খাদেম জাফর কাকার জবানে গণি শাহ্ বাবা: কিস্তি তিন
-মূর্শেদূল মেরাজ
উনি যখন দেহত্যাগ করেন তখন আমি সামনে ছিলাম। কিন্তু আমরা কেউই অনুভব করতে পারি নাই উনি বিদায় নিবো। যারাই ছিল।
এর আগে রাইতের এগারোটা দিকে আমি এখানে বসা। এইখানেই বসা। দয়াল খাটের উপর শোয়া। এগারোটা বা বারোটা বাজে। আমি আইছি। বললাম, বাজান শুয়া থাকি গা।
আমারে একটা সাদা কাপড়ের টুকরা দিয়া কইছে- এইটা লইয়া বয়া থাকো। আমি হেইডা কি বুঝতাম কন? আছে কি কোনো বুঝ? পরদিন দুইটা পাঁচ মিনিটে বিদায় নিলো। আমি হেইলারে রাইতের বারোটা সময় কইছি আমি শুয়া থাকি গা। সাদা কাপড়টা দিয়া কইছে- এনে বয়া থাকো।
[অশ্রুধরা কণ্ঠে] উনি যাইবো গা আমিও বুুঝছি না। আমার যে জ্ঞান নাই আমি বুঝছি না। কিন্তু উনি যে যাইবো গা, বিদায় নিবো যে উনি আগে অনেকের লগোই… আমারে যেমন কইলো- সাদা কাপড়টা দিয়া এইটা লইয়া বয়া থাকো। তাইলে?
আমি আইছি দুইটা… প্রায় পৌনে দুইটা বাজে আমি আইছি… এইখান থেকে অনেক রাত্রে গিয়া শুইছি। সকালে উইঠা দুপুরে আইছি। আইসা দেখি মানুষ খাঁড়ায়া রইছে। গেছি সামনে দেছি- আমারে কইছে রাস্তা ছাড়ো। কইলো রাস্তা ছাড়ো।
রাস্তা ছাইড়া আমি বেক সাইডে গেছি। এক সেকেন্ডের ব্যাপারও না। দয়াল গেছে গা।
সেই সময় কালাইনগরে দয়ালরে এইখান থেকে নিছিলো। সেই সময় কালাইনগর থেকে আসার প্রায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশ দিনের মাথায় উনি বিদায় নিছে। সেই সময় অন্য একটা গোলোযোগ ছিল। গোলোযোগের সময় ভক্তদের খবরই কেউ দিতে পারছে না।
দেওয়া হইছে না। কইছে না। দয়াল বাবা দেহত্যাগ করেন ১৯৮৩/১৯৮৪ সালে।
এইখানে আমরার মাঝেও একটা প্যাচ আছিলো। দুই দল ছিল। এক দলের কতা হইলো (খালের) হেপারে যে মাজারটা করছে দেখছেন না? ঐখানে মাজার করার কথা কইছিল। চিন্তা করছিল আর কি। আমরা কইলাম না, দয়াল যেখানে বিদায় নিছে সেইখানেই থাকবো। এখানে ওনাকে দাফন করা হবে। কথাটা বুঝছেন নি?
