ভবঘুরেকথা
হাওয়া দমে

সংস্কার মানুষের অন্তরে

-লুৎফর রহমান

অভাবে মানুষের দুঃখ হয় না, রোগ-শোকের যাতনা মানুষ ভুলতে পারে, কিন্তু মানুষের নীচতা দেখে যে দুঃখ হয়, তার তুলনা নাই।

মানুষের প্রবৃত্তি যদি পশুর মতোই হবে, যদি তার হীনতায় সে লজ্জিত না হয়, তবে কেন সে পশুর আকার ধারণ করে নাই? কেন সে আপন দেহ পোশাকে ও লজ্জায় ভূষিত করে? যদি রাজ্য হারিয়ে থাক, দুঃখ করো না, যদি তোমার পরম আত্মীয়েরা ত্যাগ করে গিয়ে থাকে তবুও দুঃখ করো না,

যদি তোমার প্রবৃত্তি নীচ হয়, যদি ইতর পশুর আত্মার স্বভাবে তোমার আত্মার অবনতি ঘটে থাকে, তাহলেই লজ্জিত হও। তোমার চশমা, তোমার ঢেউ-তোলা চুল, সুবাসিত গন্ধ তেল, তোমার শার্ট, কোচান ধুতি তোমার গৌরব বর্ধন করবে না।

কোনো দুঃস্বভাবে লজ্জিত হও না?- অপরের দোষ দেখে আঘাত কর, নিজের দোষের পানে একটু তাকাও না? একটু লজ্জিত হও না? মানুষের দোষ-ক্রটি অম্লান বদনে সমালোচনা কর, নিজের দোষ-ত্রুটির বিষয় একটুও ভাবো না! পরের চোখে একটা কাল দাগ দেখে লাফিয়ে উঠেছ, নিজের চোখে সরষে ঢুকছে, তা দেখ না?

কেন আপন স্বভাবকে সমর্থন করার জন্যে মানুষের সঙ্গে তর্ক কর? অন্ধকারে নিজের মনের দিকে চেয়ে দেখ- কত কালি, কত মিথ্যা, কত প্রতারণা, কত শঠতা সেখানে রয়েছে। নিজের অপরাধের কথা ভেবে লজ্জা লাগে না? কেবলই পরের কথা ভাব? মানুষ তোমাকে চুরি করতে দেখে নি, তা বলে তুমি চোর নও?

অন্তরের পাপ মুখোনি একবার ভালো করে দেখে নাও! তুমি কি অন্যায় করে কারো মনে আঘাত দিয়েছ? তাহলে গোপনে ক্রন্দন কর। তার কাছে ক্ষমা চাইবার আগে মসজিদ ঘরে যেয়ো না। তোমার ভাই বা পিতাকে ফাঁকি দেবার জন্যে কোনো মিথ্যা কথা বলেছ কী?

তাহলে লোক চক্ষুর আগে চেয়ে আপন মনে লজ্জিত হও। কাউকে বঞ্চনা করেছ কি? তুমি কি অকৃতজ্ঞ? তুমি কি মিথ্যাবাদী? তাহলে লজ্জিত হও। মনুষ্য সমাজে বের হয়ো না।

হাইরোক্লিস বলেছেন, সংস্কার নিজের অন্তর থেকেই হবে। আপন আত্মার দিকে প্রথমেই ফিরে তাকাও। তারপর পরের কথা ভেবো। নিজেকেই প্রথমে প্রেম করো। নিজের জাহাজ ভেঙ্গেছে, সেই কথা আজ ভাব, নিজেকে বাদ দিয়ে মানুষকে সত্যপ্রিয় হতে বলো।

নিজের নিষ্ঠুর বাক্য প্রয়োগ করে, অপর মানুষকে মধুর কথা বলতে অনুরোধ করো। নিজের কথাই আগে ভাবতে হবে। নিজের কর্তব্য আগে পালন কর, তারপর অন্যকে উপদেশ দিও, অপরকে তার কর্তব্য পালন করতে অনুরোধ করো।

