ভবঘুরেকথা
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে

-মূর্শেদূল মেরাজ

লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই

ভাত পাওয়া গেলো। সাথে রুই মাছ। সবজি। আমরা দুজনেই খুশি। কিন্তু দোকানের খাবারের অনেক দাম। আশিক অবশ্য ছাড়বার পাত্র না। সে যা যা খাবার অবশিষ্ট আছে সকল খাবার গড়ে কিনে ফললো শ ছয়েক টাকায়। তারপর বাকিদের আসবার পালা।

সকলে আসতে আসতে ভাত গরম-তরকারি গরম হয়ে গেলো। গরম গরম ভাতের গন্ধের চেয়ে ভালো কিছু হয় না ক্ষুদার্থের কাছে; তা কে না জানে। অবশ্য সকল মানুষ তো আর ভাত খায় না। আমরা ভেতো বাঙালী। যাই খাই না কেন, ভাত না খেলে মনটা ঠিক ভরে না।

সেবা শেষে সুমন দাস বাউল চললো বাহারি জর্দা সহযোগে পান খেতে। আমরা চললাম হালকা খাবার-দাবার কিনতে। যদি রাতে খিদে পায়। ভ্রমণে সাথে কিছু শুকনো খাবার থাকা ভালো। কখন কোন কাজে লেগে যায় বলা তো যায় না। সাথে খাবার থাকলে সুবিধেই হয়।

আশ্রমে ফিরে অনেকটা সময় নিয়ে আমরা ঘুরে ঘুরে বন্ধ-নিস্তব্ধ আশ্রমের বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা দিয়ে শেষে ঘরে ফিরলাম। ঘরের একমাত্র টয়লেটের দরজার ছিটকিনি তো নেই নেইই। তারপর বিভিন্ন জায়গায় মাথা গলিয়ে দেয়া যায় এমন এমন ছিদ্রও আছে।

তাই খুব সাবধানে সেই সব ফাঁকা বন্ধ করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সেই এক বিদিক অবস্থা। তবে বরাবরের মতো ঘরখানা নিজেদের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছি। আশ্রমের কম্বল বালিশের উপর আমাদের সাথে আনা নিজেদের কম্বর বিছিয়ে নিজেদের মতো করে নেয়া হয়েছে।

সারাদিনে অনেকটা সময় আজ ভাঙ্গাচুড়া রাস্তায় অটোতে চেপে শরীরের হাড় নড়ে যাওয়ার কথা। তবে আমাদের অবস্থা অতটাও খারাপ না। যদিও কারো কারো ঘুমের ডাক চলে এসেছে। সুমন দাস ভাব দেয়া শুরু করলো। প্রথম দৈন্য পদের পর একটানা খমক বাজিয়েই চলছে। ব্যাপক ভাব চলে এসেছে।

বাতি বন্ধ করে আগরবাতি-মোমবাতি জ্বেলে একটু পরিবেশ করে নেয়া হয়েছে। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে চুরমার করে খমকের সুর ছড়িয়ে পরছে। আমরা ধ্যানস্থ হয়ে সেই ঐশ্বরিক শব্দের অন্তে প্রবেশের চেষ্টায় যখন সন্ধিক্ষণে। তখন দরজায় কড়া নাড়ার তুমুল শব্দ।

যদিও পরদিন কথায় কথায় এই কথাটা উঠায় সুমন দাস বাউল, তর্ক করে বলেছিল। যা অনেকটা এইরকম- না আমরা কোনো কিছুই করে নাই। আমাদের দোষ কি? আমাদের তরফ থেকে কোন অপরাধ হয়নি দরবারে।

আমিই দরজার সবচেয়ে সামনে। উঠে দরজা খুললাম। খুলেই দেখি গার্ড দাঁড়িয়ে আছে- তিনি গরম গলায় বললেন। গান করা যাবে না। শব্দ করা যাবে না। চুপ করে ঘুমিয়ে থাকতে হবে। গানের শব্দে নাকি পুলিশরা বিরক্ত হচ্ছেন।

