শাহ মখদুম রূপোশ: দুই
-মূর্শেদূল মেরাজ
সে সময় দিল্লীর সম্রাট ছিলেন নাসিরুদ্দীন। প্রকৃতপক্ষে সেসময় রাজ্য শাসন করতেন গিয়াসউদ্দীন বলবন। উভয়ের সাথেই আযাল্লাহ শাহ এবং শাহ মখদুমের সু-সম্পর্ক ছিল।
হালাকু খার মৃত্যুর আযাল্লাহ শাহ বাগদাদে ফিরে যাওয়ার পূর্বে তিন পুত্র সৈয়দ আহমেদ আলী তন্নরী ওরফে মিরান শাহ, শাহ মখদুম এবং সৈয়দ মনির আহমেদ শাহকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলা অঞ্চলে যাওয়ার আদেশ দেন।
সে সময় বাংলার শাসক তুঘরিল খান দিল্লীর সুলতানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। সেই বিদ্রোহ দমন করতে ১২৭৮ সালে বৃদ্ধ বয়সে গিয়াসউদ্দীন বলবন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শাহ মখদুম তার দুই ভাই ও শতাধিক অনুসারী নিয়ে যুদ্ধযাত্রার সফর সঙ্গী হন। তখন মখদুমের বয়স ছিল ৬০ বছরেরও বেশি।
যুদ্ধে তুঘরিল খান পরাজিত হলে গিয়াসউদ্দীনের পুত্র বোখরা খানকে বাংলার সুলতান নিযুক্ত করা হয়। অল্পদিনেই বোখরা খানের সাথে শাহ মখদুমের গভীর সম্পর্ক তৈরি হয় এবং তিনি গৌড়ে বসবাস শুরু করেন। জানা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে শাহ্ মখদুম তার বারোজন শিষ্য নিয়ে গৌড় পাণ্ডুয়াতে অবস্থান গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে শাহ মখদুম বড়ভাই মীরান শাহ সহ গৌড় থেকে বের হয়ে দক্ষিণ দিকে যাত্রা করে নোয়াখালী পৌঁছান। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর শ্যামপুর গ্রামে শাহ মখদুম তার প্রথম আস্তানা স্থাপন করেন। ১২৮৭ সালে লক্ষীপুর জেলার কাঞ্চনপুরে একটি দায়রা নির্মাণ করে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।
দুই বছর পর প্রিয় শিষ্য তুরকান শাহর হত্যার সংবাদ পেয়ে দায়রার যাবতীয় দায়িত্ব মুরিদ যাকীউদ্দীনের উপর অর্পণ করে, চারজন সঙ্গী নিয়ে গৌড়ের দিকে অগ্রসর হন। জানা যায়, তুরকান শাহ কয়েকজন সঙ্গী সহ ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে রাজশাহীর (মহাকালগড়) অধিপতি দেওরাজ রাজভ্রাতার হাতে নির্মমভাবে নিহত হন।
শাহ্ মখদুমের চারজন সঙ্গী ছিলেন- সায়্যিদ শাহ আব্বাস (মাজার মখদুম নগর, বাঘা, রাজশাহী), শাহ সুলতানহি (সুলতানগঞ্জ, গোদাগাড়ী উপজেলার সন্নিকটে, রাজশাহী), শাহ করম আলী (বিড়ালদহ, নাটোর রোড, রাজশাহী) এবং সায়্যিদ দিলাল শাহ বুখারী (মাজার দিলালপুর, আলাইপুর,বাঘা, রাজশাহী)।
নোয়াখালী থেকে নৌপথে শাহ মখদুম রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদী থেকে কিছুটা দূরে বসতি স্থাপন করেন। সেখানে একটি ছোট কেল্লাও নির্মাণ করেন। সেসময় রাজশাহী ‘মহাকালগড়’ নামে পরিচিত ছিল।
প্রথম যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে উভয়পক্ষই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। স্থানীয় অত্যাচারী জনতাকে সাথে নিয়ে শাহ্ মখদুম দেওরাজের ওপর দ্বিতীয়বার আক্রমণ করে জয়লাভ করে। দখল করে নেন রাজ্যপাট। সামন্ত শাসকরা রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে চলে যান, বাকিরা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণত্যাগ করে।
মহাকালগড় শাসন করতেন কাপলিক তন্ত্রে বিশ্বাসী আংশুদেব চান্দভন্ডী বর্মভোজ ও আংশুদেব খের্জুর চান্দ গুজ্জভোজ নামের দুই ভাই। তারা দেওরাজ নামে পরিচিত। তাদের অত্যাচারী শাসনে প্রজাদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। তারা মাহ মখদুমকে পেয়ে এই অত্যাচার থেকে মুক্তির দিশা খুঁজে পেলো। তাই তার দলে যোগ দিতে শুরু করলো।