কেউ বিপদে পড়লে তার উদ্ধারের জন্য অগ্রসর হয় না। কোনো কোনো সময় দেখতে পাওয়া যায়, আপন জাতির কাউকে বিষণ্ণ দেখলে তাকে আরও আঘাত করে, তার লজ্জা নাই, তার কোনো সম্মান-জ্ঞান নাই। আপন আপন স্বামী এবং পরীর কাছে সে বিশ্বস্ত থাকে না। সে শোক করে না- আত্মীয় বিরহে তার কোনো বেদনা বোধ নাই। তার কোনো ধর্ম নাই, সে

যে নিজে নীচাশয়, সে অন্যকে কেন নীচ বলে গালি দেয়? যে নিজে ভুলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, সে কেন অন্যের ভুল ধরে? জীবনের কোনো কিছুতেই আনন্দবোধ করো না- যদি না নিজেকে পশুর স্তর থেকে মানুষের আসনে উন্নীত করতে পার।

তুমি কি ধনশালী হয়েছ? ব্যাংকে কি লক্ষ টাকা জমাতে পেরেছ? তাহলে এমন কি আনন্দের বিষয় আছে- সমুদ্রগর্ভে কি অপরিমিত মণিরহ থাকে না? পর্বতের অন্ধকার গুহায় কি বহুমূল্য প্রস্তর নাই?

তোমার পোশাকের গর্ব কর। ক্ষেতের পুষ্প কি তোমাদের চাইতে অধিক সুন্দর নয়। মনুষ্য তোমাদের অর্থ এবং মূল্যবান পরিচ্ছদকে নমস্কার করে না- তোমাদের দংশনকে, তোমাদের আঘাতকে তারা ভয় করে; তাই তোমাদের শক্তি, অর্থ ও গর্বের সম্মুখে মাথা নত করে।

বস্তুত অর্থের গৌরবে মনুষ্যের শ্রদ্ধালাভ করতে যেয়ো না- জমিদারির শক্তিতে মনুষ্যকে ঘৃণা করো না। এ দাবি কোনো দাবিই নয়।

তুমি কি মনুষ্যকে প্রেম কর? তুমি কি সহৃদয়? মনুষ্য তোমাকে দেখে কি আনন্দিত হয়? তুমি মানব-মঙ্গল চাও? তোমার জীবনে কি পৃথিবীর এবং মানব সমাজের কোনো কল্যাণ হচ্ছে? তুমি কি মনুষ্যকে আল্লাহর পথে আকর্ষণ করে থাক? তুমি কি মনুষ্যকে সত্যময় হতে উপদেশ দিয়ে থাকো? তাহলে মনুষ্যের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার দাবি তুমি করতে পার।

মন পরিবর্তন কর। মনের গোপন পাপ ধুয়ে ফেল। যতই কেন ধার্মিকের বেশ ধারণ কর না, অন্তরের গ্লানি ধুয়ে না ফেললে তোমাকে যথার্থ ধার্মিক বলা হবে না। মানুষ শরীরের গৌরবে বড় নয়। আত্মার গৌরবে যে বড় হতে চায় না, সে মানুষের জন্য নয়। সে পশু জাতীয়।

মানুষকে পশুর সঙ্গে তুলনা করে কেন? মানুষের প্রবৃত্তি কী, পশুর প্রবৃত্তিই বা কী? পশুরা আপন পত্নীকে খুব ভালোবাসে, কিন্তু খাবার বেলায় দেখতে পাই, সে পত্নীকে ফাঁকি দিয়ে নিজেই খায়, পশু পিতা সন্তান পালন করে না, বরং বাচ্চাগুলো নিকটে এলে পশু পিতা অতিশয় ক্রুদ্ধ হয়, নিকটে এলে তাড়িয়ে দেয়।

সে নিজের ভালো, নিজের লাভই বেশি বোঝে, সে কখনও পরের চিন্তা করে না, সে দুর্বলকে আঘাত করে এবং অপেক্ষাকৃত শক্তিশালীর কাছে সভয়ে মাথা নত করে। তার আপন-পর জ্ঞান নাই, সুযোগ পেলেই পরের জিনিস চুরি করে। নিজের কোনো অন্যায় দেখলে আপত্তি করে না।