এই নিয়া এখানে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছিলো মানুষ। যত তাড়াতাড়ি পারা গেছে অত তাড়াতাড়ি ওনাকে দাফন করে ফেলা হইছে। অনেক ভক্তরা শেষে মনে কষ্ট পাইছে। কান্নাকাটি করছে। গেহো তো আর বুঝান যায় না। ভক্তগো লগে তো আর জওব দেওয়া যায় না কোনো।
সকলেরই কথা- আফনেরা হেইলা করলেন। শেষবারের মতো আমরা মুখ দেখতাম পারলাম না। এই করতে পারলাম না। হেই করতে পারলাম না। এরপর যার যার আকাঙ্খা হেইলারডা হেইলা পূরণ করছে। একটা সময় হেইলা দেহে আইসা অনেকের লগে দেখা করছে। অনেকের লগেই দেখা সাক্ষাত করছে।
অনেক জায়গায় দয়ালের খানকা আছে। ভক্তদের অনুমতি দিছে- করো। রুহানি মাজার না। মূলত খানকা আছে। তবে উনার ভক্তবৃন্দরা করে, যারা দয়ালের ভক্ত। দয়ালের লগে আছিলোো। দয়ালের খেলাফত প্রাপ্ত হইছে তাদের মাজার আছে বিভিন্ন জায়গায়।
আমরা এইটুকুন বুঝি যেইখানেই যায় দয়ালের নামের উপর যদি কিছু মানে। বা দয়ালরে কইলো, আমি আপনার কাছে বিপদে পইরা আইছি। আপনি আমারে এই বিপদ থেইক্ক্যা উদ্ধার কইরা দেন। অনেকে আছে উদ্ধার হইয়া যাইতাছে। এমুন যার বিশ্বাস। যার যার ভক্তিতে মুক্তি।
এমনিতে তো আমরা প্রকাশ্যে বুঝি না খেলাফত কেমনে হয়। অর্থাৎ আপনারে যদি গুরু যদি কিছু না কিছু বস্তু দিলেই তো হয়। তার কাছে মানুষ উপকৃত হইবো। ফুলে কিছু না কিছু মধু না থাকলে তো ভ্রমর যাইতো না তার কাছে। পিঁপড়াও যাইতো না। গুড় যদি থোয় তাইলেই না পিঁপড়া আইবো?
গুরুর কিছু দয়া পাইলোই না আপনার কাছে মানুষ যাইবো। আমরা এইটাই বুঝি। সাধারণ জ্ঞানে কি কয়? এমনিতে দয়াল তো দীক্ষা নেও, খেলাফত নেও, হেই নেও এই নেও তুমি উমুকে গদীনশীন হও… অমুকে হেইয়া হইছ… এমুন তো কিছু কইছে না।
আমরা তো হেইয়া কইতাম পারি না। আমরা এইটুকুই বুঝছি দয়াল যদি দয়া করে। হের কাছেই দুইজন লোক যাইবো। আর লোক যদি উপকার হয় তয় না যাইতো। আমার কাছে যদি সারাদিন আপনি বইসা থাকেন। আমরা যদি সারাদিন গল্প করি। উপকার না হইলে কোনো কাম হইবো?
বড়জোর আপনি কইবেন, হের কাছে গেছিলাম কোনো কাজ হইছে না। যাইগা আরেক খানো। এই কথা না? এইডাই অইলো কথা। আমরা হেরেই মনে করি দয়াল বাবার আর্শবাদের হাতটা তার উপর আছে। অনেকের কাজ হয়। এরুম অনেক খানকা দয়ালের নামে চলতাছে। হেইগুলাতে গেলেও মানুষের কাজ হয়।
যেইর মাধ্যমে খানকা চলে হেয় কিছু জানে না। কথাটা বুঝতে হইবো। আমি যদি একটা খানকা চালাই। আমার মাধ্যমে যদি চলে। আমি তো কুনু জানি না। এই যে আমার কাছে যদি মানু কয় দয়া কইরেন। দোয়া তো আমি জানি না। দোয়া জানে হেইলায়।
