানতে পেরেছি অনুষ্ঠান শেষে তাদের দলের অনেকেই আজ বা কাল ফিরে গেছে নরসিংদীতে। তারপরও দরবারে কেউ না কেউ থাকতে পারে। বা পাওয়া যেতে পারে দরবারের চাবিও। এই কয়দিনের ধকলে সকলেই হয়তো ঘুমে বিভোর। তাই হয়তো ফোন ধরছে না।
এই সব ভাবতে ভাবতে হাঁটতে হাঁটতে নদীর পারে চলে গেলাম। নদীর পারে একটা ঘাট হয়েছে। পাশেই কয়েকটা নৌকা ভিড়ে আছে। ঘাটের উল্টো দিকেই শান্তা পাগলার দরবার। কিন্তু এইবার আর সেই খেদমত আমাদের জন্য বরাদ্ধ করেন নাই দয়াল। দয়াল আমাদের আরো কাছে রাখতে চান। এক্কেবারে চোক্ষের সামনে।
তাই হয়তো শান্তা পাগলার দরবারে তালা। আমরা দরবারের দিকে ফেরার পথ ধরলাম। দরবারের লোকজনও আমাদের দিকে এগিয়ে আসলো। দরবারের অফিস রুমের পাশের কামরাখানা আমাদের জন্য খুলে দেয়া হলো। এসে জানতে চাইলো সেবা নিবো কিনা।
জানালো, খিচুড়ি সিন্নি হয়েছে রমিজদের বাড়িতে। রমিজের সাথে পূর্বেই পরিচয় আছে জেনে লোকজন বলা বলি করতে লাগলো। তাইলে তো আপনারা দরবারেরই লোক। হাতে মুখে পানি দেন। সেবা নেন আগে। বলতে বলতে খুলে দেয়া হলো খাবার কক্ষ। ওয়াশ রুম।
বিশাল ডাইনিং টেবিলে বসতে না বসতে ধোঁয়া উঠা খিচুড়ি চলে আসলো। আহ্ আহ্ কি বলবো সেই খিচুড়ির স্বাদ। লিখতে গিয়ে এখনো যেন সেই স্বাদ পাচ্ছি। মুখে দেয়ার সাথে সাথে হারিয়ে যাওয়া সেই অভুলনীয় স্বাদের খিচুড়ি গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম সকলে মিলে।
আসলে গন্ধ আর স্বাদ এমনি এক জিনিস যার সংস্পর্শে আসলে সে স্মৃতিতে নিয়ে যাবেই। কি আর করা। মস্তিষ্ক তক্ষুণি খুঁজতে শুরু করে দিলো এতো মজাদার খিচুড়ি শেষ কবে খেয়েছি। প্রথম যে খিচুড়ির স্বাদের কথা মাথায় আসলো তা হলো তৌহিদের পাঠশালায় খাওয়া খিচুড়ির কথা।
ঢাকার খুব কাছেই তৌহিদের পাঠশালা। কাশেম বাবার দরবার। আমার খুবই পছন্দের দরবার। যদিও খুব বেশি যে যাওয়া হয়েছে তা নয়। কিন্তু গেলেই মনটা শান্ত হয়ে আসে। দরবারের বর্তমানের অন্যতম পুরুষ আরিফ ভাই বলেছিল, ‘তৌহিদ মানে একত্ববাদ’।
তৌহিদের পাঠশালার উদ্দেশ্যও হলো একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করে। সেই মতেই এই পাঠশালা কাজ করে যাচ্ছে।
আমাদের পারস্পরিক এই বিচ্ছিন্নতার কালে যদি একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা যায়। তাহলে কতই সুন্দর হইতো জগৎ। তাই না? মত-পথ অনেক থাকতেই পারে। থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কারো মধ্যে তা নিয়ে হিংসা-দ্বেষ-রেষারেষি থাকবে না।
সেই তৌহিদের পাঠশালায় একবার আশুরার অনুষ্ঠানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। রাতের সেবায় দেয়া হলো খিচুড়ি। সেই খিচুড়ি মুখে দিয়ে আমি, সুমন দাস বাউল আর জয় তিনজন তিনজনের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এতো স্বাদ হতে পারে খিচুড়ি ঠিক যেন মিলাতে পারছিলাম না। আহ্ সে কি স্বাদ।
