ভবঘুরেকথা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে

-মূর্শেদূল মেরাজ

সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

সত্যিই মন ভালো হয়ে গেলো। তারচেয়েও বেশি ভালো লাগলো আরজ ভাইকে। আরজ ভাইয়ের ভক্তিকে। বিশাল বাগানে বিশাল বিশাল সব পুকুর। নানান ধরনের শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যও লাগানো হয়েছে নানান সব বাহারি লতাপাতা-বৃক্ষরাজি।

অতি সুন্দর করে সাজানো, পরিপাটি বাগানের পুরোটা ঘুরে দেখবার সময় নেই হাতে। বসার ঘরে চাল-জল করে রওনা দিলাম সেই লিচুতলায়। গিয়ে আসলেই আমরা মুগ্ধ। আসলেই দারুণ একটা জিনিস বানিয়েছেন আরজ ভাই। সুন্দর একটা মন না থাকলে এতো সুন্দর একটা চিন্তা মাথায় আসবার কথা না।

বিশাল লিচু গাছের ঘন পাতা চারপাশ দিয়ে মাটি ছুঁয়েছে। একেবারে ঘিরে ফেলেছে চারপাশ। তারই নিচে কিছুটা মাটি কেটে বসবার জায়গাটা আরো সুন্দর করা হয়েছে। রাখা হয়েছে একটা খাটিয়াও। সেখানেই শুরু হলো আমাদের সঙ্গ। সুমন দাস বাউল আর রাসেল একের পর এক পদ গেয়ে চললো।

আর আমরা শুনে গেলাম। মহিত হলাম। সাথে চললো খাওয়া-দাওয়া। সঙ্গ করতে করতে আজর ভাইকে দেখতে দেখতে পুরানো সেই কথাটা আবার মনে পরলো। আসলেই গুরু যেমন হয় ভক্তও দিন দিন সেই রকম হতে শুরু করে। আরজ ভাইয়ের হাসি দেখে অবিকল সামসুল ফকিরের হাসির কথা মনে পরছিল।

সেই কথা বলায় আশিক আরো রশিয়ে বললো, গতকাল রাজনও একই কথা বলেছে। ও বলেছে- দেখেছেন মামা সামসুল ফকির যেমন বিশালদেহী। তার ভক্তরাও তেমন বিশালদেহী। দুই একটা ছাড়া আর আমাদের গুরু শুকনা আমরাও শুকনা।

সঙ্গ বেশ জমে উঠেছিল। উঠতে মন চাইছিল না কিছুতেই। কিন্তু ঐদিকে ঘড়ির কাটা দৌড়াচ্ছে ঝড়ের বেগে। রাত বাড়ছে। আমাদের ফিরতে হবে হেমাশ্রমে। নজির সাঁইজি আমাদের জন্য অপেক্ষা করে বসে আছেন। তাই রাত্রি যাপনের ইচ্ছে থাকলেও একসময় উঠে পরতেই হলো।

পরদিন অটোতে করে যখন খলিশাকুন্ডির দিকে রওনা হয়েছি। সেই অটোতে এইবার আমরা ছয় জন। পেছনে নহির সাঁইজি, নিধি, ডেবোরা, সুমন দাস আর আমি। আর সামনে ড্রাইভারের পাশে বসেছে আশিক। গতরাতে রমিজ ভাই এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে।

ফয়সাল, রাসেল, রমিজভাই আর রাজন সাধু আসবে পরে। নিজেদের বাইকে করে। আমরা আগে চলেছি। পথে চলতে চলতে নহির হঠাৎ করে বলে উঠলেন- বুঝলা বাপ! ছেলেপেলে এতো ঘোরাঘুরি করে কিন্তু কিছু শিখে না। ব্যবহার শিখে না। কোথায় কি বলতে হবে। কোথায় কি বলতে হবে না। সেই জ্ঞান হয় না। শুধু ঘুরেই বেড়ায়।”