আফনি কইছেন হেইলা আমি কইতামফারুম, বাজান হেইলা যে আইছিল তা কইরা দিয়েন। মানে, আমার কুনু ব্যক্তিগত কিচ্ছু নাই। কলমা, দোয়া সবই হেইলার নামের উপর করোন লাগে। তয় হেইলায় করে না? হের লেইগা কইলাম।
আমরা এইটুকুন বুঝি যেইখানেই যায় দয়ালের নামের উপর যদি কিছু মানে। বা দয়ালরে কইলো, আমি আপনার কাছে বিপদে পইরা আইছি। আপনি আমারে এই বিপদ থেইক্ক্যা উদ্ধার কইরা দেন। অনেকে আছে উদ্ধার হইয়া যাইতাছে। এমুন যার বিশ্বাস। যার যার ভক্তিতে মুক্তি।
আল্লাহ। আল্লাহর রাসুল কি? মুর্শিদ কি? এগুলো তো বুঝছি না। হেই সময় মনে করছি- আমার জেডা লাগে। খাই আর ঘুরি। কথাটা বুঝছেন না? সেইসম তো ছিল অন্য চিন্তাভাবনা। বুজলে তো অনেক কিছু দেখতাম পারতাম। দয়ালের কাছ থেইক্ক্যা।
যেইর যদ্দুর ভক্তিতে আসে এদ্দুরই মুক্তি লাভ করে। মানতের বিষয়টা তো আমরা স্বাভাবিক জ্ঞানে কই। দয়াল কোনোদিন আমারে কইছে না, তুমি মানত করো। এরম কিছু কইছে না। কিন্তু আমরা কই, আপনি যে বিপদে পরছেন। সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করলে গুরুর কাছে কিছু দেওন তো লাগবো।
কি দিবেন? আপনি যদি বিপদটার তন উদ্ধার হন। তয় আপনি আপনার মনের চাহিদা মতোই আপনি পূরণ করবেন। দয়াল আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী দশটাকা পারি, পাঁচটাকা পারি আমি দিমু। বা এই করমু। এমনে তো আমরা কারো কাছে কোনো কিছু চুইক্ক্যা লই না।
যেমন হইল্লেগা, মার্ডার কইরা আইছেন, কেস খালাস কইরা দিমু। আফনে আমারে দুই লাখ টাকা দিয়ালাইবেন। [হাসতে হাসতে]
এরুমো হইছে, স্বাধীনের পরে… একাত্তুরের সংগ্রামের পরে… দয়াল বাবার কাছে কিন্তু প্রচুর লোক এই ব্যাপারে আইছে। অনেকে উনার কাছে আইসা খালাস পাইসে। অনেকে দেখা গেছে মামলায় জর্জরিত। কেউ দেশদোষী মামলায়, কেউ এই মামলায়, কেউ ঐ মামলায়। কান্দাকাটি কইরা আয়া হেইলারতে খালাস পাইছে।
খালাসের দিন দেখা গেছে জর্জ নি:শর্ত খালাস দিছে। এরম বহু প্রমাণ হেই সময়কার আছে। মানুষ এই পথে ধাবিত হইবে। কতাটা বুঝছেন নি? দেখা গেছে আপনের ভাই-বাপ ছয় মাস ধইরা নাই। নয় মাস ধইরা নাই। বিছরাইয়া পাইতাছে না। আয়া কান্দাকাটি। বাজান আমার পুত নাই। আমার পুত নাই। অমুক নাই। তুমুক নাই।
স্বাধীনের পরের বৎসর বেশিভাগ এইসব কেস আইতো। দয়ালের কাছে কান্দাকাটি করতো। অমুকের মা আয়া কানতো- বাজান আমার পুতটা তো নাই। দেখা গেছে হে জিন্দা থাকলে আইছে।
আবার এমুনো ভক্ত আছিলো যে- মার্ডার কেস থেইক্ক্যাও খালাস পাইছে। মালিকরে যদি কাইন্দাকুইন্দা রাজি করানো যায়। তয় তো খালাস পাওয়া যাইবোই।