যদিও বেশি সময় ঘুম হয়নি। তারপরও ঘুমটা বেশ জমাটি হয়েছে। সকলের মনই উৎফুল্ল। চোখে মুখে জল দিয়ে পায়চারি করতে করতেই দেখা গেলো ক্রাচে ভর দিয়ে এক বাউল উপস্থিত। হাসি মুখে ভক্তি দিয়ে অল্প সময়ে মিশে গেলো আমাদের মাঝে। শততালি দেয়া একটা অতিব সুন্দর একতারা তার সঙ্গী।
তারপরেই যে খিচুড়ির স্বাদের কথা মনে পরলো। সেটা হলো ঝালকুড়ির পুষ্পধামের রমিজ ভাইয়ের সাধুসঙ্গের খিচুড়ির কথা। নরম খিচুড়িতে চাক চাক করে ছোট ছোট করে দেয়া গাজর; রঙে যেমন বৈচিত্র এনেছিল। তেমনি এনেছিল স্বাদে। অতুলনীয় সেই স্বাদ। ভুলবার নয়।
এইসব ভাবতে ভাবতে খেতে খেতে আলাপ করতে করতে ঘুমে পেয়ে গেলো। ততক্ষণে দরবারের খাদেম কাকা চলে এসেছেন। কাকার সাথে আগেও আলাপ হয়েছে। রমিজ পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। বেশ ভালো মানুষ। মনের মানুষ। চোখে প্রচণ্ড ঘুম নিয়েও দরবারে গেলাম কাকার সাথে আলাপ দিতে।
অবশ্য আসবার পর ফ্রেস হয়ে আগে দয়ালের দরবারে ভক্তিপর্ব সকলেই সেরে এসেছি। কাকা মাটির মানুষ। ভালোলাগার-ভালোবাসার মানুষ। তিনি বেশ খুশি হলেন আমাদের পেয়ে। দরবারের সামনেই ফরাসে বসে পরলাম আমি। একটু পরে সুমন আর আশিকও এসে যোগ দিলো।
কাকার সাথে পেলাম দয়ালের আরেক অনুগত ভক্ত মন্টু মাস্টারকে। এতো জমজমাট আড্ডা শুরু হলো যে ঘুমিয়ে যেতে যেতেও চোখ খুলে আড্ডা চালাতে লাগলাম। দয়াল বাবাকে নিয়ে নানান চমকপ্রদ স্মৃতিচারণ করছিলেন মন্টু মাস্টার।
ইচ্ছে হচ্ছিল বাকি জীবন ধরে এমন সব কাহিনী শুনেই যাই। কিন্তু ঘুমে দুই চোখের পাতা লেগে আসছিল বারবার। শেষে আর না পেরে কামরায় এসে ঘুমে ডুবে গেলাম। আহ্ ঘুমেও কি যে আনন্দ। এমনভাবে না ঘুমালে টেরই পেতাম না। কতদিন পর দুপুরে ঘুমালাম কে জানে।
একটা একতারা খুঁজছিলাম আমরা। আসলে চাহিদা ছিল সুমনের। একতারা সাথে আনেনি সে। গান গেয়ে তার আরাম হচ্ছে না ঠিকঠাক মতো। রমিজকে পেয়ে সেই বার্তা দিলাম। ও বললো, দাদা খবর দিয়েছি চলে আসবে একতারা। বেশ ভালো একটা ঘুম দিয়ে সন্ধ্যা সন্ধ্যা নাগাদ উঠে মনটা ফুরফুরে লাগছিল।
যদিও বেশি সময় ঘুম হয়নি। তারপরও ঘুমটা বেশ জমাটি হয়েছে। সকলের মনই উৎফুল্ল। চোখে মুখে জল দিয়ে পায়চারি করতে করতেই দেখা গেলো ক্রাচে ভর দিয়ে এক বাউল উপস্থিত। হাসি মুখে ভক্তি দিয়ে অল্প সময়ে মিশে গেলো আমাদের মাঝে। শততালি দেয়া একটা অতিব সুন্দর একতারা তার সঙ্গী।
কামরাতেই বসলো গানের আসর। পাগলা একের পর এক মনোমোহনের পদ শোনাতে লাগলো। আশ্চর্য ঢঙ্গে একতারা বাজাতে বাজাতে মাতোয়ারা করলো আমাদের। ভাব দিলো সুমন দাস বাউলও। ভাব হলো আরো অনেক। গড়াতে লাগলো রাত।
ভাব ও ভাবনার মাঝে তাল মেলানো বেশ কঠিন। গান শুনতে শুনতে আমি সেই কাজটিই করে চলছিলাম। এক পাগলের দরবারে বসে আছি। যিনি জীবনের বেশিভাগ সময় গায়ে পোশাকই রাখেন নি। রাস্তার পাশে নয়তো নৌকায় করে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবন।