মহাকালগড় অঞ্চলে তখন নরবলীর প্রচলন ছিল। মহাকালগড় বা রামপুর রাজ্যের মহাকাল মন্দিরে নরবলী সহযোগে মহাকাল দেবের পূজা হত প্রতি বছরের এক নির্দিষ্ট দিনে। রাজার নির্দেশে প্রতিবছর এক মায়ের এক পুত্র সন্তানকে মহাকাল দেবের সন্তুষ্টির জন্য বলি দেওয়ার প্রচলন ছিল।
দেওরাজদের আরাধ্য দেবতা ছিল মহাকাল দেও। তার ভীষণ মূর্তি ছিল দরগাপাড়া মঠে। দেওরাজের মন্দির প্রাঙ্গনে প্রাচীরবেষ্টিত এক জাদুকুণ্ড কূপ ছিল। জনশ্রুতি আছে, দেওরাজ সেই কূপ দিয়ে জাদুবিদ্যা পরিচালনা করে অসম্ভব সব অলৌকিক কাণ্ড ঘটিয়ে সকলকে ভীত করে রাখতো।
কথিত আছে, শাহ মখদুম এসব তথ্য স্থানীয় এক নাপিতের কাছ থেকে জানতে পারেন। নাপিতের ছেলেকে মন্দিরে বলি দেয়ার উদ্দেশ্যে দেওরাজার ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
নাপিতের কাছ থেকে এসব কথা জেনে শাহ মাখুদম নিজ আধ্যাত্মিক শক্তি বলে জাদুকুণ্ডের যাদু নষ্ট করে দেন। মখদুমের আধ্যাত্মিক শক্তির ফলে নাপিত পুত্রকে বলি দেয়া সম্ভব হয় না। এতে দেওরাজ ভীষণ ক্রোধান্বিত হয়ে পরেন। শেষে তার পরিবর্তে একটা মহিষ দেবতার উদ্দেশ্যে বলি দিয়ে আচার সম্পূর্ণ করা হয়।
শাহ মখদুম দেওরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য স্থানীয় লোকদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। শাসকচক্রও পাল্টা বাহিনী গঠন করেন। এতে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে। জানা যায়, শাহ মখদুম রাজশাহী অঞ্চলে ৪৪ বছর অবস্থানকালে দেওরাজদের সাথে তিন তিনবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
শাহ মখদুম নৌপথে বাঘা থেকে রাজশাহীতে এসে প্রথম যুদ্ধটি পরিচালনা করেন। এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের বহু যোদ্ধা হতাহত হয়। অনেক ঘোড়া মারা যাওয়ার কারণে সে জায়গাটির নাম হয়ে যায় ঘোড়ামারা।
প্রথম যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে উভয়পক্ষই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। স্থানীয় অত্যাচারী জনতাকে সাথে নিয়ে শাহ্ মখদুম দেওরাজের ওপর দ্বিতীয়বার আক্রমণ করে জয়লাভ করে। দখল করে নেন রাজ্যপাট। সামন্ত শাসকরা রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে চলে যান, বাকিরা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণত্যাগ করে।
অনেকের মতে, শাহ মখদুম নোয়াখালীর শামপুর মোকাম থেকে রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর নিকটে যে কেল্লা স্থাপন করেন সেটিই মখদুম নগরনামে খ্যাত। এই মখদুম নগরে শাহ মখদুম আস্তানা প্রতিষ্ঠা করেন ৬৮৭ হিজরি বা ১২৮৯ খ্রিস্টাব্দে।
কথিত আছে, শাহ মখদুম কুমিরের পিঠে চড়ে নদী পার হতেন। তার অতিপ্রাকৃত শক্তিতে শুধু কুমির নয়, বনের বাঘও বশ্যতা স্বীকার করতো। বর্তমানে শাহ মখদুমের সমাধির পাশে সেই কুমিরকে সমাহিত করা হয়। কুমিরটির কবর এখনো আছে।
যুদ্ধ শেষে শাহ মখদুম বাঘায় ফিরে যান এবং সেখানে একটি বিজয় তোরণ নির্মাণ করেন। পাশাপাশি বাঘা এলাকার নাম বদলে মখদুম নগর রাখেন। তোরণটির ধ্বংসাবশেষ এখনও মখদুম নগরে পদ্মা নদীর তীরে বিদ্যমান।
পলাতক রাজা এবং তার অনুসারীরা পুনরায় একত্রিত হয়ে শাহ মখদুমের সাথে তৃতীয়বারের মতো যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। কিন্তু এ যুদ্ধেও তাদের পরাজয় ঘটে। ছয় রাজকুমারসহ দুইজন রাজভ্রাতা বন্দী হন। শাহ মখদুম বন্দি দেওরাজকে প্রশ্ন করেন, ‘হে রাজা! তুমি নরবলি দাও কেন? এর মাহাত্ম্যই কি?’