এমুন অনেক জিনিসিই আছে, যেই গুলি উনার হেই সময় দেখা গেছে সেইগুলি। বহুত কিছু। বইল্ল্যা কিছু করান যাইতো না। আমরা যদি হেইসময় এদ্দুর বুঝতাম। অহন যেদ্দুর বুঝি। এদ্দুর বুঝলে মনে হয় যে, আমরা আরো ঊর্দ্ধে গেলামগা অইলে। কথা বুঝছেন না? হেই সময় তো খালি আমরা খাইছি, ঘুরছি, বান্দরামি করছি।
আল্লাহ। আল্লাহর রাসুল কি? মুর্শিদ কি? এগুলো তো বুঝছি না। হেই সময় মনে করছি- আমার জেডা লাগে। খাই আর ঘুরি। কথাটা বুঝছেন না? সেইসম তো ছিল অন্য চিন্তাভাবনা। বুজলে তো অনেক কিছু দেখতাম পারতাম। দয়ালের কাছ থেইক্ক্যা।
উনারে যে যেইভাবে চায়। সেইভাবেই পায়। দয়ালের মর্জি বোঝা সহজ না। এমন সময় আমরারে কইছে সেজদা দাও। আবার আপনি আইসা সেজদা দিছেন। তখন জিগাইছে- কিও সেজদা দিছো ক্যারে? আবার এমুনো ভক্ত আইছে। দয়াল তারে দেইখ্যা কইছে, নামাজটা পইড়া আলাও না।
কেউ সাহসই পায় নাই। দয়াল স্বাধীন কইরা দিয়া গেছে, লেহো। আমি কিছু জানি না। আমিও দয়াল। কথাটা আপনি চিন্তা কইরা দেইখেন। বাংলাদেশের মাইনষ্যর দয়াল শব্দটা লেখার কারোই সাহস ছিল না। এহন আমরা যারা, যারা কিছু জানে না, যারা দয়াল না; তারাও নামের আগে দয়াল লেখে।
আবার আপনি গেছেন, নামাজ পড়তাম, সালাম দিতাম আপনেরে দিছে না। দয়াল বাবার ছিল উনার চক্ষু… উনি বুঝতে পারতো… দেখতো… কারে কোন… তার ভেতরের চাহিদাটা উনি বুঝতো। এর লেইগ্গ্যাই কইলাম। অনেকে গিয়া সালাম করছে। কইছে অনেকরে নামাজডা পড়ো।
আবার অনেকে গেছে বোগলে সামাল দিতে, তখন পা দিয়া দিছে কোনি। আবার দেহা গেছি আপনি সালাম কইরা গেছেন গা। আমারে দিছে কোনি। বলছে- তুই দেখলি না? এমুনো সময় গেছে একটা জিনিস দিয়া কইছে- এলান ধরো। কইছে এই রশিটা ধরো ধরো।
আবার ধরছি- বকা দিয়ে বলছে ধরসিস ক্যারে?
ছাইড়া দিছি- বকা দিয়ে বলছে ছাইড়া দিছিস ক্যারে?
তাইলে আপনি কই যাইবেন কন? আমি আপনি কই যামু? এইটার মাহাইত্ম্য তো আর আমরা জানি না। বুঝজিও না। এইটা কিন্তু বাস্তব। মাইরও খাইছি? ছাইড়া দিছি দিছে চড়। আবার ধরছি তাও বকা খাইছি। তাই দয়াল কোন সময় কোন পরিস্থিতিতে কি হালে ছিল; সেটা হেইলাই বলতাম পারবো।
উনার কাগজে কমলে কোনো কিতাব নাই। উনি নিজেই কিতাব। উনার জন্য কোনো কাগজে সাক্ষি লাগে না। অনেক পীর-অলিদের দেখবেন বড় বড় ইতিহাস আছে, বড় বড় কিতাব আছে। কিন্তু দয়ালের কিন্তু হেই কিতাব নাই। উনি নিজেই কিতাব।
আর এই ‘দয়াল’ শব্দটা উনিই প্রচার করছে। আর কেউ করতাম পারছে না বাংলাদেশো। এর আগে ‘দয়াল’ শব্দ লেখার মতো সাহসই পাইছে না কেউ। অহন কইলাম অনেকেই লেইখ্যা ফালায় দয়াল। দেখেন না পোস্টারো হেনো তেনো লেখা। অমুক দয়াল, তুমুক দয়াল। দয়াল বাবার আগে দয়াল শব্দ কেউ লেখতাম পারে নাই।
