-মূর্শেদূল মেরাজ
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-চার
কিন্তু যে প্রশ্নের উত্তরের দিকে যেতে গিয়ে আলাপের সূচনা হয়েছিল তার শেষ রক্ষা হয় না। তবে প্রশ্ন যদি অতিব গুরুত্বপূর্ণ হয়। প্রয়োজনীয় হয়। আলাপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে হয় তাহলে মেনে নেয়া যায়। আবার একটা বিষয়ে কথা বলা শেষে যদি প্রশ্ন করা হয় সেটা অনেক বেশি যৌক্তিক হয়।
আলাপের মাঝে করলে বিষয়টা মেনে নেয়া বেশ কষ্টকর। যদি প্রশ্নটা খুবই শিশুসুলভ হয় তাহলে তো কথাই নেই। কিছু লোকের স্বভাবটাই এমন। অকারণে প্রশ্ন করা। আসলে প্রশ্ন করাটাও জানতে হয়। কোথায় কখন কোন প্রশ্নটা করতে হবে। কোনটা করতে হবে না।
বা কিভাবে তা উপস্থাপন করতে হবে। সেটা জ্ঞানের পথে বড় একটা শিক্ষা। এই শিক্ষাটা যে যত দ্রুত শিখে নিতে পারে তার মধ্যে তত স্থিরতার সক্ষমতা উদয় হয়। কিন্তু ঐ যে বলে না- ‘স্বভাব যায় না মলে, খাছলত যায় না ধুলে’।
অবশ্য যেখানে শিক্ষার্থী অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত ক্লাস করে। সে হিসেব ভিন্ন। প্রথাগত বিষয়ে সর্বদা বিরাজ করে একটা প্রতিযোগীতার মনোভাব। সেখানে সময়কালে না জানতে পারলেই পিছিয়ে পরতে হয়। সেখানে জয়ী হওয়ার – নিজেকে প্রমাণ করার একটা চেষ্টা চলতে থাকে সর্বক্ষণ।
কিন্তু প্রথার বাইরের শিক্ষায় থাকে নানান সব পর্দা। এখানে শুনে বুঝে নিতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। এখানে শুনে প্রথমে মননে নিতে হয়। মননে নিতে পারলে তবেই অনেক কিছুর সাথে মিলিয়ে শেষে নিজের উপলব্ধির সাথে হিসেব নিকেশ করে তবে একটা সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রহর হতে হয়। এ যাত্রা সহজ নয়।
তাই এই ক্ষেত্রে শুনে যাওয়ার অভ্যাস করাটা খুবই জরুরী এবং আবশ্যক। শুনতে না পারলে অস্থিরতা দমন করা সহজ হয় না। প্রশ্নকে গুছিয়ে মনের মধ্যে রাখতে হয়। আলাপ শেষেও সেগুলো না পেলে তখন বিনিত ভাবে জানবার আগ্রহ প্রকাশ করত হয়।
বা অপেক্ষায় থাকতে হয়। দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। যদি সেই উত্তর পাওয়া যায় সেই আশায় থাকতে হয়। আর যে অপেক্ষায় থাকতে পারে শেষ বিচারেই সেই জানতেপারে।
যাক কি আর করা। এই যাত্রায় শিশুসুলভ প্রশ্নের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাই মাঠে মারা গেলো। চাইলে সেই শিশুসুলভ প্রশ্নকর্তাকে থামিয়ে দেয়া যেত। আড়ালে নিয়ে বলাও যেত অনেক কথা। কিন্তু সেসব করতে ইচ্ছে করলো না। সেসব চিন্তাও বাতিল করে দিলাম। মনে মনে বললাম কেবল, এদের জ্ঞান দাও। এদের ক্ষমা করো।