গান করা যাবে না। বাবার দরবারে গান করা যাবে না??? আমরা বিস্মিত! এ কি করে হয়? কিন্তু গার্ডের সাথে তর্ক করতে ইচ্ছে করলো না। আসলে আশ্রমে কি আর তর্ক চলে? এখানে তো মেনে নেয়া আর মনে নেয়ায় নিজেকে অভ্যস্থ করার শিক্ষা নেয়ার পাঠশালা।

দরজা বন্ধ করে দিয়ে ফিরে আসলাম। খমক থেমে গেছে। সকলে পাথড়ের মতো বসে আছে। কারো মুখে কোনো কথা নেই। কেবল আশিকের নাক ডাকার ক্ষীণ একটা শব্দ আসছে। পুরো ব্যাপারটার মাঝেই সে উপস্থিত ছিল না।

আউলিয়া গান ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেও মুখে তালা মেরে বসে আছে। অনেকটা সময় নিরবে থেকে অনেকটাই নিচু স্বরে সুমন ধরলো, “চরণ ছাড়া করো না হে দয়াল হরি।”

সকলের মনই ভিজে গেছে। আমার মনে কেবল একটাই প্রশ্ন বড় হয়ে ধরা দিচ্ছে, আমরা কি বাবার দরবারে এসে বাবার সাথে কোনো বেয়াদবি করে ফেললাম? কিন্তু কি করলাম তার কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে বারবার মনে হচ্ছিল।

আশ্রমে আসার পর বাবাকে পূর্ণ ভক্তি দেয়ার সুযোগ হয়নি তাই কি এমনটা হলো?? যদিও মূল মন্দিরে কাজ চলছে। মন্দিরও বন্ধ। কিন্তু একটু বাতি-সুগন্ধি একটু ভক্তি এইটুকু তো দেয়াই যেত। কেনো দিলাম না? মনেও হয়েছিল কিন্তু কেন যে হয়ে উঠেনি। তা নিজেও বুঝে উঠতে পারছি না।

যদিও পরদিন কথায় কথায় এই কথাটা উঠায় সুমন দাস বাউল, তর্ক করে বলেছিল। যা অনেকটা এইরকম- না আমরা কোনো কিছুই করে নাই। আমাদের দোষ কি? আমাদের তরফ থেকে কোন অপরাধ হয়নি দরবারে।

সেও হয়তো অনেকগুলো গল্পের চরিত্র ছিল। অনেক ভাবনার মধ্যে ছিল। সে নেমে যাওয়ার পর গল্পটা পরিবর্তন হয়ে গেলো? নাকি আমার প্রতি দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে সেই অসমাপ্ত গল্পটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার? কে জানে এসব চিন্তার শেষ কোথায়।

যদিও আমি একমত হতে পারিনি। তবে তার সাথেও তর্কে যাইনি। এইভাবে জোর দিয়ে বলার বিষয়টা আমার কাছে ভালো লাগেনি মোটেও। কেনো যেন আমার মনে হচ্ছিল সুমন তার মনের বিপরীতে গিয়েই তর্ক করছে। প্রসঙ্গটা উঠেছে বলে।

পরে এক ফাঁকে, ছোটভাই ফয়েজ চুপিচুপি বলেছিল। ভাই আমরা যে এসে ভক্তি দেই নাই তার জন্যই কি এমনটা হয়েছিল? আমি কিছু বলেছিলাম কি না এর উত্তরে তা মনে নেই। তবে সাধুগুরুদের ঘিরে যে একটা লীলাখেলা হয়। তা সাধারণ ভাবনার স্তরে থেকে খুব একটা টের পাওয়া যায় না।

ভক্তকুল বলে, প্রেমিক হলে তবেই প্রেমের ধারা চেনে। অভক্তের চোখে প্রেম অলীক বিষয়। তা কেবল নারী-পুরুষের যৌনতায় সীমাবদ্ধ। আবার অনেকে সকল প্রেমকেই আবেগ বলে চালিয়ে দিতে চায়। কি জানি এসব আমি বুঝিও না। ধরতেও পারি না। কেবল মিলিয়ে দেখবার চেষ্টা করি মাত্র।