দেওরাজ বলেন, ‘যাকে দেবতার উদ্দেশ্যে বলি দেয়া হয় তার ভাগ্য সত্যিই খুব ভালো। কারণ তার এই বলি হবার কারণে সে সহ তার সাত পুরুষ স্বর্গবাসী হওয়ার সুযোগ লাভ করে।’
শাহ মখদুম বলেন, ‘তোমার কি কোনো সন্তানাদি আছে?’
দেওরাজ বলেন, ‘থাকবে না কেন, আছে। আর তা একটি দুটি নয়। আছে ছয়-ছয়টি পুত্র সন্তান!’
শাহ মখদুম বলেন, ‘তবে তুমি কেন তোমার ঐ ছয় সন্তানকে বলি দিয়ে ৪২তম পুরুষ পর্যন্ত স্বর্গবাসী হওয়ার সুযোগ নিচ্ছ না?’
শাহ মখদুম তাদের হত্যা না করে মুক্ত করে দেন এবং আহত রাজকুমারদের নিজের হাতে সেবা করে সুস্থ করেন। শাহ মখদুমের এমন মহানুভবতা দেখে দেওরাজদ্বয় তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বাকী জীবন তার মুরীদ হয়ে তার সঙ্গেই থাকেন।
কথিত আছে, শাহ মখদুম কুমিরের পিঠে চড়ে নদী পার হতেন। তার অতিপ্রাকৃত শক্তিতে শুধু কুমির নয়, বনের বাঘও বশ্যতা স্বীকার করতো। বর্তমানে শাহ মখদুমের সমাধির পাশে সেই কুমিরকে সমাহিত করা হয়। কুমিরটির কবর এখনো আছে।
জনৈক আলীকুলী বেগ ১০৫৪ হিজরিতে (১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ) তার কবরের উপর একগম্বুজ বিশিষ্ট সমাধিসৌধ নির্মাণ করে দেন। প্রতি বছর এখানে হিজরি সনের ২৭ রজব ওরস পালন এবং ১০ মহররম মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন তাজিয়া বের করা হয় এবং লাঠি খেলা ও নকল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
ওফাতের পূর্বে তিনি তার সকল ভক্ত, মুরিদ, খলিফাদের একত্রিত করে জোহরের নামাজ শেষে অসিয়ত দান করেন। অসিয়তনামায় তার চার সঙ্গীকে চার স্থানের খলিফার দায়িত্ব এবং তার আস্তানার দায়িত্ব প্রদান করেন।
পালিত পুত্রদ্বয় শাহ দাউদ ও শাহ গরীবের উপর দরগাপড়া তথা শাহ মখদুমের মাজারসহ অত্রাঞ্চলের খাদেমের দায়িত্বভার প্রদান করেন। অন্য সূত্র মতে, শাহ গরীব ও শাহ দাউদের পূর্বপুরুষ শাহ জলিল ও শাহ নিয়ামতকে শাহ মখদুমের আস্তানার খাদেম পদ দেয়া হয়।
অসিয়তে আরো জানান, আমার ভাইয়ের বংশের সন্তান শাহ নূর বাগদাদ থেকে এসে খলিফার পদ লাভ করবে। সে ব্যতীত অন্য কেউ এই আস্তানার খলিফা পদপ্রাপ্ত হবে না। শাহ নূরের আসন আমার ডান পাশে থাকবে। এরপর সকলকে উদ্দেশ্য করে কিছু উপদেশ দেন এবং চার খলিফার কাছে কিছু গুপ্ত ভেদের কথা ব্যক্ত করেন।
তারপর তিনি বর্তমান রওজার স্থানে গিয়ে তার হাতের লাঠি দিয়ে নিজ কবরের স্থান নির্দিষ্ট করেন। মাগরিবের নামাজ শেষে আস্তানায় ফিরে শরীর চাদর দিয়ে ঢেকে ঘুমিয়ে পড়েন। এভাবেই তিনি চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েন।
দিনটি ছিল ২৭ রজব ৭৩১ হিজরি মোতাবেক ১৩৩১ খ্রিস্টাব্দ। মৃত্যুর পর তাকে তার বলে দেওয়া স্থানে সমাহিত করা হয়। তার কবর বর্তমান রাজশাহী শহরের সরকারি কলেজের কাছে দরগাপাড়ায় অবস্থিত।
জনৈক আলীকুলী বেগ ১০৫৪ হিজরিতে (১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ) তার কবরের উপর একগম্বুজ বিশিষ্ট সমাধিসৌধ নির্মাণ করে দেন। প্রতি বছর এখানে হিজরি সনের ২৭ রজব ওরস পালন এবং ১০ মহররম মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন তাজিয়া বের করা হয় এবং লাঠি খেলা ও নকল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