সেই কথার উপর কথা নাই। সকলেই একমত হলাম। সাধুসঙ্গ করে তবেই ফেরা হবে শহরে। তাই আর তাড়া নেই। নূরা পাগলার অনুষ্ঠান যখন মিস হলোই। তাহলে এই সাধুসঙ্গটাই বা কেনো মিস করি। এদিন সেদিক ঘোরা। নদীর জলে সময় নিয়ে স্নান করা। আর নিধির রান্না করা চমৎকার সব খাবার প্রতি বেলায় সেবা নেয়া।
এই রূপ কাঙ্খিত-অনাকাঙ্খিত ঘটনার ভেতর দিয়ে সময় কাটতে লাগলো। একদিন সকালে বাল্য সেবার পর নহির সাঁইজি অনেকটা ‘ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো’র মতো করে কিছু বিষয় উপস্থাপন করলেন। সেখানে তিনি কার সাথে, কেমন আচরণ করতে হয়। কিভাবে আচরণ করতে হয়।
সেসব বোঝালেন নতুন ভক্ত হওয়া ছেলেপেলেদের দিয়ে। যদি অন্যদের বোধদয় হয় সম্ভবত সেই আশায়। কিন্তু সেসব আর হলো কই। সেই দিনই আরো বড় অনাকাঙ্খিত এক ঘটনা ঘটলো। যার ফলে আমাদের আর যশোর যাওয়া তো হলোই না। সেই নাম মুখেও আনা গেলো না। সেই ঘটনা আর নাই বা বলি।
আসলে কখনো কখনো এমন সব পরিস্থিতি সামনে চলে আসে। তখন কারো কিছু করার থাকে না। তাই মেনে নিয়ে আমরা থেকে গেলাম। তামাক পোড়ানোর মৌসুম চলছে। চারপাশেই চূল্লিঘর বানিয়ে তামাক পোড়ানো হচ্ছে। সারারাত ধরে সেই পোড়ানো চলে।
আমরা ঘুরে ঘুরে সেই সব পোড়ানো দেখলাম। সেই আগুনে ভুট্টা পুড়িয়ে খেলাম। আশপাশ দিয়ে ঘুরে বেড়ালাম। দোকানে বসে চা-বিস্কুট খেলাম। এর ওর সাথে আলাপ করলাম। তবে একটা কথা ঠিক দিনের বেলা তীব্র গরম হলেও নহির সাঁইজির আখড়াটা বেশ ঠাণ্ডাই থাকে।
আজ যাই কাল যাই করে আরো দিন দুয়েক থাকা হয়ে গেলো। ঐ দিকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নাকি অবনতি হচ্ছে। যে কোনো সময় লকডাউন দিতে পারে। এমন সব খবর বাতাসে ভাসছে। চার তারিখ নহির সাঁইজির গুরুজি লবাণ সাঁইজির সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হবে।
নহির সাঁইজিও বললেন, সাধুসঙ্গ করে তার পর যেও বাপ।
সেই কথার উপর কথা নাই। সকলেই একমত হলাম। সাধুসঙ্গ করে তবেই ফেরা হবে শহরে। তাই আর তাড়া নেই। নূরা পাগলার অনুষ্ঠান যখন মিস হলোই। তাহলে এই সাধুসঙ্গটাই বা কেনো মিস করি। এদিন সেদিক ঘোরা। নদীর জলে সময় নিয়ে স্নান করা। আর নিধির রান্না করা চমৎকার সব খাবার প্রতি বেলায় সেবা নেয়া।
ভাবি স্মরণশক্তিটা একটু ভালো হলে কতই না ভালো হতো। সাধুগুরুদের কাছে কত কিছুই না শুনি। স্মরণে রাখতে পারি কতটা? সেক্ষেত্রে নহির সাঁইজির স্মরণশক্তিকে ভক্তি দিতেই হয়। এই বয়সেও তিনি সেই চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগের ঘটনা যেভাবে বর্ণনা করেন। শুনে মনে হয় আজ-কালের ঘটনা।
একবার এক সাধুসঙ্গে নহির সাঁইজি আমাদের তার সাথে ঘটে যাওয়া ঢাকা বিক্রমপুরের এক গল্প শোনাচ্ছিলেন। পাশা থাকা এক লোক এগিয়ে এসে বললো, সাঁইজি আপনি যে গ্রামের কথা বলছেন। আমার জন্ম সেই গ্রামে। কিন্তু আপনি এতো বছর পরও সেই গ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার যেভাবে বর্ণনা করছেন।