পরদিন ঘুম থেকে উঠেও যখন শেষ পর্যন্ত বাবার আশ্রমের সেবা আমাদের ভাগ্যে আর জুটলোই না। তখন এটা না ভেবে উপায় থাকলো না। অপরাধ একটা হয়েছে।

অনেকটা সময় জুড়ে আমরা আশ্রম ঘুরে দেখতে লাগলাম আলাদা আলাদা দলে। দিনের আলোতে অনেক মানুষ এসেছে। আবাসিক ভবনগুলোতেও বেশ কিছু নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে। দূরদূরান্তের মানুষজনই সাধারণত রুম নেয়। আমরা ছেড়ে দেব। অন্যরা আসবে। এটাই খেলা।

বাসে উঠলে বা বাস থেকে নেমে গেলে এই বিষয়টা আমার মাঝে খুব ক্রিয়া করে। বিশেষ করে লোকাল বাসে। এই মাত্রই যে সীটে উঠে বসলাম। একটু আগেই হয়তো অন্য কেউ বসেছিল এইখানে। তাকে ঘিরেও হয়তো অনেক গল্প তৈরি হয়েছিল।

সেও হয়তো অনেকগুলো গল্পের চরিত্র ছিল। অনেক ভাবনার মধ্যে ছিল। সে নেমে যাওয়ার পর গল্পটা পরিবর্তন হয়ে গেলো? নাকি আমার প্রতি দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে সেই অসমাপ্ত গল্পটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার? কে জানে এসব চিন্তার শেষ কোথায়।

যাই হোক এই যাত্রাতেও যে তা হয় নি তা নয়। সেটাতে আমরা দিন দিন অভ্যস্থ হয়ে পরলেও; বেশিভাগ সময়ই সেই অভ্যস্থতা ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। এই যেমন আমরা ব্যাগের বোঝা নিয়ে যখন গেটের কাছে চলে গেছি তখনো সুমন ধীরে সুস্থে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

চিন্তার শেষ কখনো হয় না আসলে। আমরা একসময় নিজেই থামিয়ে দেই। আমিও অপরাধ বোধটাকে একটু থামিয়ে দিয়ে সকলের সাথে ঘুরতে বের হলাম। আশ্রমের ভেতরের দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছে। অনেকেই এটা সেটা কিনলো। আমিও সুযোগ পেয়ে গোটা কয়েক বই কিনে ফেললাম।

একটা শঙ্খ কিনবার বড্ড শখ হয়েছিল খুব, কিন্তু টাকার হিসেবে কুলালো না। হিসেব কষে তাই ইচ্ছাটা ভবিষ্যতের জন্য তুলি রাখাই সার হলো। আমি আর আশিক যখন ঘুরে ঘুরে ভাবছিলাম সেবা নিবো কি নিবো না। তখন আমি বললাম, এক কাজ করবেন ভাই?

চলেন আমরা মহারাজের আশ্রমে যাই। সেখানে দুপুরের সেবা নিয়ে তারপর উত্তরার পথ ধরি। আশিক বললো, আমিও এমনটাই ভাবছিলাম। চলেন তাই করি। তাহলে তাড়াতাড়ি বের হতে হবে। চলেন তাড়া দেই সবাইকে। নইলে আপনার ভাই উঠতে পারবে না।

আমার ভাই, মানে সুমন দাস বাউল। ভাই পরিষদ আর এতিম ভাই এই দুই দল আছে আমাদের মধ্যে; সেই গল্প পরে বলা যাবে। তবে সুমন দাস বাউলের নড়তে চড়তে যে অনেক সময় লাগে তা সকলেরই জানা। ঠিক কোনো কাজের চূড়ান্ত সময় সুমন অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পরবে।