আপাতত পরিকল্পনাটা এমন যে, আমরা খলিশাকুন্ডি সাধুসঙ্গে যাব। সেখানে সন্ধ্যার চাল-জল করে তারপর পোড়াদহ্ রেলস্টেশন বা মজমপুরের দিকে রওনা করবো। অবশ্য সুমন আগেভাগেই রওনা করবে পোড়াদহ্। মোবাইল এ্যাপে দেখা যাচ্ছে দুইটা থেকে বেশ কয়েকটা ট্রেন আছে খুলনার দিকে।

সেই কবে লবাণ সাঁইজির জ্যোতিধামে এসেছিলাম। আজ আবার আসলাম। অটো থেকে নেমে আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। উন্মুক্ত প্রান্তরটা পেরিয়ে আখড়ার কাছাকাছি যেতেই সাঁইজির গুরু মা বেড়িয়ে এলেন বাড়ি থেকে। এই বয়সেও নহির সাঁইজি কি অপরূপভাবে গুরুভক্তি দিলেন গুরু মাকে। আসলেই মুগ্ধ হওয়ার মতো।

তার কিছুই হলো না। যা হলো তা এমন যে, আমাদের এখনই বেড়িয়ে পরতে হবে, পোড়াদহ্ স্টেশনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এই কথা সাধুগুরুদের বলি কি করে? তারা কিছুতেই মানতে চাইবেন না। আমাদের ছাড়তে চাইবেন না। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করা হলো আগে বুড়ি মাকে বুঝিয়ে বলতে হবে।

দেখা হলো বুড়ি মা, সামসুল ফকির, মাহতাব ফকির, শাহ্ আলম ফকির সহ পরিচিত বেশ কয়েকজন সাধুগুরুর সাথে। করোনা অতিমারি আর লকডাউনের জন্য এবার সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে হচ্ছে সাধুসঙ্গ। লকডাউনের জন্য শেষ মুর্হূতে অনেকেই জানিয়েছে আসা হচ্ছে না।

মঞ্চ, মাইক কোনো আয়োজনই করা হয়নি। অনুমতি যা পাওয়া গিয়েছিল। গতরাতে তা আবার বাতিল হয়েছে। সাধুগুরুদের নিয়ে অল্প পরিসরে আয়োজন হবে সাধুসঙ্গ। ভাবতেই অবাক লাগছে বছর দুয়েক আগে যখন এখানে সাধুসঙ্গে এসেছিলাম। তখন সাধুগুরুদের সাদা বস্ত্রে চারদিক শুভ্রতা নিয়েছিল।

মানুষে মানুষে ভরে উঠেছিল চারপাশ। মঞ্চ, মেলা, আনন্দবাজার সব মিলিয়ে বিশাল আয়োজন। এবার সেসবের বালাই নেই। তবে ভক্তি-শ্রদ্ধার ঘাটতি নেই। সাধুগুরুদের সাথে ভক্তিপর্ব সেরে বসে চোখে-মুখে জল দিয়ে বসে পরলাম সকালের সেবা নিতে।

তখন ঘড়ির কাটায় বারোটা প্রায়। বুড়িমার হাতের পাতলা খিচুড়ি খেয়ে পরম তৃপ্তিতে একটু ছায়ায় দাঁড়িয়েছি। তখনি জানা গেল যশোর থেকে আমাদের হাশেম কাকার পুত্র রাহাত ঢাকার দুইটা টিকেট ম্যানেজ করে ফেলেছে। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে। ট্রেন আড়াইটায়।

তারমানে আমাদের এক্ষুনি রওনা দিতে হবে। সাধুর বাড়ির দরজায় এসে সাধুসঙ্গের উদ্দেশ্যে এসে। সাধুসঙ্গের অধিবাসের আগেই ফিরে যেতে হবে!! এ কেমন অনাচার? এ কেমন খেয়াল প্রকৃতির?? উল্টো তো এমন হবার কথা ছিল লকডাউন একদিন পিছিয়ে গেছে। তাই না???