হ্যা ঘোষণা হয়ে গেছে আগামীকাল সকাল থেকে সারাদেশে লকডাউন। শহরে ফিরে কি করবো কিছুই জানি না। কোনো প্রয়োজনও নেই। কিন্তু ঐ যে পোষা কবুতরের মতো। বিকালের আলো ফুরাতে লাগলেই খাঁচায় ফেরার তাড়া শুরু হয়ে যায়। টুকটুক করে সেই দিকে যাত্রা করতে হয়।
সব নাম ধাম যেমন করে বলছেন। আমি নিজেও বলতে পারবো কিনা সন্দেহ। আমার নিজের কাছেই বিশ্বাস হচ্ছে না। আপনি এমন করে মনে রাখেন কেমন করে? আমার জন্ম সেখানে। কিন্তু নিজেও আমার এলাকাকে মনে হচ্ছে এতো ভালো করে চিনি না।”
বিষয়টা কেবল তার কাছে না। নহির সাঁইজির সাথে সঙ্গ করেছে এমন সকলেই বলতে বাধ্য। তিনি প্রতিটা ঘটনার প্রতিটা চরিত্র-চরিত্রের নাম-ধাম সব অক্ষরে অক্ষরে মনে রাখেন। আমরা একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা যেখানে বেমালুম ভুলে খেয়ে নেই। আশ্চর্য এক স্মৃতিশক্তি নিয়ে তিনি বসে আছেন।
সাঁইজিকে একা রেখে আর আসা গেলো না। আমরা রয়ে গেলাম হেমাশ্রমে। ঐ দিকে লকডাউন ঘোষণা হবে যে কোনো সময়। আবার বুড়ি মা ফোন করে বলেছে- “তোমরা আব্বাকে একা রেখে চইলা আইসো না। আব্বাকে সাথে করে খলিশাকুণ্ডি নিয়া আসো।”
এই প্রথম অনেকগুলো ঘটনা ঘটলো যাত্রায় বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটলো। যা আগে কখনো ঘটেছে বলে মনে পড়ে না। ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার সময়ই বাজান সাত্তার ফকিরকে ফোন করে বলেছিলাম। বাজান আপনার ওখানে আসছি। কিন্তু যাওয়া হলো না। ফিরছি শহরে।
কথা ছিল যশোর যাবো নূরা পাগলার অনুষ্ঠানে। সেখানেও যাওয়া হলো না। শহরে ফিরছি। কথা ছিল খলিসাকুন্ডি লবাণ সাঁইজির সাধুসঙ্গ করে ফিরবো। তাও হলো না। এমন কি খলিশাকুণ্ডি গিয়েও সাধুসঙ্গে অধিবাসের আগেই বেড়িয়ে পরতে হলো। কারণ ফিরতে হবে শহরে।
হ্যা ঘোষণা হয়ে গেছে আগামীকাল সকাল থেকে সারাদেশে লকডাউন। শহরে ফিরে কি করবো কিছুই জানি না। কোনো প্রয়োজনও নেই। কিন্তু ঐ যে পোষা কবুতরের মতো। বিকালের আলো ফুরাতে লাগলেই খাঁচায় ফেরার তাড়া শুরু হয়ে যায়। টুকটুক করে সেই দিকে যাত্রা করতে হয়।
সেখানে কেউ অপেক্ষা করে নেই জেনেও সেখানে যেতে হয়। আমাদের অবস্থাও অনেকটা তেমনি। তারপরও সকলেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে ফিরবে। আমার কোনো তাড়া নেই। থেকে যাওয়াই যেত। আশিক আর সুমন অস্থির হয়ে গেছে ফিরবে।
সুমন কুষ্টিয়া থেকে ট্রেন ধরবে খুলনার। আর আশিক কুষ্টিয়ার সকলকে অস্থির করে তুলেছে বাস-ট্রেনের টিকেটের জন্য। অনলাইনে টিকেট বিক্রি বন্ধ ইতিমধ্যে। সে অনর্গল ফোন করেই যাচ্ছে। করেই যাচ্ছে। এই যাত্রায় আর আমি মন্তব্য করলাম না কিছুই।