এক দোকানের সরে আমাদের সকলের হবে কিনা, তা নিয়ে ভাবতে গিয়ে দুই দোকান থেকেই সংগ্রহ করা হলো। পরোটা ভাজানো হলো হোটেলে। সাথে ভাজি। আমরা সাত ভাই আর পাগলা সেবা নিলাম। অবশ্য এই যে আমরা সাত ভাই বল্লাম। এখানে একটা গল্প আছে।
মানুষকে খুব কাছে আসতে দিয়েছেন; তাও না। আবার মানুষকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন; তাও না। একবার তার মায়ায় যারা পরেছে তারা আর তাকে ছেড়ে থাকতে; আগেও পারেনি। এখনো পারে না। পরবর্তীতেও পারবে বলে মনে হয় না।
সেই পাগলের প্রেমে কি আমি পরে যাচ্ছি? সেই দয়ালের প্রেমে??
পাগলা বাউল যখন তার খাতার ভেতর থেকে দয়াল বাবার একখানা ছবি বের করে এগিয়ে দিলো। ছবির মাঝে দয়ালের চোখের দিকে তাকিয়ে জীবন-জবান সব যেন থেমে গেলো। স্থবির হয়ে গেলাম।
কথা-ভাব-ভাবনা সবই হারিয়ে গেলো সেই চোখে তাকিয়ে। আসলেই এই জন্যই তার নাম দয়াল। এমন দয়ালু চোখের অধিকারীই তো দয়াল হতে পারে। জানি না কতটা সময় নিয়েছিলাম ছবিটা ফিরিয়ে দিতে। তখনই মনে মনে ভেবে নিয়েছিলাম এই একখানা ছবি সাথে করে নিয়ে যেতেই হবে।
পরদিন সুমন দাস যখন একই কথা বললো। তখন আমি কি বলেছিলাম মনে নেই। কিন্তু মনে মনে হেসেছিলাম। এই বাসনা যে গতরাত থেকে আমিও পুষে রেখেছি। যাক সে কথা।
রাতের সেবার জন্য কোনো আয়োজনই আমাদের ছিল না। এসব কাজে অবশ্য বরাবরই আশিকের উপর ভরসা রাখি। আশিক দলে থাকলে এ বিষয়ে মাথা ঘামাই না মোটেও। ও ঠিক ঠিকই সবচেয়ে ভালো আয়োজনটা করে ফেলবে, কাউকে কোনোরূপ প্যারা না দিয়ে।
এই কাজটা আশিক সবচেয়ে বেশি উৎসাহ নিয়ে করে। বলতে দ্বিধা নেই প্রতিবারই আমরা মুগ্ধ হই। তৃপ্তি নিয়ে সেবা নেই। সে রাতেও তার উপরই আমাদের ভরসা। ও ঠিক ঠিকই সুন্দর এক মেনু সাজিয়ে ফেললো। দুধের সর আর পরোটা।
এক দোকানের সরে আমাদের সকলের হবে কিনা, তা নিয়ে ভাবতে গিয়ে দুই দোকান থেকেই সংগ্রহ করা হলো। পরোটা ভাজানো হলো হোটেলে। সাথে ভাজি। আমরা সাত ভাই আর পাগলা সেবা নিলাম। অবশ্য এই যে আমরা সাত ভাই বল্লাম। এখানে একটা গল্প আছে।
(চলবে…)
<<মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি ।। দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই>>
………………………..
আরো পড়ুন-
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব নয়
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দশ
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এগারো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব বারো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব তেরো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব চোদ্দ
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব পনেরো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব ষোল
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব সতেরো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব আঠারো
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব উনিশ
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব বিশ