কেউ সাহসই পায় নাই। দয়াল স্বাধীন কইরা দিয়া গেছে, লেহো। আমি কিছু জানি না। আমিও দয়াল। কথাটা আপনি চিন্তা কইরা দেইখেন। বাংলাদেশের মাইনষ্যর দয়াল শব্দটা লেখার কারোই সাহস ছিল না। এহন আমরা যারা, যারা কিছু জানে না, যারা দয়াল না; তারাও নামের আগে দয়াল লেখে।
দুইটা ফল লইয়া আইয়েন দেইখেন কেমুন খাই। এইটাই তো বাস্তব। আপনি যে কোনো খানে যান। আমি হিংসা কইরা কই না। এইটা আমি আমার গুরুর অভিজ্ঞতা থেইক্ক্যাই কই। আমার মুর্শিদের অভিজ্ঞতাটা দেইখ্যা কই। এটার লেইগ্গ্যা কইলাম।
কিন্তু একটাওই কথাই আমরা বুঝি, উনি আইছিল জীবের দয়া করতে। উনায় যদি কইতো উনার কোনো ভক্তবৃন্দরে- আমার এনো স্বর্ণ দিয়া বান্দাও। বা আমার বংশধররে কুটি কুটি টেকার মালিক বানায়া দাও। কেডা দিলো না অইলে? আমরা দেহেন চাই, কোন বেশে চলি। আমরা তো হেইলার বংশধর। এবং ভক্তও।
উনি আপন-পর ভেদাভেদ করেন নাই। উনার চোখে সবাই সমান ছিল। আমার ভাতিজা দেইখ্যা তারে দশ টেয়ার সম্পদ দিয়ালাও। হেইলা আমার ভক্ত বইলা দিতাম না। এমন কাজ দয়াল করেন নাই।
একেক ঘরে কুন লোক যাইতাম পারে? টাকা-পয়সা যদি এমনি দিছেন, কইছে এইটা ‘গু’। পইচ্চ্যা যাইবো। টাকার লোভ কোন পীরের নাই? দেহান তারারে আমারে। বাংলাদেশটা ছুডু দেশ… আপনিও তো অনেক দরগায় ঘুরেন। অনেক মাজারে যান। অনেক আস্তানায় যান। কার টাকার লোভ নাই আমারে দেহান?
লোভ-মোহ-মায়া এই তিন জিনিস থাকতে; হেয় কোনো দিন দয়াল হইতে পারে না।
অনেকে দয়াল বাবা সম্পর্কে অনো একটু বোঝার ভুল থাকে। দয়াল বাবা কোনো দিনও কোনো ব্যক্তি-সম্পদ কিছু…। যে বেটার কোনো… টাকা-পয়সা-নারীর কোনো লোভ ছিল না। মোহ ছিল না। হেই ব্যক্তিই দয়াল হইতাম পারে। আর হেই দয়াল হয়।
এহানে হাজার হাজার বেডি আইসা পইরা থাকছে। হাজার হাজার টাকা উনার সামনে দিয়া থুইছে। হাজার হাজার টাকার ফল-ফ্রুট দিয়া থুইছে। কোনো দিন কইছে না- একটা মিষ্টি দে আমি খাই। আর আমগো লগে মিষ্টি কার্টুন লইয়া আইয়া দেইখেন; কেমুন খাওয়া খাই।
দুইটা ফল লইয়া আইয়েন দেইখেন কেমুন খাই। এইটাই তো বাস্তব। আপনি যে কোনো খানে যান। আমি হিংসা কইরা কই না। এইটা আমি আমার গুরুর অভিজ্ঞতা থেইক্ক্যাই কই। আমার মুর্শিদের অভিজ্ঞতাটা দেইখ্যা কই। এটার লেইগ্গ্যা কইলাম।
(চলবে…)
<<খাদেম জাফর কাকার জবানে গণি শাহ্ বাবা: কিস্তি দুই ।। খাদেম জাফর কাকার জবানে গণি শাহ্ বাবা: কিস্তি চার>>
……………………….