অগ্যাত আমার ভাই আর কি করে। থেকে গেলো। সাথে আশিক টোপ দিলো, যদি সুমন থেকে যায় তাহলে আমাদের নিয়ে যাবে বুড়ি মার এক ভক্ত ছেলের বাড়ি। সেই ভক্ত ছেলে তার বিশাল বাগানে একটা লিচু গাছের তলায় এমন করে একটা ঘর বানিয়েছে যে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় গাছটা মাটি পর্যন্ত ছেয়ে আছে।
ভাবলাম সকলে যে সিদ্ধান্ত নিবে তাই হোক। সকলে চলে গেলে একা একা থাকাটাও খুব আরামদায়ক হবে না। আবার বিরপীতটাও ঘটতেই পারে। যদিও আমি আমার নিজের সঙ্গ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। একা থাকতে আমার মন্দ লাগে না। বিরক্তিকর সঙ্গ থেকে একা থাকা আমার অনেক পছন্দের।
তবে সঙ্গ ভালো হলে সঙ্গ করতে বেশ লাগে। কিভাবে সময় কেটে যায় হিসেব থাকে না। তবে আমিও নিশ্চয়ই অনেক মানুষের বিরক্তি কারণ। তারাও হয়তো আমার সঙ্গ পছন্দ করে না। বিরক্ত হয়। আসলেই বিষয়টা এমনই। সকলে সকলের সাথে মিশে যেতে পারে না।
ঐ যে বলে না মনে মনে মন না হলে মিলবে না ওজন। বিষয়টা তেমনই। যাক সকলের সাথে ফিরে আসার সিন্ধান্তটাই চূড়ান্ত হলো। আমি চুপ থেকে নীরব সম্মতি দিলাম। আশিক টিকেট কাটার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু কোথাও কোনো টিকেট নেই।
সুমন একদিন আগেই চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হয়েছিল। ব্যাগপত্র গুছিয়ে বিদায় নিবে নিবে করছে। তখন আমি কথার প্যাঁচে ফেলে তাকে সেই রাতের জন্য রেখে দিলাম। বললাম- সকলে একসাথে কাল নহির সাঁইজিকে খলিসাকুন্ডি নিয়ে যাই। তারপর সেখান থেকে যার যার মতো চলে যাবো।
অগ্যাত আমার ভাই আর কি করে। থেকে গেলো। সাথে আশিক টোপ দিলো, যদি সুমন থেকে যায় তাহলে আমাদের নিয়ে যাবে বুড়ি মার এক ভক্ত ছেলের বাড়ি। সেই ভক্ত ছেলে তার বিশাল বাগানে একটা লিচু গাছের তলায় এমন করে একটা ঘর বানিয়েছে যে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় গাছটা মাটি পর্যন্ত ছেয়ে আছে।
কিন্তু পাতার তলা দিয়ে গেলে দেখা যাবে ভেতরে একটা সুন্দর বসবার জায়গা। সেই ঘরেই হবে সঙ্গ। আগের দিন সন্ধ্যা অন্য এক ঘটনার প্রেক্ষিতে আশিক, ফয়সাল আর রাজন সাধু সেখানে গিয়েছিল। গতকাল থেকেই তারা সেই গল্প দিয়ে আসছিল। আমাদের মনেও সেখানে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছে।
অবশেষে ফয়সালকে নহির সাঁইজির সাথে রেখে আমরা কয়জন রওনা দিলাম সেই বাগানবাড়ি দেখতে। যেতে হবে অনেকটাই দূরে। দৌলতপুর সদরে যেতে কয়েক দফা গাড়ি পরিবর্তন করতে হলো। যেতে যেতেই সন্ধ্যা নেমে গেলো। ভুলভাল রাস্তা ঘুরে শেষে আমরা যখন সেই বাগানে প্রবেশ করলাম।
(চলবে…)
<<সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-তিন ।। সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ>>
………………………..
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