(সমাপ্ত)
……………….
আরো পড়ুন:
শাহ মখদুম রূপোশ: এক
শাহ মখদুম রূপোশ: দুই
………………….
তথ্যসূত্র:
উইকিপিডিয়াসমূহ
শাহ মখদুম (রহ)-এর বিস্ময়কর জীবন ও কর্ম: মুহাম্মাদ জোহুরুল ইসলাম।
আমাদের সুফিয়ায়ে কিরাম: আলমগীর জলিল।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
………………………………….
আরও পড়ুন-
হযরত শাহ্জালাল
নাসির উদ্দিন সিপাহসালার
বাবা খানজাহান আলী
শাহ মখদুম রূপোশ: এক
শাহ মখদুম রূপোশ: দুই
হযরত ছৈয়দ শাহ্ আলী বোগদাদী
হযরত কেল্লা শাহ্ বাবা
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: এক
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: দুই
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: তিন
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: চার
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: পাঁচ
বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী
হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী
সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-১
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-২
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-৩
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-৪
খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়ার কাশফের নিদর্শন
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: এক
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: দুই
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: তিন
শেখ বাহাউদ্দীন নকশবন্দী: এক
শেখ বাহাউদ্দীন নকশবন্দী: দুই
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: এক
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: দুই
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: তিন
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: চার
সালমান আল-ফারেসী: এক
সালমান আল-ফারেসী: দুই
সালমান আল-ফারেসী: তিন
সালমান আল-ফারেসী: চার
উয়াইস করনি পাগল: এক
উয়াইস করনি পাগল: দুই
উয়াইস করনি পাগল: তিন
রহস্যাবৃত শামস তাবরিজি: পর্ব-১
রহস্যাবৃত শামস তাবরিজি: পর্ব-২
মাওলানা শ্রেষ্ঠ জালালউদ্দিন রুমি
আত্তারের সাধনার সপ্ত স্তর : এক
আত্তারের সাধনার সপ্ত স্তর : দুই
সুফিবাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ইবনে আল আরাবী
হযরত বাবা হাজী আলী
খাজা ফুজাইল : ডাকাত থেকে ওলী
সাধক বায়জিদ বোস্তামী
মরমী বুল্লেশাহ্
সারমাদ কাশানি
বাংলাদেশের প্রথম ইসলাম প্রচারক শাহ্ সুলতান
শাহানশাহ রাহাত আলী শাহ
বাবা সিরাজ শাহ্
বাবা হায়দার শাহ্
মদন পাগলার মোরতবা
মোখলেছ শাহর কারামতি
বাবা জাহাঙ্গীর
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব এক
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব দুই
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব তিন