আঞ্চলিক ভাষার কিছু শব্দার্থ-
আওয়ার= আসার।
আন্তারে= আনতে পারে।
আমরাও= আমাদেরও।
আমরার= আমাদের।
ইলা= উনি।
উনায়ই = উনিই।
এখন= এখন।
এলান= এইটা।
কিয়ের= কিসের।
খাঁড়া= দাঁড়ানো।
গাং= নদী।
চাইর= চার।
চুইক্ক্যা= চুক্তি করে।
ছুডু= ছোট।
জওব= জবাব।
থায়ে = থাকে।
থাইকা=থেকে।
পাছে = পেছনে।
বইন= বোন।
বয়া= বসে।
বাইল্য= বাল্যকাল।
বোগলে= কাছে।
বিছরাইয়া= খোঁজ করে।
লাইগ্গ্যা= জন্য।
মুহে= মুখে।
মুর= পাশ।
তহনো= তখনো।
সমকা= সময়ে।
সম= সময়।
হাপের লেজ= সাপের লেজ।
হেইলা = উনি।
হেইলারে = তাকে।
হেই = সেই।
হেই সমকা= সেই সময়।
………………………..
আরো পড়ুন-
খাদেম জাফর কাকার জবানে গণি শাহ্ বাবা: কিস্তি এক
খাদেম জাফর কাকার জবানে গণি শাহ্ বাবা: কিস্তি দুই
খাদেম জাফর কাকার জবানে গণি শাহ্ বাবা: কিস্তি তিন
খাদেম জাফর কাকার জবানে গণি শাহ্ বাবা: কিস্তি চার
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
………………………………….
আরও পড়ুন-
হযরত শাহ্জালাল
নাসির উদ্দিন সিপাহসালার
বাবা খানজাহান আলী
শাহ মখদুম রূপোশ: এক
শাহ মখদুম রূপোশ: দুই
হযরত ছৈয়দ শাহ্ আলী বোগদাদী
হযরত কেল্লা শাহ্ বাবা
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: এক
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: দুই
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: তিন
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: চার
মনসুর হাল্লাজ ফকির সে তো: পাঁচ
বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী
হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী
সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-১
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-২
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-৩
দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া-৪
খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়ার কাশফের নিদর্শন
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: এক
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: দুই
মুজাদ্দিদে আলফে সানী: তিন
শেখ বাহাউদ্দীন নকশবন্দী: এক
শেখ বাহাউদ্দীন নকশবন্দী: দুই
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: এক
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: দুই
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: তিন
ইমাম গাজ্জালী : জীবন ও দর্শন :: চার
সালমান আল-ফারেসী: এক
সালমান আল-ফারেসী: দুই
সালমান আল-ফারেসী: তিন
সালমান আল-ফারেসী: চার
উয়াইস করনি পাগল: এক
উয়াইস করনি পাগল: দুই
উয়াইস করনি পাগল: তিন
রহস্যাবৃত শামস তাবরিজি: পর্ব-১
রহস্যাবৃত শামস তাবরিজি: পর্ব-২
মাওলানা শ্রেষ্ঠ জালালউদ্দিন রুমি
আত্তারের সাধনার সপ্ত স্তর : এক
আত্তারের সাধনার সপ্ত স্তর : দুই
সুফিবাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ইবনে আল আরাবী
হযরত বাবা হাজী আলী
খাজা ফুজাইল : ডাকাত থেকে ওলী
সাধক বায়জিদ বোস্তামী
মরমী বুল্লেশাহ্
সারমাদ কাশানি
বাংলাদেশের প্রথম ইসলাম প্রচারক শাহ্ সুলতান
শাহানশাহ রাহাত আলী শাহ
বাবা সিরাজ শাহ্
বাবা হায়দার শাহ্
মদন পাগলার মোরতবা
মোখলেছ শাহর কারামতি
বাবা জাহাঙ্গীর
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব এক
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব দুই
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী : পর্ব তিন