তার কিছুই হলো না। যা হলো তা এমন যে, আমাদের এখনই বেড়িয়ে পরতে হবে, পোড়াদহ্ স্টেশনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এই কথা সাধুগুরুদের বলি কি করে? তারা কিছুতেই মানতে চাইবেন না। আমাদের ছাড়তে চাইবেন না। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করা হলো আগে বুড়ি মাকে বুঝিয়ে বলতে হবে।

তাহলে কি আবার ফিরে যাব খলিসাকুন্ডি? নাকি ফিরবো কুষ্টিয়া? সাত্তার বাজানের বাড়ি?? কোথায় সময়টা কাটাবো?? হিসেব করতে করতে এই যাত্রায় যাকে আমরা একেবারে ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি তার নামটাই আমার আর আশিকের মাথায় একসাথে এলো।

বাকিটা তিনি ব্যবস্থা করবেন। প্রস্তাবটা অবশ্যই আশিকের। তাতে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। সাধুগুরুরা পরিস্থিতি বুঝে বিদায় দিলেন বটে। কিন্তু বারবার বলছিলেন, থেকে গেলে হতো না?

বললাম- সাঁইজি কাল থেকে সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে। যদি আরো বাড়ে তাহলে তো শহরে ফিরতে সমস্যা হবে। আটকে যেতে হবে পুরো লকডাউনে।

নহির সাঁইজি- তাতে সমস্যা কি। আশ্রমে থাকবা। আশ্রমে থাকতে তো কোনো সমস্যা নাই। তাই না?

অনেক বুঝিয়ে-সুজিয়ে বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে গেলাম। লবাণ সাঁইজির সহধর্মীনি মা জননীর কাছে গেলাম বিদায় নিতে। উনি কিছুতেই আসতে দিবেন না। উনার এক কথা। লকডাউন হচ্ছে হোক। তোমরা থাকো। আমরা রান্নাবান্না করবো তোমরা খাবা আর থাকবা। সমস্যা কি?

শেষে যখন আমরা চলেই আসছিলাম, মা তখন চোখের পানিতে সর্বাঙ্গ ভিজিয়ে ফেলেছেন- উদাস নয়নে কোথায় যেন তাকিয়ে কেবল বলেই যাচ্ছিলেন- তোমরা চলে যাচ্ছ। তোমরা চলে যাচ্ছ। আমার কিছু ভালো লাগছে না। আমার কিছুই ভালো লাগছে না। আমার কিছুই ভালো লাগছে না।

নহির সাঁইজি সহজ রাস্তা বাতলে দিলেন। খলিশাকুন্ডি থেকে মিরপুর জিয়া রোড যেতে হবে। সেখান থেকে পোড়াদহ্ অটো পাওয়া যাবে। এটাই সহজ রাস্তা ও সবচেয়ে কম সময়ে-কম টাকায় যাওয়া যাবে। সেই মতে সিএনজিতে চেপে বসেছি আমি, সুমন আর আশিক।

সিএনজি চলতে থাকলেও বহুদূর পর্যন্ত মায়ের কান্নাভেজা সেই চোখ আর ‘আমার কিছুই ভালো লাগছে না’। ‘আমার কিছুই ভালো লাগছে না’। শব্দগুলো কানে বাজছিল। তারপরই ঘটনা নতুন বাঁক নিলো। ঘটনা ঘুরে গেলো তিন’শ ষাট ডিগ্রি।

রাহাতের সাথে ফোনে কথা বলতে গিয়ে জানা গেলো, আসলে আমাদের ট্রেন অর্থাৎ আমার আর আশিকের ট্রেন দুপুর আড়াইটায় নয়। রাত আড়াইটায়। আমরা প্রায় মিরপুরের কাছাকাছি ততক্ষণে। বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করি! কি করি। রাতে ট্রেন হলে এখন পোড়াদহে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না।

তাহলে কি আবার ফিরে যাব খলিসাকুন্ডি? নাকি ফিরবো কুষ্টিয়া? সাত্তার বাজানের বাড়ি?? কোথায় সময়টা কাটাবো?? হিসেব করতে করতে এই যাত্রায় যাকে আমরা একেবারে ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি তার নামটাই আমার আর আশিকের মাথায় একসাথে এলো।