কেউ বিপদে পড়লে তার উদ্ধারের জন্য অগ্রসর হয় না। কোনো কোনো সময় দেখতে পাওয়া যায়, আপন জাতির কাউকে বিষণ্ণ দেখলে তাকে আরও আঘাত করে, তার লজ্জা নাই, তার কোনো সম্মান-জ্ঞান নাই। আপন আপন স্বামী এবং পরীর কাছে সে বিশ্বস্ত থাকে না। সে শোক করে না- আত্মীয় বিরহে তার কোনো বেদনা বোধ নাই। তার কোনো ধর্ম নাই, সে

অতিশয় ভীরু। যেখানে স্বার্থ দেখে সেখানেই উপস্থিত হয়। . মানুষের স্বভাব এর সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে মানুষকে পশুর মতো দেখি সেখানে আমরা তাকে পশু বলে ঘৃণা করি। সেখানে মানুষ পশু অপেক্ষা নিকৃষ্ট স্বভাবের পরিচয় দেয়, সেখানে তাকে ঘৃণায় পশ্বাধম বলে গালি দেই।

নিজের রক্ত দিয়ে ধুলার সঙ্গে মিশে যে জাতির ভবিষ্যৎ কল্যাণের পথ প্রস্তুত করেছে, কেউ তাদের সংবাদ রাখে নি। এই-ই মনুষ্য দেবতার স্বভাব। নিজের দেশের মানুষ দেখলে মানুষের প্রাণ আনন্দে নৃত্য করে উঠে, প্রেমে তার কণ্ঠবেষ্টন করে সে যে কত বড় তারই পরিচয় দিয়েছে।

মানুষে আর পশুতে পার্থক্য আকাশ-পাতাল, মানুষ স্বর্গের দেবতা, তারার মতো সুন্দর,- পশু মর্তের নিকৃষ্ট জীব, রাত্রির মতো মসিমলিন।

মানুষ ভালোবেসে, যা-কিছু আছে সবই দান করে। প্রেমিক বা প্রেমিকাকে সে সব দিয়ে দেয়, রিক্ত হস্তে দাঁড়িয়ে ধন্য হয়। সে যাকে ভালোবাসে, তাকে সর্বপ্রকার সুখী করতে চায়, নিজে না খেয়ে তাকে খাওয়াতে চায়। মানুষের প্রেমের এটাই স্বভাব। ইহাতেই তার আনন্দ।

মানুষ সন্তানকে হৃদয়ের টুকরা মনে করে, স্ত্রী-পুত্রের জন্যে সে বিপদের মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপদকে সে বিপদ মনে করে না, পরের জন্য দুঃখভোগ করতেই তার আনন্দ। এক একটা পশ্চিমা দারোয়ান বিদেশে ৭/৮ টাকা বেতনে, ছাতু খেয়ে মাটির উপর শুয়ে বৎসরের পর বৎসর কাটিয়ে দেয়; মাসটি গেলে কত আনন্দে সে পত্নীর কাছে টাকা পাঠায়। কীসের জন্যে। সে এত কষ্ট সয়?- না, তার স্ত্রী-পুত্র খাবে।

পশ্চিমা ছেলেগুলি মাস অন্তে কত আনন্দে মায়ের কাছে দুই তিনটি টাকা পাঠায়। মানুষ নিজে খেয়েই শুধু সুখী হয় না, আত্ম-সুখের জন্যে সে শুধু দুঃখের সাগর পাড়ি দেয় না। হাজী মোহাম্মদ মহসিন, ডাক্তার পালিত ঘোষ, করটিয়ার – চাঁদমিয়া সর্বস্ব দান করে রিক্ত হস্তে আত্মপ্রসাদ লাভ করেছেন। এই-ই মনুষ্য দেবতার স্বভাব।

পশুর মত চীৎকার করে, সকলকে দংশন করে, নিজের উদর ভর্তি করাকে সে ঘৃণা করে। মানুষ মানুষের দুঃখ-ব্যথার কথা চিন্তা করে, লোকচক্ষুর অগোচরে নানা বেদনায় ফুলে ফুলে কাঁদে। কী প্রেম তার চিত্তে! মানুষ দুর্বলের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়, পশুর মতো পীড়িতকে দুঃখে ফেলে সে ত্যাগ করে না।

লাঞ্ছিত-অত্যাচারিতকে সে সকলের নিষ্ঠুর আঘাত থেকে রক্ষা করে। সে নিঃসহায়া নারীকে নিজের প্রাণ বিপন্ন করে রক্ষা করে, কারণ সে যে মনুষ্য দেবতা। প্রেম দিয়ে তার চিত্ত গড়া। প্রেম করা, আঁখি জলে কাদা, মানুষের দুঃখে বিগলিত হওয়াই তার স্বভাব।