সকলে অপেক্ষা করতে থাকলেও সে তার চিরাচলিত নিয়মানুযায়ী ধীরে-সুস্থে সেই কাজ করতে থাকবে। কোথাও যাওয়ার সময় আর খাবার সময় সে সবচেয়ে বেশি অলস হয়ে পরে। তাকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে তাই আমাদের সকলকে অনেক হিসেব-নিকেশ করতে হয়।

যাই হোক এই যাত্রাতেও যে তা হয় নি তা নয়। সেটাতে আমরা দিন দিন অভ্যস্থ হয়ে পরলেও; বেশিভাগ সময়ই সেই অভ্যস্থতা ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। এই যেমন আমরা ব্যাগের বোঝা নিয়ে যখন গেটের কাছে চলে গেছি তখনো সুমন ধীরে সুস্থে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এক যুগের সাধনা শেষে মুখ খুলে ভ্ক্তদের বলেন, তোমরা এখানে সেবামূলক কাজ করো। কি সেবামূলক কাজ করা যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন- এখানে আগত ভক্তবৃন্দকে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াও। স্থানীয় ভক্তবৃন্দরা নিজেদের ক্ষেতের খেসারির ডাল-সিদ্ধ চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলো।

যতই তাড়া দেয়া হোক সে তার মতো ঘুরছেই। কি সব যেন করছে। দূর থেকে আমরা তা দেখছি। ব্যাগের ভারে নুয়ে পরা আমাদের বিরক্তির মাত্রা যখন বাড়ছে তখন তাড়ার সুরে তেজ চলে আসছে। কিন্তু সুমনের তাতে থোড়াই কেয়ার। তার কোন হেলদোল নেই।

শেষে বিরক্ত হয়ে যখন বললাম, আপনি থাকেন আমরা চললাম। তখন সে ধীরে সুস্থে আসতে শুরু করলো। বাবাকে ভক্তি দিয়ে আমরা আবার উঠে বসলাম জোড়া সিএনজিতে। উদ্দেশ্য গোপালদী মহারাজের আশ্রম।

আশ্রমের মূল নাম গোপালদী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম হলেও। এটি লোকমুখে ‘গোপালদী মহারাজের আশ্রম’ নামেই অধিক পরিচিত। মহারাজকেই ঘিরেই পরিচিতি পেয়েছে আশ্রম। মহারাজের এক ভক্ত বলেছিল, লোক মহারাজকে ভালোবাসে। ভীষণ ভালোবাসে। আপনি যান। পরিচয় হোন। দেখবেন আপনিও প্রেমে পরে যাবেন।

পরে জেনেছি আসলে মহারাজের আশ্রম নাম হয়েছে বর্তমান মহারাজের গুরুর নামে। যতদূর জানা যায়, আশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা হলে শ্রীশ্রী মহিনীকান্তি মহারাজ। তিনি স্বামী ব্রহ্মানন্দের কাছ থেকে দীক্ষা লাভ করেন। তারপর বর্তমান আশ্রমের এই জায়গায় এসে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ মৌন ব্রত পালন করে সাধনা করেছেন।

এক যুগের সাধনা শেষে মুখ খুলে ভ্ক্তদের বলেন, তোমরা এখানে সেবামূলক কাজ করো। কি সেবামূলক কাজ করা যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন- এখানে আগত ভক্তবৃন্দকে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াও। স্থানীয় ভক্তবৃন্দরা নিজেদের ক্ষেতের খেসারির ডাল-সিদ্ধ চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলো।

এমনিতে তখন প্রতিদিন ২/৩জনের বেশি ভক্ত আসতো না। কিন্তু সেদিন ভিন্নচিত্র দেখা দিলো। বেলা যত বাড়তে লগলো- দেখতে দেখতে লোকে লোকারণ্য হয়ে গেলো চারপাশ। কোনো নিমন্ত্রণ্য ছাড়াই ভক্তে ভরে উঠলো। স্থানীয় ভক্তরা এতো লোক দেখে বিস্মিত হয়ে উঠলো।

(চলবে…)

<<লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক ।। লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন>>

………………………..
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!