তা হলো আমাদের সুধাম সাধুর কথা। হ্যা। এই তো কয়েক দিন আগে গতবারও আমরা যখন কুষ্টিয়া এসেছিলাম। সেবারও তার খুব কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও তার সাথে সাক্ষাৎ করিনি। যদিও প্রতিবার কুষ্টিয়া আসলে একবার না একবার তার ওখানে যাই। থাকি। খাই। ঘুমাই।

গতবার যাইনি। এইবারও তার বাসার উপর দিয়ে যাওয়া আসার পরও তাকে জ্বালাইনি। অগত্যা সিদ্ধান্ত এমনটা হলো- সুমনকে জিয়া রোডে গিয়ে অটোতে তুলে দিয়ে আমি আর আশিক যাব মিরপুরের হাতিগাতা গ্রামে। অর্থাৎ সুধামের শ্মশান কুটিরে।

আমরা মিরপুরের উপর দিয়ে যাব-আসবো কিন্তু শ্মশান কুটিরে যাব না; তাই বা সুধাম সাধু হতে দিবে কেনো। আমরাও হার মেনে নিয়ে সুমন দাসকে বিদায় জানিয়ে ভ্যানে নিয়ে চললাম সুধামের কুটিরে। সুধাম আমাদের পেয়ে মহা খুশি হয়ে উঠলো।

প্রকৃতির মাঝে থাকতে পারলেই বেশ হতো। গত লকডাউনে প্রায় পুরোটা সময় আমাকে কথা শুনতে হয়েছে। আমি বের হই নাই বলেই নাকি আশিককে শহরে আটকে থাকতে হয়েছে পুরোটা সময়। আমি বললেই নাকি বের হওয়া হতো। লকডাউনটা শহরে কাটাতে হতো না।

প্রচণ্ড গরমে আমার ঘুম পেয়ে গেলো। কোনো কথা না বলে কুটির ছেড়ে আমি উঁচু মাঁচাটায় উঠে ঘুমিয়ে পরলাম। অনেকটা সময় পর ঘুমের মধ্যেই সুধামের গান শুনতে পেয়ে উঠে বসলাম। ততক্ষণে সূর্য অনেকটাই পশ্চিমে হেলে পরেছে। আকাশ অন্ধকার করেছে।

মাঁচা থেকে নেমে কুটির পর্যন্ত আসতে আসতে প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয়ে গেলো। প্রচণ্ড ধুলো ঝড়ে বন্ধ হয়ে গেলো গান। প্রকৃতির শীতলতা গ্রহণ করতে আমি আর আশিক ধুলোর মধ্যেও বাইরে ঘাসের উপরই বসে রইলাম। সুধাম কুটিরে ঢুকে দরজা বন্ধ দিলো।

আহ্ প্রকৃতি কি খেলা। মুর্হুতে সেই তাপ শুষে নিয়ে কি সুন্দর বাতাস ছেড়েছে। সর্বত্র প্রশান্তিতে ভরে উঠেছে। বাতাসে গাছপালা প্রায় নুয়ে পরছে। তখন খেয়াল করলাম কুটিরের সামনেই যে নদীটাকে বাঁধ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে মাছ চাষের নামে। সেখানে আর পানি নেই।

এখনো বর্ষার পানি ঢুকে নি। সেখানে সবুজ ধানগাছ মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না তীব্র বাতাসে। আহ কি সুন্দর। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য। দীর্ঘ ধুলা ঝড়ের পর নামলো প্রশান্তির বৃষ্টি। আমরাও ঘরে ঢুকে পরলাম। ততক্ষণে মনে পরলো। দুপুরে তেমন কিছুই খাওয়া হয়নি।

যদিও রাস্তায় ছানা-সন্দেশ খেয়েছি। সুধাম সেবা দিলো। সুধামের রান্নােও অস্বাধারণ। দারুণ স্বাদের একটা সেবা নিলাম শেষ বিকেলে। তারপর মেতে উঠলাম গল্প-গুজবে। এবার পরিকল্পনা হয়েছে- পোড়াদহে সুধামের এক ভক্তছেলের বাড়িতে আমরা রাতে সেবা নিবো।

