স্বামী স্বরূপানন্দের বাণী
সৎকার্য্যে যাহারা বদ্ধপরিকর হইয়াছে, তাহাদের হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলাও।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সন্ধান-৪৫৪)
নিখিল বিশ্বের কুশল হোক, সাম্প্রদায়িকতার অবসান হোক, জাতি-বৈর নির্মূল হোক, সকল পর আপন হোক।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ
আমি জানিতে চাই না,তুমি কতখানি হিন্দু, তুমি কতখানি খ্রিস্টান, তুমি কতখানি মুসুলমান, আমি জানিতে চাহি, তুমি কতখানি মানুষ।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ
জীবিকা অর্জনের প্রন্থা হইতে পাপকে দূর করিয়া দাও, তোমার বংশে মহাপুরুষের জন্ম বিনা সাধনায় সম্ভব হইবে।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ
মানুষের দেবত্বকে আমি বিশ্বাস করি, এজন্য আমি তেত্রিশ কোটি দেবতার কল্পিত মূর্তির পুজা পরিত্যাগ করিয়াছি।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ
ঈশ্বরে যাহার বিশ্বাস আছে, আত্মশক্তিতে তাহার অবিশ্বাস থাকিবার কোনও কারণ নাই। প্রেম যত প্রগাঢ় হইবে, শক্তি তত বর্দ্ধিত হইবে। হিংসার ভিতরে শক্তি নাই, আছে ধ্বংসের বীজ।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ
একটা সঙ্ঘ কখনও সামান্য ত্যাগে বড় হয় না। একজনের ত্যাগেও নহে। শতজনের শতবিধ ত্যাগ একত্র মিলিত হইয়া ধারাবাহিক ভাবে চলিতে থাকিলে তবে একটা সঙ্ঘ সত্য সত্য গড়িয়া উঠে ও বাড়িতে থাকে।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ
উপলব্দি নিজের কাছে, শিক্ষা পরের কাছে। শিক্ষার স্থান শত শত, উপলব্দির স্থান একটি।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ
ভাল করিয়া কাজে লাগ। যতটুকু করিয়াছ, তাহার প্রশংসা করিব কিন্তু তাহাই যথেষ্ট নহে। আরও করিতে হইবে। এমন অনেক পুরাতন কথা আমি কহিয়াছি, যাহা এখনও কৌটি কৌটি মানবের কাছে নূতন। তাহাদের নিকটে এই শাশ্বত সত্যগুলি পরিবেশন করিতে কেন তোমরা উঠিয়া পড়িয়া লাগিবে না?
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ
মতিভ্রান্তেরা তোমার কথায় কান পাতিবে না বলিয়া তুমি কল্যাণ-বাণী প্রচারে বিরত রহিবে? এমন মূর্খ তুমি কখনই হইতে পার না।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সন্ধান-৩৩১)
তোমার বিরুদ্ধে অপবাদ উঠিয়াছে। তোমারই কোনও কার্য্যের ক্রটিতে এই অপবাদ রটিয়া থাকিবে। সকল সময়েই অপবাদ কেবল মানুষের কুচক্রে সৃষ্টি হয় না। তোমার কোথায় দোষ আছে, তাহা খোঁজ কর এবং সেই দোষ সংশোধন কর। তোমাদের বিরুদ্ধে অপবাদের ইহা শুভফল হউক।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সঞ্চয়-১৪৭)
আর্থিক অস্বাচ্ছল্য, পারিবারিক অশান্তি এবং সাংসারিক অনিশ্চয়তা যে অনেক সময়ে ইন্দ্রিয়নিচয়কে সংযম-পথ হইতে বিভ্রষ্ট করিয়া হিতাহিত-বিবেচনাশূন্য অহিতকর পথে পরিচালিত হইতে বাধ্য করে, ইহা সত্য। কিন্তু সহস্র প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়াও মনের নিষ্ঠা ও চিত্তের সাম্য অবিচলিত রাখিবার যোগ্যতার মধ্যেই ত’ মনূষ্যত্বের পরিচয়। তুমি তোমার সেই সত্য ও শাশ্বত পরিচয়টী সকলের চোখের সম্মুখে তুলিয়া ধরিবার যোগ্য হও।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সঞ্চয়-১৫৩)
বারংবার যখন একই ধরনের বিপদ আসিতেছে, তখন নিশ্চয়ই ইহা ষড়যন্ত্রের ফল। তোমরা আত্মরক্ষার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ হইতেছ না কেন? আত্মরক্ষায় যাহাদের ঐক্য নাই, তাহাদের কুশল কোথা।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সন্ধান-৪৩০)
বিশ্বাস রাখিও যে, চিরকাল একভাবে যায় না। আবহাওয়ার পরিবর্ত্তন হইবেই। সকলের প্রতি আশার দৃষ্টি রাখ। কাহারও সম্পর্কে হতাশ হইও না।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সন্ধান-৪১৬)
তোমার যোগ্যতানুযায়ী পুরস্কার হয়ত তুমি না পাইতে পার কিন্তু তাই বলিয়া তোমার সৎকর্ম্ম মিথ্যা হইয়া গিয়াছে, এমন ভ্রান্ত ধারণা কেন রাখিবে? অনেকে অযোগ্য হয়েও পুরস্কার পায় কিন্তু সেই পুরস্কারের কোন মূল্-আছে?