মানুষ যখন পশুর মতো হীন হয়ে আপন সত্য স্বভাবের পরিচয় দেয় না, তখন মানুষের আকৃতি ধারণ করলেও সে সত্যিকার মানুষ থাকে না- সে পশুর স্তরে নেমে যায়। মর্যাদা রক্ষার জন্য মনুষ্য প্রাণ দেয়, তবুও অন্যায় ও মিথ্যার কাছে সে মাথা নত করে না।

কারবালা প্রান্তরে পিপাসিত, ক্ষুধার্ত মানব দেবতা চরম দুঃখে নিজের মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তবুও দুর্মতির কাছে মাথা নত করেন নাই, তার অনুগ্রহ স্বীকার করেন নাই। ইহাই মানুষের মহত্ত্ব।

অন্ধকারে কেহ যেখানে তাকে দেখে নাই, সেইখানে সে নিজের পাপ নিজে দেখেছে এবং শঙ্কিত হয়ে নিজেকে শাসন করেছে- নিজ পাপে সে নিজেই লজ্জিত হয়েছে। মনুষ্য নিজের জাতির জন্য বর্তমান ও অতীতে কত দুঃখই না সয়েছে, ইতিহাস তার প্রমাণ।

নিজের রক্ত দিয়ে ধুলার সঙ্গে মিশে যে জাতির ভবিষ্যৎ কল্যাণের পথ প্রস্তুত করেছে, কেউ তাদের সংবাদ রাখে নি। এই-ই মনুষ্য দেবতার স্বভাব। নিজের দেশের মানুষ দেখলে মানুষের প্রাণ আনন্দে নৃত্য করে উঠে, প্রেমে তার কণ্ঠবেষ্টন করে সে যে কত বড় তারই পরিচয় দিয়েছে।

মানুষে যখন মানুষের উপর অত্যাচার করে, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, মানুষকে চূর্ণ করে আনন্দলাভ করে, মানুষকে ব্যথা দেয়, মানুষ যখন অপ্রেমিক, নিষ্ঠুর, কাপুরুষ, মিথ্যাবাদী, নীচ, আত্মমর্যাদাজ্ঞানহীন, নিন্দুক এবং বিশ্বাসঘাতক হয়, যখন সে মোনাফেক শয়তান এবং ক্রুর হয়, সে যতই উচ্চাসন লাভ করুক, সে পশু। সে আর তখন মানুষ থাকে না।

মানুষের জন্যে রাজ-সিংহাসন ত্যাগ করে পথের ভিখারি হয়েছে, ঐশ্বর্য বিলাস অস্বীকার করে সে পথের ফকির হয়েছে।

বেহেস্তের কন্যা নারী আপন সতীত্ব রক্ষার জন্যে দস্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে, সে জীবন দিয়েছে, তবু স্বামী ত্যাগ করে পরের অঙ্গশায়িনী হয় নি। যেখানে নারী ব্যভিচারিণী, সেখানে নারী আর নারী নয়- সে পশু।

মানুষের জন্যে মানুষ কী কঠিন শোকই না করেছে। মানুষের জন্যে মানুষের কী অপরিসীম বেদনা! কী অতুলনীয় প্রেমের অনুভূতি তার। সে আপন সন্তানের জন্য, আপন প্রণয়ী ও প্রণয়িনীর জন্য পথে কেঁদে মরেছে। পৃথিবীর কোনো আকর্ষণ তাকে আনন্দ দেয় নাই। চিরজীবন সে হাসে নাই। পথে পথে বনে বনে ঘুরে, পাহাড় ভেঙ্গে, ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে তার মহাপ্রেমের পরিচয় দিয়েছে। সে ধন্য।

মানুষ দেবতা বলেই সে মানুষের জন্য শোক করে। আত্মা তার স্নেহ-মমতার আধার বলেই বিরহ-বেদনায় কাতর হয়; সমস্ত প্রকৃতির মাঝে আপন চিত্তের শোকধ্বনি শুনতে পায়। পশুর কোনো শোক নাই, তার বিরহ-বেদনা নাই।