সেখানে সময় কাটিয়ে মাঝ রাতে ধরবো ট্রেন। হাতে অনেকটা সময় আছে এখনো তবে সুধাম অস্থির হয়ে উঠেছে। পোড়াদহে রওনা দেয়ার জন্য। আগামীকাল সকাল থেকে লকডাউন হবে। আমাদেরও বেড়িয়ে পরতে হবে যাত্রা পূর্ণ না করেই।

সাক্ষাৎ হলো না সাত্তার বাজানের সাথে। তার জন্য বড় একটা আক্ষেপ থেকেই যাবে। খলিসাকুন্ডির সাধুসঙ্গ করে আসতে পারলেও মনটা কিছুটা শান্ত হতো। কিন্তু উপায় নেই। যেতেই হবে পোড়া শহরে। যে শহরে এখন ভাইরাস গিজগিজ করছে।

প্রকৃতির মাঝে থাকতে পারলেই বেশ হতো। গত লকডাউনে প্রায় পুরোটা সময় আমাকে কথা শুনতে হয়েছে। আমি বের হই নাই বলেই নাকি আশিককে শহরে আটকে থাকতে হয়েছে পুরোটা সময়। আমি বললেই নাকি বের হওয়া হতো। লকডাউনটা শহরে কাটাতে হতো না।

সেই থেকে বলা শুরু করেছে। এরপর লকডাউন দিলে নাকি সে বেড়িয়ে পরবেই। আমি না বের হলেও। আর বেড়নো মানেই, কুষ্টিয়া নয় বাগেরহাট। অথচ ঘটনা আজ ঘুরে গেছে। আশিক আমাকে লকডাউন খাওয়াতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে শহরে। তো কি আর করা। শুভ বিদায় আপাতত কুষ্টিয়া। জয়গুরু।।

(চলবে…)

<<সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-চার

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………………………..
আরও পড়ুন-
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাঁইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

…………………………..
আরো পড়ুন:
মাই ডিভাইন জার্নি : এক :: মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার
মাই ডিভাইন জার্নি : দুই :: কবে সাধুর চরণ ধুলি মোর লাগবে গায়
মাই ডিভাইন জার্নি : তিন :: কোন মানুষের বাস কোন দলে
মাই ডিভাইন জার্নি : চার :: গুরু পদে মতি আমার কৈ হল
মাই ডিভাইন জার্নি : পাঁচ :: পাপীর ভাগ্যে এমন দিন কি আর হবে রে
মাই ডিভাইন জার্নি : ছয় :: সোনার মানুষ ভাসছে রসে
মাই ডিভাইন জার্নি : সাত :: ডুবে দেখ দেখি মন কীরূপ লীলাময়
মাই ডিভাইন জার্নি : আট :: আর কি হবে এমন জনম বসবো সাধুর মেলে
মাই ডিভাইন জার্নি : নয় :: কেন ডুবলি না মন গুরুর চরণে
মাই ডিভাইন জার্নি : দশ :: যে নাম স্মরণে যাবে জঠর যন্ত্রণা
মাই ডিভাইন জার্নি : এগারো :: ত্বরাও গুরু নিজগুণে
মাই ডিভাইন জার্নি : বারো :: তোমার দয়া বিনে চরণ সাধবো কি মতে
মাই ডিভাইন জার্নি : তেরো :: দাসের যোগ্য নই চরণে
মাই ডিভাইন জার্নি :চৌদ্দ :: ভক্তি দাও হে যেন চরণ পাই

মাই ডিভাইন জার্নি: পনের:: ভক্তের দ্বারে বাঁধা আছেন সাঁই
মাই ডিভাইন জার্নি : ষোল:: ধর মানুষ রূপ নেহারে
মাই ডিভাইন জার্নি : সতের:: গুরুপদে ভক্তিহীন হয়ে
মাই ডিভাইন জার্নি : আঠার:: রাখিলেন সাঁই কূপজল করে
মাই ডিভাইন জার্নি :উনিশ :: আমি দাসের দাস যোগ্য নই
মাই ডিভাইন জার্নি : বিশ :: কোন মানুষের করি ভজনা
মাই ডিভাইন জার্নি : একুশ :: এসব দেখি কানার হাটবাজার

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!