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সন্ধান-৪৫৫)
অন্যায়ের কাছে নতও হইও না, অন্যায়কারীদের প্রতি বিদ্বেষও পোষণ করিও না। ধীর ভাবে কাল-প্রতীক্ষা কর। স্থির চিত্তে ভগবানের নাম কর। প্রসন্ন নয়নে সকলের প্রতি নেত্রপাত কর।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সন্ধান-৪০০)
চিন্তা একাগ্র হইলে তাহা তোমার অজানিতে সহস্র জনের চিত্তকে আলোড়িত করিবে। অতএব তুমি একা আছ বলিয়া মনে কোনও দুর্ব্বলতাকে স্থান দিও না। জগতের অধিকাংশ সুমহৎ কার্য্য একটি কি দুটি লোকের তীব্র চিন্তা হইতে জন্ম নিয়াছে। ইহা ইতিহাস, কবি কল্পনা নহে।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সন্ধান)
কি আশ্চর্য্য! ইঁদুর, কুকুর, কাকাতুয়াকে ভালবাস, তাহাদের আহারীয় দাও, যত্ন কর, এমন কি দিনে দশবার করিয়া চুমা খাও, অথচ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষকে ভালবাস না। ভালবাসার এমন সঙ্কীর্ণ পরিধি লইয়া কি গর্ব্ব করিতে চাহ যে, তুমি সত্যিই মানুষ?
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সাথী ক্রমিক নং-৪২)
পরাজিত হইয়াছ বলিয়া মনে করিও না যে, জয়ী হইবার জন্য পুনরায় চেষ্টা তোমাকে করিতে হইবে না। জয়ী হইয়াছ বলিয়া মনে করিও না যে, এইখানেই তোমার গতি থামিয়া যাইবে।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সাথী ক্রমিক নং-১৬)
শরীরটা থাকুক তোমার এই পৃথিবীতেই কিন্তু মনটাকে উৎক্ষিপ্ত কর অনন্ত উর্দ্ধে। উর্দ্ধতার এমন স্তরে সে বিচরণ করূক, যেখানে সংসারের বিচিত্র হিংসার বিভৎস কোলাহল গিয়া পৌঁছে না, যেই মেঘলোকে পচা নর্দ্দমার গলিত শবের পূতিগন্ধ নাড়ীভুঁড়ি লইয়া কলহপরায়ণ শৃগাল-কুক্কুরের উচ্চ-ৎকার প্রবেশ করিতে পারে না।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সাথী পৃষ্ঠা ৫৩)
অসৎ লোকের সঙ্গ করিয়াও তুমি সৎ থাকিবে, ইহা উচ্চশা হইতে পারে কিন্তু দুরাশা।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সাথী পৃষ্ঠা ৮০)
নিজেরা কর্ত্তা সাজিতে গেলেই অশান্তি। সেবক সাজিয়া কাজ করিলে কাজও ভাল হয়, চিত্তেও আত্মপ্রসাদ আসে। আত্মপ্রসাদের দাম কোটি কোটি মুদ্রার অপেক্ষা বেশি। তোমরা প্রকৃত সম্পদ আহরনের জন্য চেষ্টিত হইও, বৃথা কর্ত্তাগিরি করিতে গিয়া পদে পদে হতবুদ্ধি হইও না।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সাথী পৃষ্ঠা ১৫০)
সৎকাজের সময় কখনই পার হয় না। তবে, যে যত দ্রুত তাহাতে হাত লাগায়, সে তত লাভবান হয়। -শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সাথী পৃষ্ঠা ১৬১)অপরেরা কাজ করিবে আর তোমরা হুকুম দিবে, সংঘই বল আর সংগঠনই বল, কোনও কিছুতেই এই মনোভাব কাজের নহে। তুমিও কাজ করিবে, প্রয়োজনমত প্রতিজন প্রতিজনকেই বুদ্ধি, পরামর্শ, উৎসাহ, উদ্দীপনা যোগাইতে হইবে, এই হইবে তোমাদের প্রতিজনের শুদ্ধ মনোভঙ্গী।
-শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ (পথের সাথী পৃষ্ঠা ১৬৬)
স্বামী স্বরূপানন্দ : গুরু-শিষ্য>>
………………
আরও পড়ুন-
স্বামী স্বরূপানন্দের বাণী
স্বামী স্বরূপানন্দ : গুরু-শিষ্য
স্বামী স্বরূপানন্দ : সরল ব্রহ্মচর্য্য
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ : চিঠিপত্র
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ : উপাসনা
স্বামী স্বরূপানন্দ : কবিতা/গান
স্বামী স্বরূপানন্দ : উপদেশ
স্বামী স্বরূপানন্দ : উপদেশ দুই
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : এক
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : দুই
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : তিন
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : চার
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : পাঁচ
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : ছয়
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : সাত
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : আট
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : নয়
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : দশ
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : এগারো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : বারো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : তেরো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : চোদ্দ
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : পনেরো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : ষোল
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : সতেরো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : আঠারো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : উনিশ
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………….
আরও পড়ুন-
মহানবীর বাণী: এক
মহানবীর বাণী: দুই
মহানবীর বাণী: তিন
মহানবীর বাণী: চার
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: এক
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: এক
গৌতম বুদ্ধের বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: তিন
গৌতম বুদ্ধের বাণী: চার
গুরু নানকের বাণী: এক
গুরু নানকের বাণী: দুই
চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী
কনফুসিয়াসের বাণী: এক
কনফুসিয়াসের বাণী: দুই
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: এক
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: দুই
শ্রী শ্রী কৈবল্যধাম সম্পর্কে
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ১ম খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ২য় খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ৩য় খন্ড
স্বামী পরমানন্দের বাণী: এক
স্বামী পরমানন্দের বাণী: দুই
স্বামী পরমানন্দের বাণী: তিন
স্বামী পরমানন্দের বাণী: চার
স্বামী পরমানন্দের বাণী: পাঁচ
স্বামী পরমানন্দের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: এক
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: দুই
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: তিন
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: চার
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: পাঁচ
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: সাত
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: আট
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: নয়