মানুষের কী অপরিসীম সাহস! কী তার হৃদয়ের বল! জগতের কোনো ব্যথা, কোনো ভয় তার গতিকে রোধ করতে পারে নি। বজ্র অপেক্ষা সে ভীষণ, বিদ্যুৎ অপেক্ষা সে দীপ্তিশালী। সে মৃত্যুর সঙ্গে খেলা করেছে, কামানের সম্মুখে নির্ভয়ে দাঁড়িয়েছে। পাহাড় ভেঙ্গে ছিন্ন বিচ্ছিন্নরেছে, সমুদ্রকে সে অঞ্জলি আবদ্ধ জলবিন্দু মনে করেছে।

যে মানুষ এত বড়, তার কি কাপুরুষতা, ভীরুতা সাজে! প্রাণভয়ে মৃত্যুর আগেই মরা কি তার শোভা পায়?

মনুষ্য কি নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সংবাদ নিয়েছে? নিঃস্ব পীড়িত আর্ত তার করুণ নয়নের দৃষ্টিলাভ করেছে? সে পশুর মতো পাশ কাটিয়ে স্বার্থ ও লাভের গন্ধে ছুটে নাই। বিশ্বের যেখানে ব্যথা, যেখানে হাহাকার, সেখানে সে তার সর্বস্ব নিয়ে আকুল হয়ে ছুটেছে। এই-ই মানুষের স্বভাব।

সে দুঃখী সংসারের সম্মুখে আপন মুখে অন্ন তুলে দিতে পারে নাই, প্রাণ তার প্রেমের বেদনায় কেঁদে উঠেছে। ধন্য মানুষ! তোমায় নমস্কার করি। মনুষ্য যেখানে প্রেমের নামে জাতি-বিচার করে, দুঃখীকে অবিশ্বাসী কুকুর বলে গালি দেয়, তখন তা মানুষের কথার মতো শোনা যায় না।

মানুষে যখন মানুষের উপর অত্যাচার করে, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, মানুষকে চূর্ণ করে আনন্দলাভ করে, মানুষকে ব্যথা দেয়, মানুষ যখন অপ্রেমিক, নিষ্ঠুর, কাপুরুষ, মিথ্যাবাদী, নীচ, আত্মমর্যাদাজ্ঞানহীন, নিন্দুক এবং বিশ্বাসঘাতক হয়, যখন সে মোনাফেক শয়তান এবং ক্রুর হয়, সে যতই উচ্চাসন লাভ করুক, সে পশু। সে আর তখন মানুষ থাকে না।

মানুষ কি নিজের গৌরব ও মর্যাদা রক্ষা করতে চেষ্টা করবে না? আত্মার গৌরবে কি সে তার জন্ম সার্থক করবে না?

(চলবে…)

<<দৈনন্দিন জীবন ।। জীবনের মহত্ত্ব>>

………………..
মহৎ জীবন -লুৎফর রহমান।

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………………….
আরও পড়ুন-
মানব-চিত্তের তৃপ্তি
আল্লাহ্
শয়তান
দৈনন্দিন জীবন
সংস্কার মানুষের অন্তরে
জীবনের মহত্ত্ব
স্বভাব-গঠন
জীবন সাধনা
বিবেকের বাণী
মিথ্যাচার
পরিবার
প্রেম
সেবা
এবাদত

………………….
আরও পড়ুন-
মহৎ জীবন : পর্ব এক
মহৎ জীবন : পর্ব দুই
মহৎ জীবন : পর্ব তিন
কাজ : পর্ব এক
কাজ : পর্ব দুই
কাজ : পর্ব তিন
কাজ : পর্ব চার
ভদ্রতা : এক
ভদ্রতা : দুই

……………………
আরও পড়ুন-
মহামানুষ … মহামানুষ কোথায়
মহিমান্বিত জীবন
মহামানুষ
যুদ্ধ
স্বাধীন গ্রাম্যজীবন
আত্মীয়-বান্ধব
সত্য প্রচার
নিষ্পাপ জীবন
উপাসনা
নমস্কার
তপস্যা
তীর্থ-মঙ্গল
আত্মার স্বাধীনতার মূল্যবোধ
মনুষ্য পূজা
মন্দতাকে ঘৃণা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!