হযরত বাবা হাজী আলী
ভারতের মুব্বাইয়ে মহান আউলিয়া হযরত হাজী আলী শাহ আল বুখারির পবিত্র মাজার শরীফ। বাবা হাজী আলী ভারতের একজন বিখ্যাত আউলিয়া। ভারতের মুম্বাই শহরের সকল হিন্দু, মুসলিম বাবার আশেক ও ভক্ত। প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দরগায় হাজার হাজার ভক্তের সমগম ঘটে। বাবা হাজী আলী মোগল আমলের বিখ্যাত আউলিয়া।
১৪৩১ সালে বাবার দরগাহ মুম্বাই শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি উজবেকিস্থানের বুখারা নামক অঞ্চল থেকে ভারতের মুব্বাইয়ে ইসলামের মহান বাণী ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেন। বলা হয়ে থাকে, বাবা হাজী আলীর মাজার আল্লাহ্র কুদরতে উত্তাল সমুদ্রের মাঝখানে গায়েবি থেকে প্রস্তুত হয়েছে।
কথিত আছে, বাবা হাজী যখন মুম্বাই শহরে আসেন তখন তিনি দেখেন যে এক মহিলা রাস্তায় বসে কাঁদছে। বাবা জিজ্ঞাস করেলন, “মা! তুমি এভাবে কাঁদছ কেন?” উত্তরে মহিলা বলল, আমি বাজার থেকে একপোয়া তেল কিনে আনছিলাম রান্না করার জন্য। কিন্তু হঠাৎ পরে গেলে আমার সবটুকু তেল মাটি শুষে নেয়।
এখন তেলের জন্য আমি যদি রান্না করতে না পারি তাহলে আমার বদমেজাজি স্বামী আমাকে মেরে ফেলবে। আমার কাছে অতিরিক্ত এক পয়সাও নাই যে তেল কিনব। তখন বাবা হাজী আলী সাথে সাথে সেই জায়গায় যেয়ে মাটিকে হাতে নিয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে এমন চাপ দিলেন যে মাটি থাকে সেদিন ১ চাপে ৭ কেজি তেল বেরিয়ে এলো।
ভারতের মুম্বাই শহরের ৭ম আশ্চর্যের মধ্যে বাবা হাজী আলীর এই দরগাহ অন্যতম। মুব্বাইয়ে বিপদে পরে যদি কেউ ভক্তিভরে দোঁহাই হাজী আলী বলে, তাহলে সাথে সাথে তার বিপদ কেটে যায় এবং আল্লাহর রহমত তার উপর বর্ষিত হয়।
এই ঘটনার পর মাটি বাবা হাজী আলীকে বলল, “হে হাজী! আলী তুমি আমাকে এত জোরে চাপ দিয়ে আমাকে ব্যাথা দিলা, এ জন্য তুমি যখন মৃত্যুবরণ করে আমার পেটের ভিতর কবরে আসবা আমি তোকে এরচেয়ে অধিক চাপ দিয়ে ব্যথা দিব।”
তখন বাবা হাজী আলী তার ভক্তদের বলল, “আমার লাশ সমুদ্রের মাঝে ফেলে দিও, সমুদ্রের মাঝখানেই আমি থাকবো, মাটির ভিতর যাবো না। যখন বাবার মৃত্যুর পর তাহার লাশ সমুদ্রে ফেলা হলে সাথে সাথেই সেখানে গায়েবি মাজার শরীফ প্রতিষ্ঠিত হয়।
সারাদিন সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে বাবার দরগাহতে যাওয়ার পথ সাগরে ডুবে থাকে। আবার যখন আসরের আযান হয় তখন বাবা হাজী আলীর কৃপায় সমগ্র সমুদ্র শান্ত হয়ে যায়, তখন ভক্তবৃন্দ বাবার দরগাহ যিয়ারতে দলে দলে সমবেত হন।
ভারতের মুম্বাই শহরের ৭ম আশ্চর্যের মধ্যে বাবা হাজী আলীর এই দরগাহ অন্যতম। মুব্বাইয়ে বিপদে পরে যদি কেউ ভক্তিভরে দোঁহাই হাজী আলী বলে, তাহলে সাথে সাথে তার বিপদ কেটে যায় এবং আল্লাহর রহমত তার উপর বর্ষিত হয়।
………………….
পুন:প্রচারে বিনীত : নূর মোহাম্মদ
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
………………………………….
আরও পড়ুন-
হযরত শাহ্জালাল
নাসির উদ্দিন সিপাহসালার
বাবা খানজাহান আলী
শাহ মখদুম রূপোশ: এক
শাহ মখদুম রূপোশ: দুই
হযরত ছৈয়দ শাহ্ আলী বোগদাদী
হযরত কেল্লা শাহ্ বাবা
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: এক
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: দুই
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: তিন
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: চার
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: পাঁচ
বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী
হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী
সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-১
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-২
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-৩
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-৪
খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়ার কাশফের নিদর্শন
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: এক
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: দুই
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: তিন
শেখ বাহাউদ্দীন নকশবন্দী: এক
শেখ বাহাউদ্দীন নকশবন্দী: দুই
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: এক
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: দুই
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: তিন
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: চার
সালমান আল-ফারেসী: এক
সালমান আল-ফারেসী: দুই
সালমান আল-ফারেসী: তিন
সালমান আল-ফারেসী: চার
উয়াইস করনি পাগল: এক
উয়াইস করনি পাগল: দুই
উয়াইস করনি পাগল: তিন
রহস্যাবৃত শামস তাবরিজি: পর্ব-১
রহস্যাবৃত শামস তাবরিজি: পর্ব-২
মাওলানা শ্রেষ্ঠ জালালউদ্দিন রুমি
আত্তারের সাধনার সপ্ত স্তর : এক
আত্তারের সাধনার সপ্ত স্তর : দুই
সুফিবাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ইবনে আল আরাবী
হযরত বাবা হাজী আলী
খাজা ফুজাইল : ডাকাত থেকে ওলী
সাধক বায়জিদ বোস্তামী
মরমী বুল্লেশাহ্
সারমাদ কাশানি
বাংলাদেশের প্রথম ইসলাম প্রচারক শাহ্ সুলতান
শাহানশাহ রাহাত আলী শাহ
বাবা সিরাজ শাহ্
বাবা হায়দার শাহ্
মদন পাগলার মোরতবা
মোখলেছ শাহর কারামতি
বাবা জাহাঙ্গীর
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব এক
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব দুই
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব তিন